জীবন রুক্ষ ব্যবস্থা
ভূমিকা:
জীবন মানেই সংগ্রাম, আশা, হতাশা আর অনুভবের অনন্ত স্রোত। প্রতিটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কষ্টের ছোঁয়া পায়, কেউ সাময়িকভাবে, কেউ বা আজীবনের জন্য। কখনো আমরা চিৎকার করে কাঁদি, কখনো চুপিচুপি সয়ে নিই—কিন্তু কষ্ট থাকে। সেই কষ্টই ধীরে ধীরে মানুষকে গড়ে তোলে, আবার একইসঙ্গে ধ্বংসও করে দেয়।
---
মূল অংশ:
কষ্ট এমন এক অনুভূতি, যা মন থেকে চাইলেও চিরতরে মুছে ফেলা যায় না। জীবনের পথে পথে জমে থাকা আঘাত একসময় পাথরের মতো হয়ে ওঠে—নড়েও না, গলেও না। সুখ কখনো কখনো দরজায় এসে দাঁড়ায়, কিন্তু আশ্রয়ের অনুমতি না পেয়ে ফিরে যায়।
মানুষ কখনো বাহ্যিক সৌন্দর্যে মোহিত হয়, যেমন কেউ বাঁশগাছের ছায়ায় প্রশান্তি পায়, কিন্তু তার সুগন্ধ না থাকায় প্রশংসা করে কৃত্রিমভাবে। অথচ সেই বাঁশ, সমস্ত অবহেলা সহ্য করে মাথা তুলে দাঁড়ায়। সে বিদ্রোহ করে, যেন বলে—এই পৃথিবী বসন্তের নয়, এইখানে কোকিল জন্ম নিক না আর। মানুষ কাকের ঝাঁকে ময়ূরের পালক লাগাতে চায়, কিন্তু তাতে সে ময়ূর হয় না—বাহ্যিক রঙে আভিজাত্য আসে না।
জীবনে আমরা তিলে তিলে সুখ সঞ্চয় করি, ভাবি একদিন শান্তি আসবে। কিন্তু সেই সুখও ঝর্ণার স্রোতের মতো একসময় নিঃশেষ হয়ে যায়। কিছু মানুষের ভাগ্যে দুঃখ এমনভাবে জড়িয়ে থাকে, যেন তা তাদের শরীরের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। শুকনো গোলাপপাতায় যেখানে আশ্রয় খোঁজে না সুখ, সেখানে শুধুই থেকে যায় অভিমান।
অনেকে বলেন, ভাগ্যকে মেনে নিতে হয়। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য ভাগ্য যেন কেবল বেদনার কালি দিয়ে লেখা। তারা সারাজীবন তপস্যা করেও ছিটেফোঁটা শান্তিও পায় না। মরুভূমি যেমন জলের জন্য সাধনা করেও ব্যর্থ হয়, তেমনি আমার জীবনও তৃষ্ণার্ত, রুক্ষ, ফাটলধরা।
শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনির মতো হৃদয় আমার ঝরে পড়ে। বুকের গভীরে রক্তক্ষরণ হয় প্রতিনিয়ত—অথচ দৃশ্যমান নয় কারো কাছে। অনুভব করছি জীবনের এক এমন অন্তিম দশা, যেখানে পাথর আর পাথরের সংঘর্ষে বনভূমি জলে ভেসে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে জীবনের সৌন্দর্য, রঙ ও সুর।
---
উপসংহার:
জীবনের রুক্ষতা, কষ্ট আর অসমাপ্ত আশা—সবকিছু নিয়েই মানুষ। কারো জীবন রঙিন ফুলে ভরে ওঠে, কারো হয় কাঁটাঝোপের মতো রুক্ষ। কিন্তু তাই বলে থেমে যাওয়া চলে না। হয়তো কষ্টের মাঝেই একদিন নতুন অর্থ খুঁজে পাওয়া যাবে, নতুন রঙ ছুঁয়ে যাবে শূন্য হৃদয়কে।
জীবন যেমনই হোক, অনুভবই তার আসল সৌন্দর্য।
জীবন মানেই সংগ্রাম, আশা, হতাশা আর অনুভবের অনন্ত স্রোত। প্রতিটি মানুষ কোনো না কোনোভাবে কষ্টের ছোঁয়া পায়, কেউ সাময়িকভাবে, কেউ বা আজীবনের জন্য। কখনো আমরা চিৎকার করে কাঁদি, কখনো চুপিচুপি সয়ে নিই—কিন্তু কষ্ট থাকে। সেই কষ্টই ধীরে ধীরে মানুষকে গড়ে তোলে, আবার একইসঙ্গে ধ্বংসও করে দেয়।
---
মূল অংশ:
কষ্ট এমন এক অনুভূতি, যা মন থেকে চাইলেও চিরতরে মুছে ফেলা যায় না। জীবনের পথে পথে জমে থাকা আঘাত একসময় পাথরের মতো হয়ে ওঠে—নড়েও না, গলেও না। সুখ কখনো কখনো দরজায় এসে দাঁড়ায়, কিন্তু আশ্রয়ের অনুমতি না পেয়ে ফিরে যায়।
মানুষ কখনো বাহ্যিক সৌন্দর্যে মোহিত হয়, যেমন কেউ বাঁশগাছের ছায়ায় প্রশান্তি পায়, কিন্তু তার সুগন্ধ না থাকায় প্রশংসা করে কৃত্রিমভাবে। অথচ সেই বাঁশ, সমস্ত অবহেলা সহ্য করে মাথা তুলে দাঁড়ায়। সে বিদ্রোহ করে, যেন বলে—এই পৃথিবী বসন্তের নয়, এইখানে কোকিল জন্ম নিক না আর। মানুষ কাকের ঝাঁকে ময়ূরের পালক লাগাতে চায়, কিন্তু তাতে সে ময়ূর হয় না—বাহ্যিক রঙে আভিজাত্য আসে না।
জীবনে আমরা তিলে তিলে সুখ সঞ্চয় করি, ভাবি একদিন শান্তি আসবে। কিন্তু সেই সুখও ঝর্ণার স্রোতের মতো একসময় নিঃশেষ হয়ে যায়। কিছু মানুষের ভাগ্যে দুঃখ এমনভাবে জড়িয়ে থাকে, যেন তা তাদের শরীরের অংশ হয়ে দাঁড়ায়। শুকনো গোলাপপাতায় যেখানে আশ্রয় খোঁজে না সুখ, সেখানে শুধুই থেকে যায় অভিমান।
অনেকে বলেন, ভাগ্যকে মেনে নিতে হয়। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য ভাগ্য যেন কেবল বেদনার কালি দিয়ে লেখা। তারা সারাজীবন তপস্যা করেও ছিটেফোঁটা শান্তিও পায় না। মরুভূমি যেমন জলের জন্য সাধনা করেও ব্যর্থ হয়, তেমনি আমার জীবনও তৃষ্ণার্ত, রুক্ষ, ফাটলধরা।
শুকনো পাতার মর্মর ধ্বনির মতো হৃদয় আমার ঝরে পড়ে। বুকের গভীরে রক্তক্ষরণ হয় প্রতিনিয়ত—অথচ দৃশ্যমান নয় কারো কাছে। অনুভব করছি জীবনের এক এমন অন্তিম দশা, যেখানে পাথর আর পাথরের সংঘর্ষে বনভূমি জলে ভেসে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে জীবনের সৌন্দর্য, রঙ ও সুর।
---
উপসংহার:
জীবনের রুক্ষতা, কষ্ট আর অসমাপ্ত আশা—সবকিছু নিয়েই মানুষ। কারো জীবন রঙিন ফুলে ভরে ওঠে, কারো হয় কাঁটাঝোপের মতো রুক্ষ। কিন্তু তাই বলে থেমে যাওয়া চলে না। হয়তো কষ্টের মাঝেই একদিন নতুন অর্থ খুঁজে পাওয়া যাবে, নতুন রঙ ছুঁয়ে যাবে শূন্য হৃদয়কে।
জীবন যেমনই হোক, অনুভবই তার আসল সৌন্দর্য।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ০২/০৭/২০২৫চমৎকার অনুভূতির নান্দনিক সৃজন, খুব ভালো লাগলো।