গোপলার কথা ১০৫
গ্রন্থাগার
গ্রন্থাগার হল জ্ঞানের ভাণ্ডার। যত তথ্য যত ভাবনা সব কিছুই অক্ষরে আবদ্ধ থাকে এই গ্রন্থাগারে।
কালো অক্ষরে যে আলো আছে তা বার বার প্রমাণিত। কিন্তু বর্তমানে অনলাইন সার্চের মাধ্যমে যা আসছে তাতে গ্রন্থাগারের ভূমিকা ক্রমে কমে আসছে। তবু আজকাল বই লেখা হয়। প্রকাশিত হয়। বিক্রিও হয়। আর গ্রন্থাগারেও যায়।
সেই সব তথ্য ভাবনা জ্ঞানের শেষ আশ্রয় এখনও গ্রন্থাগার।
বই পড়ার যে মজা এবং জ্ঞান বিস্তারের দিক তাকে অস্বীকার করা যায় না। আজও শিশু শ্রেণি থেকে বি এড, পি এইচ ডি ইত্যাদি যত দূর একাডেমিক বিষয় পড়ানো হয় সবই বইয়ের মাধ্যমে। এমন কী এই সব পরীক্ষা কোন টিক মার্ক নয়। প্রশ্নের সঠিক উত্তর লিখে পরীক্ষা দিতে হয়। আর এইসব পড়ার জন্য রেফারেন্স এই গ্রন্থাগার থেকে নিতে হয়।
বোধ বুদ্ধি জ্ঞান বাড়ানোর সাথে সাথে তথ্য সংগ্রহের শেষ আশ্রয় তাই গ্রন্থাগার। গ্রন্থাগার ছাড়া আজকের লিপিবদ্ধ ভাবনা একশ পাঁচশ বছর পরে কিংবা আজ থেকে পাঁচশ হাজার বছর আগের লিপিবদ্ধ ভাবনা গ্রন্থাগার ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যাবে না।
বই অস্বীকার করে সভ্যতার পথে এগোনো আদৌ সম্ভব নয়। কম হোক বেশি হোক বর্তমানে বই আজও অপরিহার্য। সেই বইয়ের সংরক্ষণের জায়গা গ্রন্থাগার।
হারিয়ে যাওয়া জীবন ভাবনা পথের দিশা মন্দ অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা সবই খুঁজে পাওয়া যায় গ্রন্থাগারে। বইয়ে। শেষ আশ্রয়ও বলা যেতে পারে। তবে তা গ্রহণ করার যে অবস্থান সেই অবস্থানে উন্নিত হওয়া শিক্ষার আর এক ধাপ।
গ্রন্থাগার সমাজের থেকে দূরে সরে যাবে জীবনের আশ্রয় তত দূরে সরে যাবে। অনলাইন যত থাবা বসাক বইয়ের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নাই।
কবিতা গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ ইত্যাদি বইয়ের বাইরেও আরো অনেক নতুন নতুন ভাবনার জ্ঞান ভাণ্ডার গ্রন্থাগারে পাওয়া যায়।
এই যে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলা সভ্যতা তো আর একদিনে গড়ে ওঠে নি। হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠার সভ্যতার খুঁটিনাটি তথ্য ভাবনা জ্ঞান সবই গ্রন্থাগারে উপলব্ধ হয়। তাতে আগামী রূপরেখার পরিকল্পনা সহজে করা যায়। তাই গ্রন্থাগার সমাজ জীবনে, সভ্যতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া গবেষণার জন্য গ্রন্থাগার আজও শেষ আশ্রয়।
তাই তো রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, "মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোল কেহ যদি এমন করিয়া বাঁধিয়া রাখিতে পারিত যে, সে ঘুমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকিত, তবে সেই নীরব মহাশব্দের সহিত এই লাইব্রেরির তুলনা হইত। এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবাত্মার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িয়া আছে। ইহারা সহসা যদি বিদ্রোহী হইয়া ওঠে, নিস্তব্ধতা ভাঙিয়া ফেলে, অক্ষরের বেড়া দগ্ধ করিয়া একেবারে বাহির হইয়া আসে! হিমালয়ের মাথার উপরে কঠিন বরফের মধ্যে যেমন কত কত বন্যা বাঁধা আছে, তেমনি এই লাইব্রেরির মধ্যে মানব হৃদয়ের বন্যা কে বাঁধিয়া রাখিয়াছে।"
আবদুল কালাম বলেছেন," গ্রন্থাগার হলো একটি জাতির মেরুদণ্ড। গ্রন্থাগার কোন বিলাসিতা নয় বরং জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় জিনিস।"
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, "পৃথিবী যত জ্ঞান পেয়েছে তা মন থেকে এসেছে; মহাবিশ্বের অসীম গ্রন্থাগার আমাদের নিজস্ব মনে।"
সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ বলেছেন, "বই পড়া আমাদের একাকী চিন্তাভাবনা এবং সত্যিকারের আনন্দ উপভোগের অভ্যাস দেয়।"
এই সব কিছুর একটাই ভাবনা তা হল জীবনকে সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়ার সঠিক ও সবার প্রথম ও শেষ আশ্রয় গ্রন্থাগার। শান্তি ও সভ্যতার মানব বন্ধন এই গ্রন্থাগার।
জীবনের বুকে গড়ে ওঠা ক্ষত চিহ্নের নিরাময় হল গ্রন্থাগার। আস্তে আস্তে অনলাইনের দৌরাত্ম্যে গ্রন্থাগারের ভূমিকা কমে আসছে ভেবে যত আমরা আমাদেরকে সরিয়ে আনব তত জীবন বিচ্ছিন্ন আশ্রয়ে আমরা একা হয়ে যাবো। একাকিত্ব আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরবে। পথ খুঁজতে হবে আশ্রয়ের বিশ্রামের শান্তির।
তার সহজ সুন্দর সাবলীল ও অনাবিল পথ হল বই আর বই দিয়ে গড়ে ওঠা লাইব্রেরি। গ্রন্থাগার।
নিজে বই লিখে কিংবা বই পড়ে ও পড়িয়ে একক হয়ে যেমন জীবন কাটিয়ে দেওয়া ঠিক নয় তেমনি বইয়ের জ্ঞান ভাণ্ডার সবার ছড়িয়ে দেওয়ার যে ভাবনা তারও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান আছে।
বহু মানুষ বইয়ের মধ্যে থেকে গ্রন্থাগারের আশ্রয়ে থেকে স্বার্থপর হয়ে ওঠে তাও সমীচীন নয়।
আশ্রয় যেমন সবাই নিয়ে গড়ে ওঠা কলোনী, তেমনি জ্ঞানও মঙ্গল ভাবনার একটি মানবিক দিক। গ্রন্থাগার বাদ দিয়ে বা জ্ঞান বাদ দিয়ে বা তথ্য উপলব্ধি ভাবনা সরিয়ে জীবন চলে না।
গ্রন্থাগার বইয়ের সমুদ্র। যত অবগাহন তত এগিয়ে চলার আনন্দ বার্তা। শান্তির আশ্রয়।
গ্রন্থাগার হল জ্ঞানের ভাণ্ডার। যত তথ্য যত ভাবনা সব কিছুই অক্ষরে আবদ্ধ থাকে এই গ্রন্থাগারে।
কালো অক্ষরে যে আলো আছে তা বার বার প্রমাণিত। কিন্তু বর্তমানে অনলাইন সার্চের মাধ্যমে যা আসছে তাতে গ্রন্থাগারের ভূমিকা ক্রমে কমে আসছে। তবু আজকাল বই লেখা হয়। প্রকাশিত হয়। বিক্রিও হয়। আর গ্রন্থাগারেও যায়।
সেই সব তথ্য ভাবনা জ্ঞানের শেষ আশ্রয় এখনও গ্রন্থাগার।
বই পড়ার যে মজা এবং জ্ঞান বিস্তারের দিক তাকে অস্বীকার করা যায় না। আজও শিশু শ্রেণি থেকে বি এড, পি এইচ ডি ইত্যাদি যত দূর একাডেমিক বিষয় পড়ানো হয় সবই বইয়ের মাধ্যমে। এমন কী এই সব পরীক্ষা কোন টিক মার্ক নয়। প্রশ্নের সঠিক উত্তর লিখে পরীক্ষা দিতে হয়। আর এইসব পড়ার জন্য রেফারেন্স এই গ্রন্থাগার থেকে নিতে হয়।
বোধ বুদ্ধি জ্ঞান বাড়ানোর সাথে সাথে তথ্য সংগ্রহের শেষ আশ্রয় তাই গ্রন্থাগার। গ্রন্থাগার ছাড়া আজকের লিপিবদ্ধ ভাবনা একশ পাঁচশ বছর পরে কিংবা আজ থেকে পাঁচশ হাজার বছর আগের লিপিবদ্ধ ভাবনা গ্রন্থাগার ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যাবে না।
বই অস্বীকার করে সভ্যতার পথে এগোনো আদৌ সম্ভব নয়। কম হোক বেশি হোক বর্তমানে বই আজও অপরিহার্য। সেই বইয়ের সংরক্ষণের জায়গা গ্রন্থাগার।
হারিয়ে যাওয়া জীবন ভাবনা পথের দিশা মন্দ অবস্থান থেকে বেরিয়ে আসার রাস্তা সবই খুঁজে পাওয়া যায় গ্রন্থাগারে। বইয়ে। শেষ আশ্রয়ও বলা যেতে পারে। তবে তা গ্রহণ করার যে অবস্থান সেই অবস্থানে উন্নিত হওয়া শিক্ষার আর এক ধাপ।
গ্রন্থাগার সমাজের থেকে দূরে সরে যাবে জীবনের আশ্রয় তত দূরে সরে যাবে। অনলাইন যত থাবা বসাক বইয়ের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নাই।
কবিতা গল্প উপন্যাস প্রবন্ধ ইত্যাদি বইয়ের বাইরেও আরো অনেক নতুন নতুন ভাবনার জ্ঞান ভাণ্ডার গ্রন্থাগারে পাওয়া যায়।
