www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

যাত্রা নাস্তি (শেষ পর্ব)

পথটা মানচিত্রে যতটা সহজ দেখায় আসলে কিন্তু তা না। বরং বেশ প্যাঁচানো। সবচেয়ে বড় ঝামেলা মানচিত্রে মাত্র একটি পথ চিহ্নিত করলেও এখানে শাখা প্রশাখা মিলিয়ে প্রায় ৫ টি আলাদা পথ বেরিয়ে গেছে।

কিন্তু বর্ষার ঢলে পথ ভেঙে যাওয়ায় আপাতত একটি পথ ধরেই এগুতে হচ্ছে। রাতের আকাশে চাঁদ উঠেছে কিনা সেটাও বোঝা যাচ্ছে না গাছের কারণে।
এদিকটায় জঙ্গল না থাকলেও গাছ গাছালির প্রাচুর্য মোটামুটি ছোট সাইজের জঙ্গল বানিয়ে ফেলেছে। বাতাসে ঝি ঝি পোকার চেচামেচি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যে নির্জনতার নির্দেশক এরা।

পথের একধারে দুটো লিচুগাছ দেখে আকাশবাবু দাঁড়িয়ে গেলো। এতক্ষণে খেয়াল হলো তার যে, আজ সারাদিনে এক কাপ চা আর আধাবাটি স্যুপ ছাড়া সে কিছু মুখে দেয়নি।
খিদের জ্বালায় পেট জ্বলে যাচ্ছে।

পেটে যা স্যুপ ছিল তা সে একটু আগে নিষ্কাশন করে দিয়েছে পথের ধারে। তবে লিচু গাছে কোনো লিচু নেই। তাই এই গাছ তার কাছে এক অভিশাপ হিসেবে ধরা দিলো।

এক দানা মুখে না দিলে সে রেলপথ যাওয়ার পূর্বেই অক্কা পাবে। সে আরো কিছুদূর বহু কষ্টে পা টিপে টিপে সামনে এগিয়ে গেলো। যদি কোনো কিছু মিলে যায় এই আশায়।

তবে তেমন কিছু মিললো না। উল্টো কোনো অজানা বুনো ফল মুখে দেয়া মাত্র সে হড়বড় করে বমি করে দিলো।
পেটে যতটুকু স্যুপ জমা ছিল তাও জলের মতো বেরিয়ে পড়লো। ক্লান্ত হয়ে সে বসে পড়লো পথের ধারে।

ভেজা মাটির কাদায় কেমন ঘেন্না করছে তার। তবে কিছু করার নেই এখন। আজকের সারাদিনের নানা চিত্র তার মনের মাঝে এসে বার বার বিদ্রূপ করে যাচ্ছে।

সে পূর্বদিকে মাথা কাত করে চোখ বুজে ফেললো। কতক্ষণ এভাবে ছিল সেই হিসাব নেই। হঠাৎ দূর থেকে এক শিয়ালের ধ্বনিতে সে উঠে পড়লো। বাচ্চা মেয়ের মতো অদ্ভুত সেই ধ্বনি। এর প্রত্যুত্তরে খুব কাছেই এক কুকুর ডেকে উঠলো।
আকাশবাবু সেদিকে তাকাতেই একটি জ্বলন্ত পিদিমের উঠা নামা করা আগুনের দেখা পেলো।

প্রায় লাফ দিয়ে উঠে পড়লো সে। জ্বলন্ত পিদিম যেন লোকালয়ের এক সূক্ষ্ম নির্দেশক হয়ে জ্বলছে। সেখানে নিশ্চয় কোনো খাবার মিলবে তার। সে দ্রুত সেদিকে হাঁটা ধরলো।

একদম কাছে গিয়ে সে দেখলো দুই ঘরের একটি ছোট পরিবার। একটি ঘরে বেশ কয়েকজন মানুষের আনাগোনা। আর উঠানের একটু দূরে জঙ্গলের কাছে যেই ঘরটা সেটা হচ্ছে রান্নাঘর।

আকাশবাবু একবার ভাবলো ভেতরে গিয়ে খাবার চাইবে। কিন্তু পরক্ষণে সে ক্ষান্ত হলো। তার মনে পড়লো সারাদিনের কথা। বুড়ো আর রেঞ্জারের আতিথ্যেয়তার পর যা হয়েছে তার পুনরায় হবে না এমন নিশ্চয়তা নেই।

তাই একটা পথই খোলা। সেটা হচ্ছে চুরি। তার খাবার চুরি করতে হবে। সেটা কোনো ব্যাপারই না। মহিলা খাবারের ডেকচি নিয়ে রান্নাঘর থেকে ঘরের দিকেই যাচ্ছিলো। ঘরে ঢুকে সে দরজা বন্ধ করে দিলো।
আকাশবাবু বেশ অবাক হলো। যেন তাকে খাবার ঘরে যেতে আহ্বান করছে স্বয়ং ঈশ্বর। সে মনে মনে বললো, মাত্র এক মিনিটের ব্যাপার। আমি পারবো। আমাকে পারতেই হবে।
তার পেটের ভেতর তখন ইঁদুর দৌড়াচ্ছে।

সে পাঞ্জাবির কোণা দিয়ে মুখ মুছে নিলো। তারপর এক মিনিট অপেক্ষা করলো। না, কেউ বের হয়ে আসছে না। ঘরের ভেতর আসন পাতানোর আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। কাসার গ্লাসে পানি ঢালার শব্দও ভেসে আসছে।

সে একবার পিদিমটার দিকে তাকালো। ফের রান্না ঘরের দিকে একবার দেখে সে রামের নাম জপতে জপতে এগিয়ে গেলো রান্নাঘরের দিকে। একদম কাছে চলে আসার পর তার নাকে সবজির মিষ্টি ঘ্রাণ এসে হুমড়ি খেয়ে পড়লো।

* * *
রূপালি রঙের ব্লেডখানা সকালের সোনালী রোদে চিকচিক করে উঠলো। সেটাকে ডানহাতের তর্জনী দিয়ে সামান্য স্পর্শ করে খিল খিল করে হাসতে থাকলো রবি নাপিত।

প্রায় ১৮ বছর ধরে মানুষের চুল কেটে এসেছে সে। গরম পড়লেই সবাই রবি নাপিতকে ডাকে। সে উৎসাহ নিয়ে গন্ধ সাবান মাখিয়ে মানুষের মাথা ন্যাড়া করে ফেলে।

তবে রবি নাপিত তার এই দীর্ঘ সফল ক্যারিয়ারে কখনো এধরনের মাথা ন্যাড়ার যজ্ঞ করেনি।
চারপাশে উৎসুক জনতার আনন্দ উল্লাস শুনে মনে হচ্ছে পাড়ার মাঠে গুরগাও একাডেমি আর ধবলপুর একাদশের ফুটবল খেলা হচ্ছে। এইমাত্র টেনা গোল করেছে।

“এই রবিদা। তাত্তাড়ি মারো না।” একজন চিৎকার করে উঠলো। গ্রামের মাতবর গোছের অনেকেই আমন্ত্রিত হয়েছেন। তারা আসরের মাঝামাঝি স্থানে মোড়ায় আসন পেতে বসে আছেন।

এদের সম্মানার্থে রবি আজ তার নতুন জামা আর ধুতি গায়ে দিয়েছে। তার মাথা তেলে চিকচিক করছে। সেখানে থেকে সামান্য তেল নিয়ে সে ব্লেডে মুছে নিলো। এর ফলে কাজ করতে সুবিধা হবে। কারণ, যার চুল কাটা হবে তার মাথা ধূলি আর কাদায় ভর্তি।

