www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কর্ম কলে ভাগ্য ফলে

কর্ম কলে ভাগ্য ফলে
আব্দুল কাদির মিয়া
============
পুড়ছি শুধু পুড়ছিই আমি
কত আর সইবো ব্যাথা-
হে নিয়তি তুমি কত আর কাঁদাবে?

এত অল্প চোখের জল-
তুমি বাসলে ভালো,
আমায় ভাগ্যে তোলে?

ঐযে ওরা হাসছেই শুধু-
গর্জনে বুক ভাসছেই,
আমায় দেখে ডাকছে ওরা-
ডুবতে সিন্ধু জলে।

আগুনের দৈত্য তুমি-
এই শ্মশানের বুকে,
বেঁধে নিলে কেন নিজ নিয়তির ঘর?

পুড়লে জনম শুধু নিজেকেই নিজে,
একটুও ছাড়নি আমায়-
শীতলের খোঁজে,
যেমনি ছিলাম আম তেমনি আছি-
আমার আজ নেই কোনো ডর।

আমি তো ডাকিনি তোমায়-
তবু কেন এলে সাথে?
বলো-
আমার জীবনের সুখ কেড়ে-
পেলে কি সে তাতে?
ধিক্কার বঞ্চনা থুক ছাড়া আর।

আজও আমায় রাখছি ধরে-
দেখো ঐযে সহনের শূন্য চূড়ে,
আমি নিভাতে পারি আমার-
জনমের জ্বালা,
ঐ অকূল ভরাটে বুক-
নীলজলে পড়ে।

তবু কি তোমার একটুও ভয়-
জাগেনা অনল মনে?

হে চির অন্ধ বধির কালা-
জীবনের সাথী আগুনের দৈত্য।

আমি যাই যদি ডুবে-
তুমি ফোরাবে কি তবে?

কিহে কাঁদছো কেন তুমি?
কিছু বলবে কি সে শুনি?
অনলের চোখে আবার-
হৃদয়ের জল?

না না নইতো আমি কারো-
ভাগ্য অনল,
ওহে নই কারো জীবনের কষ্ট,
আমিতো জীবনে তোমার-
পথেরই আলো,
তুমি জ্বালিলেই পেতে দেখা স্পষ্ট।

প্রভাত জাগিলে তুমি-
ঘুমিয়েছো পড়ে,
আমি ডেকেছি তোমায় উঠো-
কত বার বারে।

তুমি দাওনি যে মোরে একটুও সাড়া-
জাগিলে সে আধারের ঘোরে।

তোমার অরুণ তাপনে-
সারাদিন গেলে কেটে-
আমার নেমে এলে ক্লান্তির ঘুম।
তবে দুচোখ মেলিয়া তুমি-
দেখো সবই কালো,
যেদিক চলিবে খোঁজে-
নাহি পেলে আলো,
যেন হতাশায় বেঁধে নিলো দম।

আমিই বলিবো যারে অন্ধ বধির-
আজিই আমারই সেই ভাগ্য মণি,
তুমি কাঁদিলে নিজেও সে-
কাঁদালে আমায়,
আর আমি কিনা জীবনের ভাগ্য শনি?
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ২১০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৬/১০/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • বেশ অনুভূতির প্রকাশ
  • মাহতাব বাঙ্গালী ২৭/১০/২০২১
    অসাধারণ লিখেছেন । কর্মেই স্বর্গ, আলস্যেই নর্ক।
  • খায়রুল আহসান ২৭/১০/২০২১
    কবিতাটি অতি দীর্ঘ হয়ে গেছে, অনেকটা অনাবশ্যকভাবে।
    • সংক্ষীপ্ত ব্যাখাঃ- অন্তর ছাড়া কোনো বস্তু নেই কোনো কথাও নেই। যে কথার সারাংশ পরিস্ফুটিত না হয়। অন্যে সে তাঁর মর্মও বুঝেনা। এখানে ভাগ্য তাঁর মনিবেরই গোলাম মাত্র। যখনই তাঁর মনিব তাঁর অন্তরের চাওয়া জীবনের সুন্দরের জন্য শত বাঁধা বিপত্তিতেও তাঁর মনোবল ও কর্মকে সত্যের পথে বারবারই চেষ্টা করে থাকে আর সেখানে যে ফল পাওয়া যায় ঐটাই তাঁর ভাগ্যের ফল।
      আর যখনই তাঁর ভাগ্য মনিব নিজেকেই নিজে তাঁত কর্ম সময়ের মূল্যবান অংশে অলসতার মাধ্যমে ঝিমিয়ে পড়ে নিজেকেই কর্ম চেষ্টা হতে বিরত রাখে।তখন তাঁর ভাগ্যও তাঁর সাথে সাথে ঝিমিয়ে পরে। এমনি করে একদিন সে সত্য সত্যই সকল দিক থেকে ফুরিয়ে ও বুড়িয়ে যায়। আর যখন তাঁর কর্মশক্তি নিস্তেজ হয়ে পড়ে তখন শুধু তাঁর অন্তরের চাওয়াটুকু আক্ষেপের অসফল এক যন্ত্রনার হয়ে তখন শুধু তাঁর ভাগ্যকেই দোষ দিতে থাকে। আর ভাগ্য তাঁর সেই মনিবেরই অনুশোচনার বিপরীতে তাঁর মনিবকেই ধিক্কার দিতে থাকে। লেখক এখানে সেই কথাই বলেছেন।
  • ফয়জুল মহী ২৬/১০/২০২১
    সাবলীল উপস্থাপন।
    বেশ ভালো লাগলো
 
Quantcast