www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

হোক ন্যায়বিচারের প্রতীক রাষ্ট্র

পৃথিবীতে দেখা গেছে, স্বৈরশাসকরা তাদের প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য নানা ধরনের অপকৌশলের আশ্রয় নেয়। হিটলার রাইখস্ট্যাগে আগুন দিয়ে বক্তৃতায় বললেন, কমিউনিস্টরা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাচ্ছে, তারপর কমিউনিস্ট দমনের জন্য হিটলার তৎপরতা শুরু করলেন এবং শেষ পর্যন্ত হিটলারের শাসন মারাত্মক ফ্যাসিস্ট শাসনে পরিণত হয়েছিল। ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করার জন্যই অজুহাত বা পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য যেমন নিজেরা রাইখস্ট্যাগ চালিয়েছিল তেমনি আওয়ামী সরকার যে নিজেরা ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যার ব্যবস্থা করে জামায়াত-শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্তে মেতে উঠছে না তা জোর করে বলা চলে না। ছাত্র শিবিরের ছেলেরা কোনও বর্গী সম্প্রদায়ের সন্তান নয়, এ দেশের মাটির সন্তান। এরা টেন্ডারবাজি করে না, ভর্তিবাণিজ্য করে না, নারীর শ্লীলতাহানিসহ কোন অনৈতিক অপরাধে জড়িত নয়। নিজেরা নিজেরা ক্ষমতার দ্বনেদ্ব একে অপরের গলা কাটে না। অস্ত্রবাজি গলাবাজি এদের অভ্যাস নয়। ছাত্র অঙ্গনে সবচেয়ে মার্জিত, রুচিশীল ছাত্রশিবির। এসব ছাত্রদেরকে বিনা অপরাধে একমাত্র ইসলামী আন্দোলনের অপরাধে(?) কোমরে দড়ি বেঁধে টেনে হিঁচড়ে নেয়া হচ্ছে জেলখানায়। এ চিত্র দেখে দেশের সচেতন জনতা বিবেকবান মানুষ লজ্জায় মাথা নোয়াচ্ছে।
বর্তমান সরকার আইনের শাসন চালাচ্ছে না। চালাচ্ছেন ব্যক্তির ইচ্ছা-অভিরুচি ও খামখেয়ালীর শাসন। এ ধরনের শাসনকে গণতান্ত্রিক বলা চলে না, বরঞ্চ বলা যাবে চরম স্বৈরতান্ত্রিক। একটি নির্বাচন হয়ে যাবার পর যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন সে দল যদি ভাবতে থাকে, যা খুশি তা যথেচ্ছভাবে করার নিরঙ্কুশ ও একতরফা ম্যান্ডেট পেয়ে গেছে তা ভাবাও হবে মারাত্মক অন্যায় ও অমার্জনীয় ভুল। টেকনিক্যাল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলছে আওয়ামী সরকার, তারা নির্বাচনকালীন সময়ে জনগণের কাছ থেকে তাঁদের যে মূল hidden agenda তা চাতুর্যের সাথে আড়াল করে রেখে যখন জনগণের ওপর চরম নিপীড়ন ও নির্যাতন শুরু করেছেন। বর্তমান সরকার ভারতের পক্ষপুটে আশ্রয় নেবার আত্মহননমূলক এক হীন কামনা, বাসনা ও লালসায় উন্মত্ত, তাদের এই উন্মত্ত লালসায় যারা বাধা- জামায়াত, শিবির ও জাতীয়তাবাদী শক্তি এদেরকে তাই দমন নিপীড়নের সাহায্যে নিশ্চিহ্ন করার চন্ড নীতি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ।
গণতান্ত্রিক দেশে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ও দল-সংগঠনকে সহ্য করার মতো সাহস হারিয়ে ফেলেছে বর্তমান সরকার। কারণ একটাই-ভারতের সাথে সম্পাদিত চুক্তি বাস্তবায়নের বিরোধী সম্ভাব্য শক্তিকে যদি নিপীড়ন, হত্যা ধরপাকড়ের তান্ডব সৃষ্টি করে ঠান্ডা করা না যায় তাহলে ক্ষমতায় আসার জন্য ভারতের সাথে hidden agenda বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। এছাড়া ইসলামী শক্তিকে দুর্বল করার আন্তর্জাতিক চক্রান্ত তো আছেই।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৯০৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৩/০৯/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • মোহাম্মদ ২৪/০৯/২০১৬
    হ্ফ্ভ
  • রোজারিও ২৪/০৯/২০১৬
    বর্তমান সরকার ভারতের পক্ষপুটে আশ্রয় নেবার আত্মহননমূলক এক হীন কামনা, বাসনা ও লালসায় উন্মত্ত, তাদের এই উন্মত্ত লালসায় যারা বাধা- জামায়াত, শিবির ও জাতীয়তাবাদী শক্তি এদেরকে তাই দমন নিপীড়নের সাহায্যে নিশ্চিহ্ন করার চন্ড নীতি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ।

    আপনি রাজনীতিবিদ হয়ে থাকলে পরামর্শ নিন ।মাঠে নামুন ।ব্লগে টুংটাং করা রাজনীতিবিদ বিষ্ঠার চেয়ে নগন্য ।। আর যদি বুদ্ধীজীবি(!) টাইপো হন....তাহলে শুনুন ।জামায়াতে ইসলামী নামে বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার বাংলার মাটিতে থাকতে দেওয়া হবে আমাদের মাতৃত্বকে অস্বীকার করা ।রাজাকারদের কিহবে তার বিচার ট্রাইবুনাল করুক ।নতুন প্রজন্মে যারা ইসলামী রেনেশার আন্দোলন করবে তাদের সম্পূর্ণ নতুন প্লাটফর্ম থেকে করতে হবে ।জামায়াতের ছায়াতলে কোন গোষ্ঠীর যেকোন কর্মকান্ড ১৬ কোটি নোংড়া হিসেবেই গন্য করে ।দেশে ইসলামী আন্দোলন কারীদের প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত জামায়াত-কে ভেঙে দেওয়া ।। বিএনপির যে হাল করেছে জিয়া পরিবার ,এই দলটি খুব শীঘ্রই সোজা হয়ে দাড়াতে পারবে না ।
  • এমন আবোলতাবোল লেখা কার জন্য?
  • সোলাইমান ২৩/০৯/২০১৬
    খুব ভাল
 
Quantcast