www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

এক মুঠো ভালোবাসার রোদ্দুর

র্আচ্ছা একটা কথা জানার ছিল আপনি কি শাড়ি পড়তে পারেন না, শাড়ি পড়লে আপনাকে পুতুলের মত সুন্দর লাগত তবে সমস্যা নেই আপনাকে আমার বিষণ পছন্দ হয়েছে। লোকটার কথা শুনে ভ্রু কচকে থাকালাম উনার দিকে, উনি কথা বলে বলে হাসছেন আমার দিকে চেয়ে।চট করে বলে উঠলেন এত ক্ষণে যাক আপনার ভয় একটু কেটেছে মাথা উচু করলেন আমার ঘার ব্যথা হয়ে যাচ্ছিল আপনার মুখ দেখতে। আমি এখনো অবাক হয়ে চেয়ে আছি উনার দিকে উনি আবার বলে উঠলেন আমাকে কি আপনার পছন্দ হয়েছে,রুমে তাকিয়ে দেখলাম আমি আর উনি ছাড়া কেউ নেই সবাই বাহিরে হাটছেন।আমি লজ্জায় মাথা আবার নিচু করে নিলাম উনি বললেন শোনুন আমাকে বলে ফেলুন তাড়াতাড়ি পছন্দ কিনা?  আবার বললেন পছন্দ তো মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে দিলাম।উনার বোন একটা বাচ্চা কোলে নিয়ে আমার পাশে এসে বসল উনাকে উদ্দেশ্যে করে বলল ভাইয়া কথা শেষ তো আমরা ভাবিকে আংটি পড়িয়ে দেই। আংটি পড়ানোর বিয়ে তারিখ পাকা করে  উনারা খাওয়া দাওয়া করে নিলেন।যাওয়ার সময় উনি আবার আমার রুমে এসে বললে আপনার মোবাইল নাম্বার দিন আর হে বিয়েটা এ সপ্তাহ খুব সাদাসিধে ভাবে হবে রিমা। আমি শুধু উনার কথা শুনে শুধু মাথা নাড়ালাম নাম্বারটা লিখে দিলাম আল্লাহ হাফিজ বলে চলে গেলেন। আমার হবু শাশুড়ী এসে হাতে সালামি গুজে দিয়ে কপালে চুমু দিয়ে বললেন আমার ছেলেটা একটু রাগি মানিয়ে নিস মা। উনারা সবাই চলে গেলেন। আমি রুমে এসে ড্রেসটা বদলে ফ্রেশ হয়ে বসলাম মাত্র।মোবাইলটা হাতে নেওয়া মাত্রই উনার ট্রেক্স আসল এটা আমার নাম্বার সেভ করে রাখ ও। কি নামে সেভ করব ভেবে পাচ্ছি না আমি উনার নামটাও মনে রাখি নি।  হুবি বলেই সেভ করলাম। মাগরিবের নামাজ পড়ে দিলাম একটা ঘুম। পরিবারের সবাই খুব খুশি অশেষে আমার বিয়ের চিন্তা কাটল। সে কানাডা প্রবাশি উনার পরিবারের সবাইকে নিয়ে।

রাত্রে খাওয়ার পর বিশ্রাম নিচ্ছি এমন সময় উনি কল দিলেন। রিসিভ করে সালাম দিলাম উনি এর উত্তর দিলেন। ভালো মন্দ কিছু জিজ্ঞেস করার পর বললেন আমি কাউকে আপনি করে বলতে পারি না তাই আপনাকে আজকে থেকে তুমি করেই বলব।

তোমাকে কিছু বলার ছিল রিমা, যা আমার একান্তই ব্যক্তিগত কিছু বিষয়। আর চার পাচঁ দিন পর তো বিয়ে পরে জেনে নেব আমি বললাম।
উনি বললেন কিন্তু রিমা কথা জানাটা তো তোমার জরুরি।
আমি বললাম থাক না পরে আস্তে ধীরে বলে দিয়েন।
উনি আর কিছুই বলেন না।
আমি বললাম কিছু কথা বলব যদি কিছু না মনে করেন।উনি সায় দিলেন।

বললাম বিয়ে তে অন্তত শাড়ি কিনবেন না আমি শাড়ি সামলাতে পারি না।
উনি হেসেই উত্তর দিলেন তোমাকে দেখেই সেদিন বুঝে গেছি। আচ্ছা ঠিক আছে তোমার পছন্দটাই বল।
বললাম লেহেঙ্গা দ্বিতীয়টা ড্রেস আর আপনার পছন্দ অনুযায়ী কিছু কিনে নিবেন।
আচ্ছা এখন অনেক রাত হয়েছে তুমি ঘুমাও।
আল্লাহ হাফিজ বলে লাইন কেটে দিলেন।

আজ হলুদের দিন আমার এই কদিনে উনার সাথে শুধু টুকটাক কথা হয়েছে। উনি কোনো হলুদের অনুষ্ঠান করবেন না।বিকেলে উনার কাছ থেকে জানলাম।আর বললেন হইচই না করি কালকে অনেক দকল যাবে। আমি বললাম আচ্ছা ঠিক আছে।

আমাদের এখানে আমারা ভাই বোন মিলে ছোট করে  হলুদটা শেষ হল আমার। কয়টা পিক উনাকে সেন্ড করলাম রাত্র ১২টা হয়ে গেছে।
উনি ট্রেক্স সুন্দর হয়েছে এবার তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়।কাল দেখা হচ্ছে।

ফজরের নামাজ টা পরে নিলাম মনে অনেক ভয় কাজ করছে। উনাকে একটা কল দিলাম কথা বলছি না শুধু উনার কথা শুনছি। উনি বুঝে গেলেন যে আমি খুব নার্বাস ফিল করেছি। বলেন এত নার্বাস হচ্ছ কেন কুল থাক রিমা রিলাক্স আমি বললাম ঠিক আছে।ফোন রেখে দিলেন উনি।

উনি আমার জন্য লেহেঙ্গা কিনেছেন দেখে মুখে হাসি ফুটে উঠল। ফ্রেশ হয়ে চুল শুকাচ্ছি হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে। পার্লারের মেয়েরাও এসে গেছে। আম্মু আর ছোট বোন আমার বেগ ঠিক করে কাপড় বিছানায় রেখে গেল। আপুরা তাদের ছেলে মেয়ে সামলিয়ে আম্মুকে ঘরের কাজে সাহায্য করছেন।

ছোটকে বললাম তুই থাক আমার পাশে। সিম্পুল সাজের মাঝে হিজাব টা বেধে দিল মেয়েটা। কালো খয়েরী রঙের লেহেঙ্গা উনার পছন্দের বেশ দারুণ হয়েছে।
ছোট বোন ও সাজল। আম্মু এসে আমার মাথায় হাত দিয়ে বললেন মাশা আল্লাহ, যেন নজর না লাগে আমার মেয়ের। চোখের অশ্রু লুকিয়ে উনি চলে গেলেন। খুব কষ্ট হচ্ছিল মনের ভেতর।

চলে গেলাম সেন্টারে কিছু ফটোসেশান হওয়ার পর দুই পরিবারের লোকজন আর আত্বীয় স্বজন এর উপস্থিতিতে বিয়েটা হয়ে গেল।

বিদায় বেলায় আম্মু উনার হাতে আমার হাত দিয়ে বলে উঠলেন আমার আম্মুকে দেখে রেখ বাবা আমার মেয়েটা কখনো আমায় কষ্ট দেয় নি। আব্বু শক্ত করে হাত ধরতে বললেন উনাকে।

আমার কান্নায় মনে হচ্ছে দাড়াতে পারছি না, কষ্টে থামিয়ে রেখেছি কান্না। এখন কান্না করলে আম্মুকে থামানো যাবে না। এর মধ্যে উনি অসুস্থ।

উনি এখনো আমার হাত ধরে রেখেছেন। গাড়ির সামনে এসে দরজা খুলে নিজে ডুকে আমাকে ইশারা করলেন।

আমি পিছন একবার তাকালাম আবার সামনে তাকিয়ে হাত বাড়িয়ে লেহেঙ্গা একটু তুলে বসে পড়লাম।
আমার ননদ ওর বাচ্চাটা নিয়ে পাশেই বসল আমার।

কান্না থামিয়ে রাখতে পারি নি আর হাউমাউ করে কেদেঁ উঠলাম।উনি আমার দিকে তাকিয়ে একটু হকচকিয়ে উঠলেন।

এক মুঠো ভালোবাসার রোদ্দুর
সূচনা পর্ব
--তাবেরী ইসলাম
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ২৯৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৭/০৭/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • বেশ আবেগময়
  • ভাস্কর অনির্বাণ ১৮/০৭/২০২১
    নিরন্তর ভালবাসা কবি
  • সুন্দর লেখনী প্রকাশ করেছেন
  • নাইস
 
Quantcast