খিদের চেয়েও বড় ক্ষুধা
খিদের চেয়েও বড় ক্ষুধা
আব্দুল কাদির মিয়া
===============
খিদের চেয়েও বড় ক্ষুধা
যায়না তাঁরে করা জুদা,
যে থাকবে পরে ছিন্ন একা-
ভিন্ন ঘরে পরে।
এমনি সে ঐ ক্ষুধার জ্বালা-
যে খিদের সাথে ধরে পালা,
যারে পাইতে আপন ঘর খুঁজিয়া-
খুঁজে ধারে ধারে।
তাই সে পানের পাতায় বাঁশি-
চা দল পাতায় ফুকলো শুষি,
আর ডাকলো তবে চুন সুপারি-
খয়ার তামাক দল।
এবার গুরগুরি সেই হুক্কাটারে-
বলছে তামাক আমায় পুড়ে,
মেটালি ক্ষুধা জনম ভরে-
আমরা এবার একসাথে সব-
মোদের মানের খবর বল।
এবার গুর গুরি সেই হুক্কা বলে-
নই মোরা কারো আঁচল তলে,
বলতে তবে সত্য কথা-
কিসের করি ভয়।
হাতেই আমার দণ্ড দঁড়ি-
আসবিনা কেউ আমার ধারে,
বলছি ডেকে বাঁধবো তবুও-
আমায় টেনে লয়।
পান বলে মোর নেই কোনো দোষ-
তামাক থেকে থাকলো যে হুশ,
তবুও মেলা তামাক ডলে-
আমায় চিবান ধরে,
হেসেই তবে চায়ের পাতা-
দেমাগ জোরে নাড়ছে মাথা,
বলছে আমার সবই ভালো-
নিয়ম তরে নইলে কালো,
আমায় উপোষ উদর করলে সেবন-
শূলের জ্বালায় মরে।
সেতো সব শুনে ঐ জুড়ি দলে-
গুরগুরি সেই হুক্কা বলে,
শোন নারে ভাই বলবি কত-
মোদের তরে যতই হত,
তবুও মোদের ভাগ্য জুড়ে-
সোনায় গাঁথন ধরা।
জগতের এই বৃত্ত বেড়ে-
আমরা সবার মন অন্তরে,
সেই নবাব ধনী অন্ত ফকির-
সবাই ই পাগল পাড়া।
যেন মরলো যেজন মোদের তরে-
তাঁরে শেষ দেখাতে পথের ধারে,
ওরা খুঁজলো মোদের কেউনা কারে-
লইতে মুখে পুরে।
মোরা খিদের চেয়েও বড় ক্ষুধা-
যায়না যারে করা জুদা-
যে থাকবে পরে ছিন্ন একা,
ভিন্ন ঘরে পরে।
আব্দুল কাদির মিয়া
===============
খিদের চেয়েও বড় ক্ষুধা
যায়না তাঁরে করা জুদা,
যে থাকবে পরে ছিন্ন একা-
ভিন্ন ঘরে পরে।
এমনি সে ঐ ক্ষুধার জ্বালা-
যে খিদের সাথে ধরে পালা,
যারে পাইতে আপন ঘর খুঁজিয়া-
খুঁজে ধারে ধারে।
তাই সে পানের পাতায় বাঁশি-
চা দল পাতায় ফুকলো শুষি,
আর ডাকলো তবে চুন সুপারি-
খয়ার তামাক দল।
এবার গুরগুরি সেই হুক্কাটারে-
বলছে তামাক আমায় পুড়ে,
মেটালি ক্ষুধা জনম ভরে-
আমরা এবার একসাথে সব-
মোদের মানের খবর বল।
এবার গুর গুরি সেই হুক্কা বলে-
নই মোরা কারো আঁচল তলে,
বলতে তবে সত্য কথা-
কিসের করি ভয়।
হাতেই আমার দণ্ড দঁড়ি-
আসবিনা কেউ আমার ধারে,
বলছি ডেকে বাঁধবো তবুও-
আমায় টেনে লয়।
পান বলে মোর নেই কোনো দোষ-
তামাক থেকে থাকলো যে হুশ,
তবুও মেলা তামাক ডলে-
আমায় চিবান ধরে,
হেসেই তবে চায়ের পাতা-
দেমাগ জোরে নাড়ছে মাথা,
বলছে আমার সবই ভালো-
নিয়ম তরে নইলে কালো,
আমায় উপোষ উদর করলে সেবন-
শূলের জ্বালায় মরে।
সেতো সব শুনে ঐ জুড়ি দলে-
গুরগুরি সেই হুক্কা বলে,
শোন নারে ভাই বলবি কত-
মোদের তরে যতই হত,
তবুও মোদের ভাগ্য জুড়ে-
সোনায় গাঁথন ধরা।
জগতের এই বৃত্ত বেড়ে-
আমরা সবার মন অন্তরে,
সেই নবাব ধনী অন্ত ফকির-
সবাই ই পাগল পাড়া।
যেন মরলো যেজন মোদের তরে-
তাঁরে শেষ দেখাতে পথের ধারে,
ওরা খুঁজলো মোদের কেউনা কারে-
লইতে মুখে পুরে।
মোরা খিদের চেয়েও বড় ক্ষুধা-
যায়না যারে করা জুদা-
যে থাকবে পরে ছিন্ন একা,
ভিন্ন ঘরে পরে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
Rashbehari Ghosh ১৮/০৯/২০২১খুব সুন্দর লাগলো,
-
আলমগীর সরকার লিটন ১৮/০৯/২০২১ছড়া আরও একটু ছোট হলে ভাল হয় কবি দা
-
জামাল উদ্দিন জীবন ১৮/০৯/২০২১সুন্দর
-
ফয়জুল মহী ১৭/০৯/২০২১চমৎকার লেখা।
-
অভিজিৎ হালদার ১৭/০৯/২০২১ভালো