জনতার মাঝে একজন বিশাল পাতিলে করে আনা পানি ঢেলে দিলো বেঁধে রাখা লোকটার মাথায়। এর ফলে জনতা আরো জোরে হর্ষধ্বনি করে উঠলো। লোকটার জখম হয়ে যাওয়া চেহারার দিকে তাকিয়ে যেন আরো মজা পাচ্ছে তারা।

রবিদা চুক চুক করে উঠলো জিহবা দিয়ে। বেচারা বদমাইশ চোর! চেহারাখানা একদম ছাতু করে দিলো পিটিয়ে।

গালের ফোলা ঘা রক্ত জমে লাল হয়ে ছিল। সেটা দিন বাড়ার সাথে সাথে নীল বর্ণ ধারণ করেছে। ঠোঁটের কাটা অংশ দিয়ে গল গল করে রক্ত ঝরছে। হঠাৎ করে পানির ঝাঁপটা পেয়ে সে খাবি খেয়ে উঠলো। মুখ দিয়ে মাছের মতো আর্তনাদ করতে থাকলো সে।

রবিদা তার ধুতিতে হাত ভালো করে মুছে নিলো। তারপর মাতবর সাহেবের কাছে গিয়ে দাঁড়ালো।

মাতবর পানখাওয়া মুখেই মাথা নাড়তে থাকলো। বুড়ো মানুষ আসতে চায়নি। কিন্তু লোকজনের চাপে সে আসতে বাধ্য হয়েছে। তাই দ্রুত কাজটা শেষ করে দিলে তারই সুবিধা।

রবিদা নিজেও দোকান ফেলে চলে এসেছে। এক খদ্দেরের মাথা অর্ধেক কামিয়ে দেয়ার পর পাড়ার ছেলেপিলে এসে তার দোকানে হাজির হয়েছে। বেচারা খদ্দেরকে সেভাবেই উঠে যেতে হয়েছে। বাকিটা এই কাজ করার পরে হবে আশ্বাস দিয়ে সে ছুটে এসেছে।

রবিদা ব্লেড নিয়ে এগিয়ে গেলো চোরের দিকে। চোর বেচারা মাথা নেড়ে বাধা দিচ্ছিলো। রবিদা ক্ষুর চালাতে ভয় পাচ্ছিলো। পাছে অন্যকিছু কেটে যায়। সে ক্ষেত্রে রক্তারক্তি হয়ে যাবে।
সে হুংকার দিয়ে উঠলো, “এই বদ চোট্টা, মাথা সোজা কর।”

চোর আরো জোরে মাথা নাড়তে থাকে। রবিদা বিরক্তি হয়ে বসে থাকলো। তখন ভিড় ঠেলে এক শক্তিশালী বলিষ্ঠ জোয়ান এগিয়ে আসলো। এসে সজোরে চড় মারলো চোরের গালে। মুহূর্তের মধ্যে জনতা চুপ হয়ে গেলো।

চোর বেচারা এবার মাথা নাড়ানো বন্ধ করে ঠায় বসে রইলো। চড়ের তীব্রতা এতই ছিল যে তার কান দিয়ে রক্ত পড়ছে চুয়ে চুয়ে।

এবার রবিদা রামের নাম নিয়ে চুল কাটা শুরু করলো। সাথে সাথে জনতার উল্লাসও ফিরে আসলো। পাঁচ মিনিটের মাথায় অর্ধেক মাথা ন্যাড়া হয়ে গেলো।

মাতবর সাহেব এবার উঠে দাঁড়ালো। সে মাথা দিয়ে কি যেন ইশারা করলো সেই জোয়ানের দিকে। জোয়ান এসে রবিদাকে থামতে বললো।
“ব্যস। এতটুকুই হবে। এবার বেটারে ছাইড়া দেন।”

রবিদা চোরের ন্যাড়া মাথার দিকে তাকালো। অনিচ্ছা সত্যেও সে ফিক করে হেসে উঠলো। শুধু সে না, জমায়েতের সবাই তখন একে অপরের গায়ের উপর পড়ে হাসতে থাকলো।

চোর এবার অদ্ভুত জন্তুর মতো শব্দ করে কান্না করতে থাকলো। কী করুণ সে কান্নার ধ্বনি। কিন্তু জনতার কাছে সেটা হাসির মাত্রা বর্ধক টনিকের মতো কাজ করলো।

তারপর চোরের বাঁধন খুলে দেয়া হলো। চোর তখন পাগলের মতো উত্তর দিকে ছুটে গেলো। তার দৌড় দেখে সবাই আরো মজা পেয়ে গেলো। সামনের সাড়ির অনেকে তার দিকে ইট ছুঁড়ে মারলো। সেটা তার গায়ে পড়লো কি না বোঝা গেলো না।
* * *

গুরগাও রেলপথ ধরে এগুচ্ছে আকাশবাবু। তার চোখমুখ মারাত্মক জ্বালা করছে। শরীরের জখমগুলো যেন তাকে বেঁধে রেখেছে। যেন এক পা না এগুতে পারে। তাই দৌড় থামিয়ে সে হাঁটা ধরলো। তার হৃদপিণ্ড বেশ জোরে জোরে লাফাচ্ছে।


সবই ষড়যন্ত্র। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারী কে? সে জানে না। তার কিছু জানার ইচ্ছাও নেই। তার শরীর টলছে ক্ষুধায়। কিন্তু মন টলছে না। যেভাবেই হোক তার গুরগাওতে যাওয়া দরকার।

রেলপথ এবার ক্ষেত পেরিয়ে নির্জন গ্রামীণ পরিবেশে প্রবেশ করলো। এখানকার এলাকা সে চিনে। পিসির বাড়ি যাওয়ার পূর্বে ট্রেন থেকে মাথা বের করে সে বহুবার এই দৃশ্য দেখেছে।

বিশাল বিশাল দিঘীর পাশে ছোট দ্বীপের মাঝে একেকটা বাড়ি। এদের মাঝে দূরত্ব কম করে হলেও ৫০০ মিটার করে। প্রতিটি বাড়ির সাথে দুটো তালগাছ যেন অতন্দ্র প্রহরীর মতো দিনরাত পাহারা দিচ্ছে।

দিনের এই সময়টায় বাড়িগুলো নির্জন হয়ে পড়ে। মালিকশ্রেণীর আবাসস্থল থেকে জোতদাররা অনেক আগেই মাঠে চলে যায় তদারকি করতে। অনেকে শহরে গুদামঘর দেখতে যায়। সামনের বিশাল হলুদ বাড়িটার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে সামনে হাঁটছিলো আকাশবাবু।

বাড়ির সামনের উঠানে বসে খেলা করছে এক শিশু। আন্দাজ করে বলা যায়, শিশুর বয়স হবে ৫ এর কাছাকাছি। সে খুব মনোযোগ দিয়ে পুতুল নিয়ে খেলা করছে। তার সামনে ছড়িয়ে আছে খেলনা ঘোড়া, মাটির হাড়ি পাতিল আর কলমি শাকের কুচি করা পাতা। সেই পাতা থেকে ঘাস ধরনের একটা গন্ধ ছড়াচ্ছে।

আকাশবাবু রেলপথের উপর বসে বসে সে দৃশ্য দেখতে থাকলো। দূর থেকে কলকাতা ফেরত ট্রেন চলে আসছে। সেটা চলে যাওয়ার আগে রেলপথ দিয়ে হাঁটা বিপদজনক। ট্রেন আরেকটু কাছে আসলে সে রেলপথ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে মেঠোপথের দিকে খানিকটা নিরাপদে চলে গেলো।

তার খাদি পাঞ্জাবি তখন ছিঁড়ে শার্টের মতো হয়ে গেছে। সেটায় এখানে ওখানে চুল লেগে আছে। যার ফলে চুলকানির মাত্রা বেড়ে গেছে। সে ট্রেনের দিকে একপলক তাকিয়ে রইলো। সেটা ঝড়ের বেগে তাকে অতিক্রম করে চলে যাচ্ছে।

