স্মৃতি শৈশব
স্মৃতি শৈশব
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
কন কনে শীত মোড়ানো কাঁথা
যেন লোম শিহরে উঠে।
তবু শৈশবের সেই- দিনগুলো আজই-
কেন জানি ঐ চঞ্চল অবুঝের কত কথা,
বারে বারে স্মৃতিতে উঠে।
ভুলে যাই তবে ত্বরাগুলো সবিই-
একটু পরেই শত ব্যস্ত কতনা কিছু,
শুধু সময়ের তরে।
তবে কেন সেতো বর্ষার জলে-
ফুটন্ত কলমি আর শাপলা গুলো-
শরতের রাতপরা ওসে ভেজা-
ঘাসফুল, বন্যায় যেন-
শত স্বর্গ সেবিত থোকা ধরা-
টগবগে হিল্লোল,
কাঁটা মান্দার সিঁদুর লালে-
যেন স্বপন পুরীতে আমি কুড়াতে কুড়াতে-
সেই হিজল দোলানো সবই-
ঝরা ফুলগুলো।
আরোও শিশির জড়ানো মণি-
টলমলে ছল ছলে-
যেন বিছানো মানিক রতন-
হাতেরই কোষাধরা পাজর জড়ানো-
সেই কেঁওয়া গড় পাড়ে।
যেথা গাব সারি সারি-
নামহারা কারি কারি,
নুয়েপরা এলোমেলো-
বাঁশ ঝোপঝাড়ে।
দিনের আলোও সেথা-
নেই দিনে ফাঁদে ছুঁতা লইয়ে যেন-
চির ধরা ফাঁক ফোকারে।
তবে এলো দল নেতা,
ঐ ন্যাংটা বহর-
ডাকে আমায় আয় ত্বরা,
দেখেছি লেজেতে ডোরা-
ঝাক বাঁধা পাখিগুলো-
যাবো শিকারে।
সেই চটায় বাঁধানো ডুরি-
তীর কাঠিপাট খড়ি,
সেথা শালিক দেখিলে-
দলে আলতো পায়ে।
কথা কানে ফিসফিস-
উড়ে গেলে ইস ইস,
বলি দোষ তরে তরে-
একে অপরে।
ছোড়া তীর কত ঠেকে গেলো ঝোপঝাড়ে-
সেতো একবার দেলুপাড়ে-
একবার কালা পাড়ে,
পাড়িতে সে পাকা গাব-
আনে রাশু পেড়ে।
ঐ ঝড়েতে কুড়ানো আম-
বর্ষায় বিলে,
বাঁকা চাঁদে এলো ঈদ-
নেংটার দলে।
সেই স্মৃতি আজও মোরে-
কত বার বার,
স্মরণ পাটকে এসে-
ডাকে বড় ভালোবেসে,
নেই বেলা অবেলাতে-
কিবা দিন কি নিশিতে,
কিবা কনকনে শীতে-
মুড়ানো কাঁথায়।
তবে- ত্বরাগুলো সবই আজই-
সময় শেষেতে কাজই,
দরজাতে ডাকে যাবার-
ঢং ডঙ্কায়।
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
কন কনে শীত মোড়ানো কাঁথা
যেন লোম শিহরে উঠে।
তবু শৈশবের সেই- দিনগুলো আজই-
কেন জানি ঐ চঞ্চল অবুঝের কত কথা,
বারে বারে স্মৃতিতে উঠে।
ভুলে যাই তবে ত্বরাগুলো সবিই-
একটু পরেই শত ব্যস্ত কতনা কিছু,
শুধু সময়ের তরে।
তবে কেন সেতো বর্ষার জলে-
ফুটন্ত কলমি আর শাপলা গুলো-
শরতের রাতপরা ওসে ভেজা-
ঘাসফুল, বন্যায় যেন-
শত স্বর্গ সেবিত থোকা ধরা-
টগবগে হিল্লোল,
কাঁটা মান্দার সিঁদুর লালে-
যেন স্বপন পুরীতে আমি কুড়াতে কুড়াতে-
সেই হিজল দোলানো সবই-
ঝরা ফুলগুলো।
আরোও শিশির জড়ানো মণি-
টলমলে ছল ছলে-
যেন বিছানো মানিক রতন-
হাতেরই কোষাধরা পাজর জড়ানো-
সেই কেঁওয়া গড় পাড়ে।
যেথা গাব সারি সারি-
নামহারা কারি কারি,
নুয়েপরা এলোমেলো-
বাঁশ ঝোপঝাড়ে।
দিনের আলোও সেথা-
নেই দিনে ফাঁদে ছুঁতা লইয়ে যেন-
চির ধরা ফাঁক ফোকারে।
তবে এলো দল নেতা,
ঐ ন্যাংটা বহর-
ডাকে আমায় আয় ত্বরা,
দেখেছি লেজেতে ডোরা-
ঝাক বাঁধা পাখিগুলো-
যাবো শিকারে।
সেই চটায় বাঁধানো ডুরি-
তীর কাঠিপাট খড়ি,
সেথা শালিক দেখিলে-
দলে আলতো পায়ে।
কথা কানে ফিসফিস-
উড়ে গেলে ইস ইস,
বলি দোষ তরে তরে-
একে অপরে।
ছোড়া তীর কত ঠেকে গেলো ঝোপঝাড়ে-
সেতো একবার দেলুপাড়ে-
একবার কালা পাড়ে,
পাড়িতে সে পাকা গাব-
আনে রাশু পেড়ে।
ঐ ঝড়েতে কুড়ানো আম-
বর্ষায় বিলে,
বাঁকা চাঁদে এলো ঈদ-
নেংটার দলে।
সেই স্মৃতি আজও মোরে-
কত বার বার,
স্মরণ পাটকে এসে-
ডাকে বড় ভালোবেসে,
নেই বেলা অবেলাতে-
কিবা দিন কি নিশিতে,
কিবা কনকনে শীতে-
মুড়ানো কাঁথায়।
তবে- ত্বরাগুলো সবই আজই-
সময় শেষেতে কাজই,
দরজাতে ডাকে যাবার-
ঢং ডঙ্কায়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ০৫/০৮/২০২১অসামান্য সুন্দর একটা লেখা।
-
বিধান চন্দ্র ধর ০৫/০৮/২০২১ভালো হয়েছে
-
Md. Ashik Hossain Rone ০৫/০৮/২০২১আহা স্মৃতি
-
অভিজিৎ হালদার ০৫/০৮/২০২১ভালো অনুভব
-
নাসরীন আক্তার রুবি ০৫/০৮/২০২১চমৎকার
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ০৫/০৮/২০২১Outstanding poem !
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ০৫/০৮/২০২১ভালো।