এই যে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলা সভ্যতা তো আর একদিনে গড়ে ওঠে নি। হাজার হাজার বছর ধরে গড়ে ওঠার সভ্যতার খুঁটিনাটি তথ্য ভাবনা জ্ঞান সবই গ্রন্থাগারে উপলব্ধ হয়। তাতে আগামী রূপরেখার পরিকল্পনা সহজে করা যায়। তাই গ্রন্থাগার সমাজ জীবনে, সভ্যতা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া গবেষণার জন্য গ্রন্থাগার আজও শেষ আশ্রয়।
তাই তো রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, "মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোল কেহ যদি এমন করিয়া বাঁধিয়া রাখিতে পারিত যে, সে ঘুমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকিত, তবে সেই নীরব মহাশব্দের সহিত এই লাইব্রেরির তুলনা হইত। এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে, মানবাত্মার অমর আলোক কালো অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িয়া আছে। ইহারা সহসা যদি বিদ্রোহী হইয়া ওঠে, নিস্তব্ধতা ভাঙিয়া ফেলে, অক্ষরের বেড়া দগ্ধ করিয়া একেবারে বাহির হইয়া আসে! হিমালয়ের মাথার উপরে কঠিন বরফের মধ্যে যেমন কত কত বন্যা বাঁধা আছে, তেমনি এই লাইব্রেরির মধ্যে মানব হৃদয়ের বন্যা কে বাঁধিয়া রাখিয়াছে।"
আবদুল কালাম বলেছেন," গ্রন্থাগার হলো একটি জাতির মেরুদণ্ড। গ্রন্থাগার কোন বিলাসিতা নয় বরং জীবনের অন্যতম প্রয়োজনীয় জিনিস।"
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, "পৃথিবী যত জ্ঞান পেয়েছে তা মন থেকে এসেছে; মহাবিশ্বের অসীম গ্রন্থাগার আমাদের নিজস্ব মনে।"
সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ বলেছেন, "বই পড়া আমাদের একাকী চিন্তাভাবনা এবং সত্যিকারের আনন্দ উপভোগের অভ্যাস দেয়।"
এই সব কিছুর একটাই ভাবনা তা হল জীবনকে সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়ার সঠিক ও সবার প্রথম ও শেষ আশ্রয় গ্রন্থাগার। শান্তি ও সভ্যতার মানব বন্ধন এই গ্রন্থাগার।
জীবনের বুকে গড়ে ওঠা ক্ষত চিহ্নের নিরাময় হল গ্রন্থাগার। আস্তে আস্তে অনলাইনের দৌরাত্ম্যে গ্রন্থাগারের ভূমিকা কমে আসছে ভেবে যত আমরা আমাদেরকে সরিয়ে আনব তত জীবন বিচ্ছিন্ন আশ্রয়ে আমরা একা হয়ে যাবো। একাকিত্ব আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরবে। পথ খুঁজতে হবে আশ্রয়ের বিশ্রামের শান্তির।
তার সহজ সুন্দর সাবলীল ও অনাবিল পথ হল বই আর বই দিয়ে গড়ে ওঠা লাইব্রেরি। গ্রন্থাগার।
নিজে বই লিখে কিংবা বই পড়ে ও পড়িয়ে একক হয়ে যেমন জীবন কাটিয়ে দেওয়া ঠিক নয় তেমনি বইয়ের জ্ঞান ভাণ্ডার সবার ছড়িয়ে দেওয়ার যে ভাবনা তারও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান আছে।
বহু মানুষ বইয়ের মধ্যে থেকে গ্রন্থাগারের আশ্রয়ে থেকে স্বার্থপর হয়ে ওঠে তাও সমীচীন নয়।
আশ্রয় যেমন সবাই নিয়ে গড়ে ওঠা কলোনী, তেমনি জ্ঞানও মঙ্গল ভাবনার একটি মানবিক দিক। গ্রন্থাগার বাদ দিয়ে বা জ্ঞান বাদ দিয়ে বা তথ্য উপলব্ধি ভাবনা সরিয়ে জীবন চলে না।
গ্রন্থাগার বইয়ের সমুদ্র। যত অবগাহন তত এগিয়ে চলার আনন্দ বার্তা। শান্তির আশ্রয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
জে এস এম অনিক ০২/০৭/২০২৫দারুণ লেখা
-
আমি-তারেক ২৪/০৫/২০২৫আসলেই - গ্রন্থাগার থেকে অনেক কিছু জানা যায়
-
ফয়জুল্লাহসাকি ২২/০৫/২০২৫গ্রন্থ একটি বিশাল ভান্ডার। বুকে আগলে রাখে হাজার বছরের ইতিকথা।
-
রবিউল হাসান ২১/০৫/২০২৫অসাধারণ উপস্থাপনা। গ্রন্থাগার ছাড়া,বই ছাড়া একটি সভ্য জাতি গড়ে উঠতে পারেনা।
-
ফয়জুল মহী ২০/০৫/২০২৫Best wishes