ট্রেন চলে যাওয়ার পর সে পুনরায় হাঁটা শুরু করতে যাবে, ঠিক তখন হলুদ বাড়ির দরজার কাষ্ঠল শব্দে সে ফিরে তাকালো। বাড়ির গৃহিণী এক বিশাল মাছ নিয়ে উঠানে চলে এসেছে। সেখানে মাছ কাটা হবে। উঠানে এক বিশাল বটি দেখে তার কেমন গা শিরশির করে উঠলো।

অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর হঠাৎ সে কিছু একটা দেখে স্তব্ধ হয়ে গেলো। এ কী দেখছে সে!
না কোনো পোস্টার এখন তাকে অবাক করতে পারবে না। সে ক্ষমতা আর ভয় অনেক আগেই সয়ে গেছে। তাহলে?

সে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে গৃহিণীর দিকে। অবিকল সেই ট্রেনের ঘোমটা পরা মহিলার মতো লাগছে তাকে। সে আরো এগিয়ে গেলো। উঠানের শিশুটাকে ভালো করে দেখা লাগবে। হঠাৎ চুল কাটা এক পাগলের আগমন দেখে গৃহিণী ভয়ে চিৎকার করে উঠলো।
কিন্তু তার চিৎকার শোনার কেউ নেই। আশেপাশের পাঁচ ছয় বাড়ি পর্যন্ত কোনো পুরুষ মানুষ নেই। এই সময়ে থাকার কথাও না।

আকাশবাবু শিশুটার প্রায় ৩ হাত দূরত্বে চলে আসলো। তখন মহিলা ছুটে গিয়ে শিশুকে কোলে তুলে নিলো। তারপর চিৎকার করে কিসব বলে যাচ্ছিলো, যার কোনো কিছুই আকাশবাবুর কানে ঢুকছে না। কারণ, সে এবার নিশ্চিত হয়েছে এই সেই মহিলা।

সে দাঁড়িয়ে একগাল হেসে নিলো। মহিলা তার কদর্য হাসি দেখে পেছন ফিরে দৌড়ে ঘরের ভেতর ঢুকে ভেতর থেকে বন্ধ করে দিলো।

আকাশবাবু এ দৃশ্য দেখলো কিছুক্ষণ। এর আগে কেউ তাকে দেখে এত ভয় পায়নি। তার খুব ভালো লাগছে। একটা পৈশাচিক আনন্দ খেলে যাচ্ছে মনের ভেতর। উঠানে ফেলে রাখা বটির দিকে সে একনজর দেখলো। তারপর খোঁড়াতে খোঁড়াতে সেখানে গিয়ে বটিটা ডান হাতে তুলে নিলো।


বিশাল সবুজ ভূমি।
তালগাছ ঘেরা ঘরগুলোতে কোনো শব্দ নেই। কিছুক্ষণ বাদে কলকাতাগামী ট্রেন এদিক দিয়ে সাই করে ছুটে যাবে।
রোদে পোড়া প্রকৃতি সামান্য দুলে উঠবে।
দূরে দেখা যায় ছোট ছোট ঘর। ঘর ছাপিয়ে সরকারি রেঞ্জারের আওতাধীন জঙ্গল। এর বাইরে কোনো বৈচিত্র নেই।
রেললাইনের পাশের বিলবোর্ডে অনেকগুলো পোস্টার টানা। যার উপরের বড় অক্ষরে জ্বলজ্বল করে লেখা, ‘একে ধরিয়ে দিন’।
কিন্তু কোনো নাম ঠিকানা ছিল না লেখা।
শুধু একটি পোস্টারের উপর কে যেন লালকালি মাখা হাতের ছাপ দিয়ে চলে গেছে। সেটা দেখতে রক্তের মতো টকটকে লাল!

(সমাপ্তি)
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৬৯৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৯/০৫/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast