www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

হোসেনপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্য

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মোছলেহ উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে উপাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগে প্রায় অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে মেধাবী আবেদনকারীদের ইন্টারভিউ কার্ড না দেওয়ায় ভুক্তভোগীরা ওই অসাধু দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের শাস্তির দাবিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক বরাবরে লিখিত আবেদন করে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি হোসেনপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষে কৌশলে বিভিন্ন আবেদনকারীর সাথে যোগাযোগ করে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে প্রতি পদের জন্য ৩-৪ জনের কাছ থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জনশ্রুতি রয়েছে। কিন্তুু অনেক ক্ষেত্রে তার পছন্দের প্রার্থীদের ইতিপূর্বে চাকুরী না হওয়ায় দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ মোছলেহ উদ্দিন খানের নিয়োগ বাণিজ্যের বিষটি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় উপজেলা ও জেলা সদরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এতে বিভিন্ন মহলে নিন্দার ঝড় ওঠে।

অভিযোগ রয়েছে, উপাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষায় ১ম ও ২য় স্থান অধিকারী মেধাবী চাকুরী প্রার্থীদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে কতৃপক্ষকে কৌশলে ম্যানেজ করে অযোগ্য ও কম নম্বর প্রাপ্তদের নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছেন।

উল্লেখ্য, তিনি স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিজের আপন ভাই,বোন,ভাগ্নে,ভায়রাকে ইতিপূর্বে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করলে বিষটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হওয়ার পর ওই সময় নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।

সম্প্রতি আবারও নিজের পছন্দের লোককে উপাধ্যক্ষ ও অন্যান্য পদে নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে নানা কৌশল অবলম্বনে স্বচেষ্ট থাকায় বিষটি এলাকায় দারুণ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে ইন্টারভিউ কার্ড বঞ্চিত উপাধ্যক্ষ পদে আবেদনকারী মোঃ ফজলুল হক ও জিল্লুর রহমানসহ অনেকেই জানান, ওই অসাধু অধ্যক্ষ বিভিন্ন সময় নিয়োগ দিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বাণিজ্য করে চলছে। আমরা তার কথামত রাজি না হাওয়ায় উপযুক্ত যোগ্যতা থাকলেও আমাদের নামে তিনি ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু না করায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নিয়োগ নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে পারিনি।

তারা আরো জানান, দূর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ নিজের আপন বোনকে গৃহীনি থেকে ক্লার্ক পদে নিয়োগ দিয়ে গত বছর বিতর্কিত হয়েছিল। পরে বিভিন্ন মহলে তদবির করে তার বোনের ক্লার্ক পদে নিয়োগ বৈধ করেন।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ মোঃ মোছলেহ উদ্দিন খান জানান, এটি একটি বিশেষ মহলের অপপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়। তিনি নিয়োগ সংক্রান্ত কোন অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িত নয় বলেও মন্তব্য করেন। তবে কলেজ গর্ভনিংবডির সভাপতি শাহ মুনসুরুল হকের সাথে বারবার মোবাইলে চেষ্টা করেওে যোগাযোগ করা যায়নি।
বিষয়শ্রেণী: সংবাদ
ব্লগটি ৯৮৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০১/১০/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

 
Quantcast