আত্মস্বীকৃত নাস্তিক বদরুদ্দীন উমরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ এবং আমাদের হিপোক্রেসি
আজকাল বাংলাদেশে কোনো আত্মস্বীকৃত নাস্তিকের মৃত্যু হলেও, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ হিসেবে পরিচিত এই ভূখণ্ডের মানুষ তাকে নিয়ে শোক প্রকাশ করে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- এ শোক কি সত্যিকারের শোক, নাকি নিছক দ্বিচারিতা?
একদিকে ইসলামী দল ও বহু মুসলমানের কৃত্রিম কঠোর অবস্থান, অন্যদিকে সেই নাস্তিকের মৃত্যুতে তাদের শোকাহত হওয়া- এ যেন এক অদ্ভুত বৈপরীত্য। এতে স্পষ্ট হয়ে যায়, এখানে আসল মাপকাঠি ধর্ম বা আদর্শ নয়; বরং ১৯৭১, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিরোধিতাই মূল বিষয়। যে-ই আওয়ামী বিরোধিতা করবে, সে নাস্তিক হোক বা হিন্দু ধর্মাবলম্বী- মুহূর্তেই ইসলামী দল ও বহু মুসলমানের চোখে “বড় নেক বান্দা” হয়ে ওঠে।
উদাহরণস্বরূপ, পিনাকী ও বদরুদ্দীন উমরের নাম উল্লেখ করা যায়। পিনাকী একজন কট্টর হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী বিরোধিতার কারণে আজ কিছু মুসলমানের কাছে তিনি ইসলাম ধর্মের সেবক হিসেবে মহা ধার্মিকের মর্যাদা পেয়েছেন। একইভাবে বদরুদ্দীন উমর, যিনি বহুবার নিজের লেখা ও টিভি প্রোগ্রামে নিজেকে নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন- তারও মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছে তারা, শুধু তিনি ৭১'র বিরোধিতা করেছিলেন বলেই।
অতীতে বহু ইসলামী দলের বক্তারা নোবেলজয়ী ড. ইউনুসকে সুদখোর বলে কটাক্ষ করেছিলেন। অথচ আজ তাকেই সম্মানিত “পীর” রূপে উপস্থাপন করছেন। কারণ তিনি ঘোর আওয়ামী বিরোধী। এমনকি জনাব দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেবেকে " দেইল্লা রাজাকার " উপাধি দানকারী সে আসিফ নজরুলও এখন তাদের বড় ইমাম। আবার তারাই ভেবেছিল নরেন্দ্র মোদি জয়ী হলে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে এবং তারা ক্ষমতার মসনদে বসবে, তাই তারা মোদির বিজয়ে মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে উৎসব করেছিল, এখন তারাই আবার মোদী'র চরিত্রহননে ব্যস্ত কারণ শেখ হাসিনা এখন তার দেশে। তাই বলা যায়- যদি তসলিমা নাসরিন আজ থেকে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো শুরু করেন, তবে তার বাংলাদেশে ফেরা নিয়েও আর তেমন কোনো বাধা থাকবে না। আমারতো মনে হয় যদি বেশ্যারা আওয়ামীলীগের বিরোধিতা করে ওপেন সিক্রেট দেহ ব্যবসা চালায় তাহলে তাদের দৃষ্টিতে বেশ্যাগিরি জায়েজ বলে প্রচার করবে এই বলে যে, এরা বেশ্যা নয়- এরা দাসী। আর দাসী ইসলাম ধর্মে জায়েজ।
অতএব, যারা নিজেদের ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ বলে দাবি করেন, বাস্তবে তারা হিপোক্রেট ছাড়া আর কিছুই নন। কারণ, একদিকে ইমাম মাহাদীর সাথে তুলনা করার অভিযোগে একজন বৃদ্ধের লাশ কবর থেকে তুলে লাঠিপেটা ও পুড়িয়ে ফেলার মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটায়, আবার অন্যদিকে আরেক নাস্তিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে। এ দ্বিমুখী আচরণের ফলে এদের ভণ্ডামিই প্রকাশ পায়।
এমন ভণ্ড লোকেরাই ইতিহাস বিকৃত করে, স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে, আর যুক্তিনির্ভর প্রতিবাদ করলে কাউকে “নাস্তিক” তকমা দিয়ে চরিত্রহনন করে।
প্রার্থনা রইলো- আল্লাহ যেন এই ভূখণ্ডের মুখোশধারী ধর্মব্যবসায়ীদের হাত থেকে আবেগী মুসলমানদের ঈমান ও ইসলাম রক্ষা করেন।
একদিকে ইসলামী দল ও বহু মুসলমানের কৃত্রিম কঠোর অবস্থান, অন্যদিকে সেই নাস্তিকের মৃত্যুতে তাদের শোকাহত হওয়া- এ যেন এক অদ্ভুত বৈপরীত্য। এতে স্পষ্ট হয়ে যায়, এখানে আসল মাপকাঠি ধর্ম বা আদর্শ নয়; বরং ১৯৭১, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের বিরোধিতাই মূল বিষয়। যে-ই আওয়ামী বিরোধিতা করবে, সে নাস্তিক হোক বা হিন্দু ধর্মাবলম্বী- মুহূর্তেই ইসলামী দল ও বহু মুসলমানের চোখে “বড় নেক বান্দা” হয়ে ওঠে।
উদাহরণস্বরূপ, পিনাকী ও বদরুদ্দীন উমরের নাম উল্লেখ করা যায়। পিনাকী একজন কট্টর হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী বিরোধিতার কারণে আজ কিছু মুসলমানের কাছে তিনি ইসলাম ধর্মের সেবক হিসেবে মহা ধার্মিকের মর্যাদা পেয়েছেন। একইভাবে বদরুদ্দীন উমর, যিনি বহুবার নিজের লেখা ও টিভি প্রোগ্রামে নিজেকে নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন- তারও মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছে তারা, শুধু তিনি ৭১'র বিরোধিতা করেছিলেন বলেই।
অতীতে বহু ইসলামী দলের বক্তারা নোবেলজয়ী ড. ইউনুসকে সুদখোর বলে কটাক্ষ করেছিলেন। অথচ আজ তাকেই সম্মানিত “পীর” রূপে উপস্থাপন করছেন। কারণ তিনি ঘোর আওয়ামী বিরোধী। এমনকি জনাব দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সাহেবেকে " দেইল্লা রাজাকার " উপাধি দানকারী সে আসিফ নজরুলও এখন তাদের বড় ইমাম। আবার তারাই ভেবেছিল নরেন্দ্র মোদি জয়ী হলে আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হবে এবং তারা ক্ষমতার মসনদে বসবে, তাই তারা মোদির বিজয়ে মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে উৎসব করেছিল, এখন তারাই আবার মোদী'র চরিত্রহননে ব্যস্ত কারণ শেখ হাসিনা এখন তার দেশে। তাই বলা যায়- যদি তসলিমা নাসরিন আজ থেকে শেখ মুজিব ও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো শুরু করেন, তবে তার বাংলাদেশে ফেরা নিয়েও আর তেমন কোনো বাধা থাকবে না। আমারতো মনে হয় যদি বেশ্যারা আওয়ামীলীগের বিরোধিতা করে ওপেন সিক্রেট দেহ ব্যবসা চালায় তাহলে তাদের দৃষ্টিতে বেশ্যাগিরি জায়েজ বলে প্রচার করবে এই বলে যে, এরা বেশ্যা নয়- এরা দাসী। আর দাসী ইসলাম ধর্মে জায়েজ।
অতএব, যারা নিজেদের ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ বলে দাবি করেন, বাস্তবে তারা হিপোক্রেট ছাড়া আর কিছুই নন। কারণ, একদিকে ইমাম মাহাদীর সাথে তুলনা করার অভিযোগে একজন বৃদ্ধের লাশ কবর থেকে তুলে লাঠিপেটা ও পুড়িয়ে ফেলার মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটায়, আবার অন্যদিকে আরেক নাস্তিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে। এ দ্বিমুখী আচরণের ফলে এদের ভণ্ডামিই প্রকাশ পায়।
এমন ভণ্ড লোকেরাই ইতিহাস বিকৃত করে, স্বার্থসিদ্ধির জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে, আর যুক্তিনির্ভর প্রতিবাদ করলে কাউকে “নাস্তিক” তকমা দিয়ে চরিত্রহনন করে।
প্রার্থনা রইলো- আল্লাহ যেন এই ভূখণ্ডের মুখোশধারী ধর্মব্যবসায়ীদের হাত থেকে আবেগী মুসলমানদের ঈমান ও ইসলাম রক্ষা করেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ০৮/০৯/২০২৫নাইস
-
ফয়জুল মহী ০৭/০৯/২০২৫Good post