www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আবোল তাবোল

আবোল - তাবোল
--
সিরিয়াস পাঠক সিরিয়াস লেখক তৈরি করেন, সৃজনশীল পাঠক সৃজনশীল লেখক তৈরি করেন। আবার সিরিয়াস লেখক সিরিয়াস পাঠক তৈরি করেন, সৃজনশীল লেখক সৃজনশীল পাঠক তৈরি করেন।
কোনও কোনও সময় ক্ষেত্র আগেই প্রস্তুত থাকে, কে কোথায় অবগাহন করবেন, সেই অনুযায়ী বেছে নেওয়া।
যার যেমন চাহিদা, সে তাই খুঁজবে।
যার যেমন সামর্থ্য, সে তাই দিবে।
দান কীভাবে কোথায় করতে হয়!
দাতার দেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে, গ্রহীতার নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। দাতার যেমন দেওয়ার চাহিদা, গ্রহীতারও তেমন নেওয়ার চাহিদা- সমান হতে হবে।
দাতার যেমন দিয়ে পরে ধন্য হওয়ার বিষয় থাকবে, গ্রহীতারও গ্রহণ করে ধন্য হওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
লেখকের লেখাও তাই, সব লেখা সব পাঠকের জন্য নয়।
* প্রত্যেকটি বস্তুর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক আছে, যদি না থাকত তবে নিরপেক্ষ নামক বিষয়টি থাকত না।
বিদ্যুতের চার্জের মত, ধনাত্মক আধান - ঋণাত্মক আধান।
দুটো আধান যখন সমান হয় তখনই তা নিরপেক্ষ হয়।
পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষিত হয় প্রতিটি বস্তুর ধনাত্মক ও ঋণাত্মক পরিপ্রেক্ষিতের কারণে।
প্রথমে মূলতঃ দুটি ভাগ তারপর এই দুটোর উপভাগ।
* পৃৃথিবীতে বিভিন্ন মতবাদ সৃষ্টি হয়েছে, রয়েছেন বিভিন্ন মতবাদের প্রবক্তা, যার যার দৃষ্টিতে তার তারটাই সেরা।
এখানে নিরপক্ষতা আছে, অদৃশ্য সেটা, অনেকটা তুমি আমার শত্রু তাই তোমার বন্ধু আমার শত্রু - এরকম।
* কল্কে কীভাবে পাওয়া যায়?
আজকের এই সমাজে, এই বাস্তবতায় ঘরানাগুলো পৃথক, যার যার ঘরানায় যার যার কল্কে পাওয়া।
মানুষ যখন যৌথসমাজ ভেঙে আলাদা আলাদা খাদ্য যোগাড় করতে লাগল, আলাদা বাস শুরু করল তখনই আধিপত্য বিস্তার ও রক্ষার জন্য একেকটি গোষ্ঠী গড়ে উঠলো, একেকটি ঘরানা গড়ে উঠল।
একটি শেয়াল ডাকলে দশটি শেয়াল ডেকে উঠবে, একটি কাক মারা পড়লে এক ঝাঁক কাক এসে কাকা করবে।কখনই অন্য প্রাণী এসে কাকা করবে না।
আর মানুষ! সবসময় নিজের ঘরানা চিন্তা করবে, এতে মানবতা যায় যাক, আমার মতের মিল আছে কাজেই এটা সত্য মিথ্যে যাই হোক, আমি এটা সমর্থন করব - এই হচ্ছে মানবিকতার বহি:প্রকাশের ধরণ এখন।
কোথাও বস্তু নিরপেক্ষতা নাই।
* সব কিছুই ভাগ ভাগ এখন, একদম ব্যতিক্রম না হলে ধনীর ছেলে আরও ধনী হবে, শিক্ষিতের ছেলে আরও শিক্ষিত হবে, মালিকের ছেলে আরও বড় মালিক হবে, শ্রমিকের ছেলে শ্রমিক হবে - এভাবেই সাজানো হয়ে গেছে সব। খুব ব্যতিক্রম না হলে এর ব্যতয় ঘটার অবকাশ কম।
* শুরু করেছিলাম লেখক প্রসঙ্গে।
মানুষ মনে মনে ফ্যান্টাসীতে ভোগে, বেশিরভাগ মানুষ অনেক কিছু করতে চায়, সাহসে বা সুযোগে কুলোয় না।
মনের অবদমিত ইচ্ছার প্রতিফলন যখন সে কোনও লেখকের লেখায় পায় তখন হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
এজন্য দেখা যায়, খিস্তি খেউড়ে পূর্ণ লেখা কোনও প্রবন্ধ, গল্প, বা কবিতাতে লোকজন হুমড়ি খেয়ে পড়ছে, কারণ তার নিজের তো গালাগালির সাহস নেই।
অশ্লীল শব্দচয়নে লেখা কবিতায় একদল হুমড়ি খায়, মনের অবদমিত ইচ্ছা তাতে পূর্ণ হয় যে।
কারও কারও লেখায় কিছুই থাকে না সার, তবু হুমড়ি খাওয়া কারণ ওতে চটকদার ছবি থাকে।
তাহলে! সবকিছু আালাদা আলাদা হয়ে ভেঙে পড়বে!
একজন লেখকের যেমন দায়িত্বশীলতা আছে, পাঠকেরও তেমনি।পাঠকের সহযোগিতা ছাড়া লেখক তৈরি অসম্ভব।
রুচিশীল বিদগ্ধ পাঠক থাকুন রুচিশীল লেখকের সাথে।
যারা মনে করে খিস্তিখেউড় আর অশ্লীলতা ছাড়া সাহিত্য হয় না, তাদের সাথে আমার মেলে না।
* লেখা কখনও সর্বজনীন হবে না, কোনও না কোনও মহলের স্বার্থে তা আঘাত করবে।
একজন মানুষও তেমনি সবার কাছে ভালো হবে না, কোনও না কোনও মানুষের স্বার্থে সে আঘাত করবেই।
* পৃথিবী বড়ই বৈচিত্রময়, নাকি মানুষেরা!
মানুষ নামের বিচিত্র মানসিকতার প্রাণীরাই পৃথিবীতে চষে বেড়াচ্ছে আর নিজের চিন্তা-ভাবনা, রুচি অন্যকে গছিয়ে দিতে চাইছে।
তাই পড়ে টান, টান থেকে টানাটানি, কার থেকে কে বড়।
আর সাধারণ যারা, টানাটানি করার পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে নি, তারা হয় বলির পাঠা।
একেকবার মনে হয় - করোনা ভাইরাস কি তেমনি এক বলি বা যজ্ঞ যার পাঠা আমরা! ভুল করে সে সর্বজনীন হয়ে গেছে!
যত যাই হোক, এই প্রথম পৃথিবীতে নিরপেক্ষ একটি বস্তুর আগমন ঘটল।
ধ্বংস চাই মনে মনে যার, আবার ধন্যও বলি যাকে।
২৬/০৫/২০
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৩৭১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৯/০৫/২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast