www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

প্রসঙ্গঃ ডাঃ মাহফুজুর রহমান ও বাংলার সঙ্গীত অঙ্গন



একটি প্রবাদ আছে ‘পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে’ এই প্রবাদটি আমাদের সঙ্গীত অঙ্গনের ক্ষেত্রে মানায়। বাংলাদেশের সঙ্গীত অঙ্গনে (৭০, ৮০, ৯০) এই তিন দশকে প্রচুর সঙ্গীত সৃষ্টি হয়েছে তা কিনা সব জেনারেশনের মন কাঁড়তে সক্ষম হয়েছে। তখন কার সময়টাকে ‘স্বর্ণ যুগ বলা চলে’। এই সময়ে উনারা প্রচুর কালজয়ী সঙ্গীত উপহার দিয়েছেন। অনেক শিল্পী, গীতিকার, সুরকার তাহাদের অমর কর্মে মানুষের মনে বাস করেছেন। নব্বই দশকে তো ক্যাসেট শিল্পে বিপ্লব ঘঠেছিল সব ধরনের উৎসবে নতুন ক্যাসেট উৎসবের আমেজ বাড়িয়ে দিত। সবাই এক উৎসব শেষ হতেই অন্য উৎসবের জন্য গান তৈরির কাজে লেগে যেত।

এই শতাব্দীতে এসে আমাদের সঙ্গীত অঙ্গন ট্যাকনিকেল, টেকনোলজি দিয়ে অনেক উন্নতি করেছে (কিছু ক্ষেত্রে আমরা নকল কথা, সুর ও সঙ্গীতে গান করতেছি) আর এখন আর সে রকম গান সৃষ্টি হয়না যে তিন জেনারেশন এর ভাল লাগবে, এখন প্রচুর প্রচার প্রসার ইন্টানেটের কল্যাণে এক নিমিষে গান পৌছে যাচ্ছে শ্রোতাদের কাছে এবং তা জলদী হারিয়েও যাচ্ছে।
এখন আসি আজকের আলোচনার বিষয়ে এক স্ত্রী বলেছেন ‘তোমার গানের গলা তো বেশ ভাল, সালমান খান হ্যাংওভার গাইতে পারলে তুমি কেন পারবা না? তুমি তার চাইতে অনেক গুণ বেশি ভাল গান গাও’ এই মনোবল বেড়ে গেল এবং তার পর তো ইতিহাস!

ডাঃ মাহফুজুর রহমান উনি উনার স্ত্রীকে খুব ভালবাসে তার প্রমান মিলে গেল শাহজাহান উনার স্ত্রীর জন্য তাজমহল তৈরি করতে পারলে ডাঃ মাহফুজুর রহমান তো শুধু গান গাইলেন এটা কোন অপরাদ নয়, আমরা তো টিভিতে অনেক প্রোগ্রামই দেখি সব প্রোগ্রাম কি ভাল লাগে? ঠিক তেমনি মন্দ লাগা একটি প্রোগ্রাম হিসেবে এটিও হারিয়ে যাবে কিন্তু ডাঃ মাহফুজুর রহমান সাহেবের সাহসকে আমি সাধুবাদ জানাই।
এই থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে ভাল কথা, সুর, সঙ্গীত কণ্ঠ যাচাই-বাছাই করেই গান তৈরি করতে হবে। যেন অল্প কয় দিনে গানটি হারিয়ে না যায় শ্রোতাদের মনে যেন অনেক দিন থেকে যায়।
প্রবাদ দিয়েই শেষ করি Old is Gold.
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৯৬৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৯/০৯/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast