www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

রেল গাড়ি

রেলওয়ে দীর্ঘদিন ধরে যে ইঞ্জিন ব্যবহার করে আসছে, এ ক্ষেত্রেও সেই একই ইঞ্জিন কেনার চেষ্টা করা হয়। নতুন মডেলের ইঞ্জিন কেনা হলে রেলওয়ের লোকজনকে তার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে অনেক সময় লাগবে। এ ছাড়া ইঞ্জিনের কম গতিবেগ এ দেশের রেললাইনের জন্য উপযোগী। বেশি গতিবেগে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ে। এর আগে বেশি আরপিএমের ইঞ্জিন কেনা হয়েছিল। তার ফল ভালো হয়নি। এ কারণে পুরনো মডেলের ইঞ্জিন কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের তথ্যমতে, ৭০টি ইঞ্জিন কেনায় ব্যয় ধরা হয় এক হাজার ৯৪৫ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বিডার্স ফাইন্যান্সের আওতায় কেনা ইঞ্জিনগুলোর ঋণ-সুদসহ বাংলাদেশ সরকার পরিশোধ করবে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ চালু অবস্থায় কেনা ৩০টি ইঞ্জিনের দাম ধরা হয় ৯২৪ কোটি টাকা, অর্থাৎ ইঞ্জিনপ্রতি দাম নির্ধারিত হয় ৩০ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
অথচ ২০০৯ ও ২০১১ সালে রেলওয়ের জন্য একই ধরন ও বৈশিষ্ট্যের যথাক্রমে ৯টি ও ১১টি ইঞ্জিন কেনায় খরচ ছিল অনেক কম। এগুলোর সরবরাহকারীও ছিল জিএম মোটরসের দক্ষিণ কোরিয়া ইউনিট। ২০১১ সালের তুলনায় ইঞ্জিনপ্রতি দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা অতিরিক্ত দাম ধরা হয়।
৭০টি ইঞ্জিনের মধ্যে আংশিক খোলা ২৫টির দাম ধরা হয় ৫৪৬ কোটি টাকা। আর সম্পূর্ণ খোলা ১৫টি ইঞ্জিনের দাম ধরা হয় ২৯৪ কোটি টাকা। রেলওয়ের নিজস্ব কারখানায় এগুলো সংযোজন করার চিন্তা ছিল। এ ক্ষেত্রেও ইঞ্জিনপ্রতি এক কোটি টাকা করে বেশি ব্যয় ধরা হয়। এর বাইরে প্রকল্পের আওতায় ৮ শতাংশ ভেরিয়েশন মূল্য ধরা হয়। এ ছাড়া প্রতিনিধি দলের বিদেশ সফর ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ, খুচরা যন্ত্রাংশ, গাড়ি ও আসবাব কেনাসহ বিভিন্ন খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ব্যয় উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) ধরা হয়। এসব খাতে ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১৮২ কোটি টাকা। (সূত্রঃ দৈনিক সমকাল ১৮ আগষ্ট ২০১৪)
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৭০৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৮/০৯/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast