জ্ঞানের নীরব কান্না
জ্ঞানের নীরব কান্না
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
জ্ঞানের মৃত্যু নাহি এই ধরনীর বুকে
তবুও সে এত বেশি কাঁদে কি সে দুঃখে?
সৃষ্টিতে আছে সেতো শ্রেষ্ঠ বসনে-
যারই শির বাহি মানুষের ঐ শ্রেষ্ঠ আসনে।
যারই তরে স্বর্গের মেলা সার দোর-
যেথা স্বর্গ পরীরা তাঁরই আশেকে বিভোর।
ওরা অমৃত নহরের শুধা করে পান-
উড়িবে উড়ায় শাহী বাহকের শান।
শুনি তবে কিহে জ্ঞান এত কেন কাঁদো?
তুমিতো অনল গলে রশি দিয়ে বাঁধো।
বায়ু ধরে করো খেলা চড়ন আঘাতে-
যেন তাঁরই নাসিকাতে ধরে শত ক্ষতে।
শক্তির অসিমে গড়া সীমাহীন বল-
ঐ লৌহ শেখর মূলে করে ফেলো জল।
হুংকারি গর্জনে ঢেউয়ের সাগর খানি-
জ্ঞানের শানেতে তুমি তাঁরই বুক চিরে,
তাঁরই জল ভেদে তলদেশে,
বিও আসনে বসে,
ও কুলে দিয়েছো পাড়ি,
দেখিলে সে ফিরে।
আরোও কত সে ধার-
তোমার জ্ঞানের বিচার।
যেথা মৃত্যু ব্যাধিকে তুমি নিজেই কেটে-
সেই কফিনের সেতু পেলে পার।
তবে কেন কাঁদো হে জ্ঞান-
সেই নীরব নিথরে?
ঐ নিশি প্রথা শরীরের-
শয়নের ঘরে?
এবার জ্ঞানের চোখেতে দেখি-
নামে আধারের ঝড়-
যেন বাকহীন স্তব্ধ সেতো-
নিজ নিয়তির পর।
এবার উর্ধ্বমুখী তাঁরই হতাশার বাণী-
ডুকরে ডুকরে কেঁদে বলে-
ওহে শোনো কে সে আমি।
এই প্রলয় ধরিত্রী জীবের-
আছি মগজ আসনে,
সেথা শুধুই আমি যে একা ঋণী-
শেষ বিচার ও শাসনে।
আমারই শক্তি স্রোতের-
ধুনি বিন্দু ধরে,
সবইতো উজাড় করে,
এই পৃথিবীর ঘরে।
বিলিয়ে দিয়েছি জীবের-
জীবনের জ্ঞানে।
ওরা সাধ্যের স্রোত বলে-
আমায় যত পারে টেনে।
সেথা কেউ রাজা,প্রজা,ধনী-
কেউবা ভিখারি,
কেউ রক্ত কনার নিখুঁত,
খোঁজে ঘরবাড়ী।
ওহে খেটে খেটে সারাবেলা-
ফুরালে সেদিন,
কাটে নিশির গভীর ও ভেবে,
আমি জনমের এতিম।
যেথা কেউ হাসে সুফলেতে-
কারো বুক ভাসে,
কেউ সুখী,দুঃখী কাঁদে-
কু-জনের বিনাশে।
কেউ রাজা,প্রজা কাঁদে-
কেউ ধনী গ্রাসে।
সেথা আমিতো সবারই মগজ-
যেন তুরুপের তাসে।
ওহে আমিতো জীবের তরে-
আমার নেই নিজ গতি-
শুধু ভৃত্য গোলামে আমি,
ওরা মোর পতি।
তবুও হাশর দিনে-
শেষ বিচারের কালে-
শুধু আমারই বিচার হবে-
আমি কাঁদি সে ভয়ালে।
আব্দুল কাদির মিয়া
===========
জ্ঞানের মৃত্যু নাহি এই ধরনীর বুকে
তবুও সে এত বেশি কাঁদে কি সে দুঃখে?
সৃষ্টিতে আছে সেতো শ্রেষ্ঠ বসনে-
যারই শির বাহি মানুষের ঐ শ্রেষ্ঠ আসনে।
যারই তরে স্বর্গের মেলা সার দোর-
যেথা স্বর্গ পরীরা তাঁরই আশেকে বিভোর।
ওরা অমৃত নহরের শুধা করে পান-
উড়িবে উড়ায় শাহী বাহকের শান।
শুনি তবে কিহে জ্ঞান এত কেন কাঁদো?
তুমিতো অনল গলে রশি দিয়ে বাঁধো।
বায়ু ধরে করো খেলা চড়ন আঘাতে-
যেন তাঁরই নাসিকাতে ধরে শত ক্ষতে।
শক্তির অসিমে গড়া সীমাহীন বল-
ঐ লৌহ শেখর মূলে করে ফেলো জল।
হুংকারি গর্জনে ঢেউয়ের সাগর খানি-
জ্ঞানের শানেতে তুমি তাঁরই বুক চিরে,
তাঁরই জল ভেদে তলদেশে,
বিও আসনে বসে,
ও কুলে দিয়েছো পাড়ি,
দেখিলে সে ফিরে।
আরোও কত সে ধার-
তোমার জ্ঞানের বিচার।
যেথা মৃত্যু ব্যাধিকে তুমি নিজেই কেটে-
সেই কফিনের সেতু পেলে পার।
তবে কেন কাঁদো হে জ্ঞান-
সেই নীরব নিথরে?
ঐ নিশি প্রথা শরীরের-
শয়নের ঘরে?
এবার জ্ঞানের চোখেতে দেখি-
নামে আধারের ঝড়-
যেন বাকহীন স্তব্ধ সেতো-
নিজ নিয়তির পর।
এবার উর্ধ্বমুখী তাঁরই হতাশার বাণী-
ডুকরে ডুকরে কেঁদে বলে-
ওহে শোনো কে সে আমি।
এই প্রলয় ধরিত্রী জীবের-
আছি মগজ আসনে,
সেথা শুধুই আমি যে একা ঋণী-
শেষ বিচার ও শাসনে।
আমারই শক্তি স্রোতের-
ধুনি বিন্দু ধরে,
সবইতো উজাড় করে,
এই পৃথিবীর ঘরে।
বিলিয়ে দিয়েছি জীবের-
জীবনের জ্ঞানে।
ওরা সাধ্যের স্রোত বলে-
আমায় যত পারে টেনে।
সেথা কেউ রাজা,প্রজা,ধনী-
কেউবা ভিখারি,
কেউ রক্ত কনার নিখুঁত,
খোঁজে ঘরবাড়ী।
ওহে খেটে খেটে সারাবেলা-
ফুরালে সেদিন,
কাটে নিশির গভীর ও ভেবে,
আমি জনমের এতিম।
যেথা কেউ হাসে সুফলেতে-
কারো বুক ভাসে,
কেউ সুখী,দুঃখী কাঁদে-
কু-জনের বিনাশে।
কেউ রাজা,প্রজা কাঁদে-
কেউ ধনী গ্রাসে।
সেথা আমিতো সবারই মগজ-
যেন তুরুপের তাসে।
ওহে আমিতো জীবের তরে-
আমার নেই নিজ গতি-
শুধু ভৃত্য গোলামে আমি,
ওরা মোর পতি।
তবুও হাশর দিনে-
শেষ বিচারের কালে-
শুধু আমারই বিচার হবে-
আমি কাঁদি সে ভয়ালে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
বোরহানুল ইসলাম লিটন ২৪/১২/২০২০
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ২৩/১২/২০২০চমৎকার।
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২৩/১২/২০২০সত্যি তাই।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২২/১২/২০২০ভাল।
-
ফয়জুল মহী ২২/১২/২০২০অসাধারণ লিখা,
খুব ভালো লাগলো
বেশ মুগ্ধতা রেখে গেলাম প্রিয় কবি।