মেসি জিতলে মানুষ জিতে যায়
শেষ বাঁশি বাজার সাথে সাথে কতো ফোটা চোখের জল দিয়ে একটা এরকম সকাল কিনে নিয়েছে পৃথিবীর কাছ থেকে মেসি রা। কতগুলো ক্লান্ত অথচ বিশ্রামহীন মুঠো হাত উঠে গেছে আকাশের উদ্দেশ্যে, স্পর্ধা লিখে দিয়েছে শত্রুর দেওয়ালে। ভৌগলিক, ঐতিহাসিক কোনো রকম সংযোগ না থাকা সত্ত্বেও কত কোটি মানুষ, কতগুলো দেশ নোনা চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে এমন একটা দিনের জন্য, সকালের জন্য।
মেসি রা এরকমই, মানুষখেকোর রুক্ষতায় সবুজ গালিচা পেতে দেয়, কাঁটাতার সব উপড়ে ফেলে, বুলেট-বোমা ড্রিবল করে এগিয়ে যায়। কোনো সূক্ষ্ম ম্যাজিক, মায়ায় এক মুহূর্তে গোটা পৃথিবীকে আর্জেন্টিনা তে পাল্টে দেয়, সবাইকে জিতিয়ে দেয়। অথচ এরাই দিনের পর দিন পৃথিবী, পার্থিবের সব আঘাত, হাতিয়ার এর সামনে বুক পেতে দিয়েছে। দেওয়ালে ঠেকে যাওয়া পিঠে যন্ত্রণা মেখে কেঁদে উঠেছে, দীর্ঘশ্বাসে নিভিয়ে দিয়েছে ঘরের সব আলো। তবুও চোখ মুছে শিরদাঁড়ায় ঘাম বইয়ে দিয়েছে, ফিরে আসার গান শুনিয়েছে হতাশ ক্যাকোফোনির দেশে। লড়তে শিখিয়েছে, গড়তে শিখিয়েছে। জিততে না পারলেও হেরে যায়নি কোনোদিন, ফুরিয়ে যায়নি কোনোদিন। লড়াই শেষে জিতে বলে গেছে, ফুরিয়ে যায়না কেউ, শুধু অফুরান জীবন আর হিসেবী সময়ের মাঝে ঘাম ঝরে, ঘাম জেতে। শিখিয়েছে 'একদিনে না হলেও, একদিন ঠিক হবে'।
ব্যাধি, মহামারীর নীল বিষে নিঃস্বের সর্বস্বটুকু বাজি রেখে যারা মৃত্যুর অপেক্ষা করে গেছে, এ জয় তাদের মাঝে আরেকটু জীবন ঢেলে দেওয়ার। মাস্ক বন্দী পৃথিবী একটা দিন, অন্তত একটা দিন মুক্তি চেয়েছে সমস্ত অসুখের থেকে, সীমানার থেকে। উড়তে চেয়েছে, হাসতে চেয়েছে, কাঁদতে চেয়েছে, পাগলের মতো লাফাতে চেয়েছে আরও হাজার হাজার, লাখ লাখ মেসির মাঝে। এইটুকু সুখ মাত্র, তবুও যেন সারা পৃথিবীর সাথে ভাগ করে নিলেও ফুরায় না।
এই সুখের লোভেই চাকরির ফাঁসে ঝুলে থেকেও রাত জেগে টিভির সামনে গলা ফাটানোর সাহস দেখিয়েছে এক মেসি। এর জন্যই কোনো মেসি পরীক্ষা প্রস্তুতির টানাপোড়েনেও বুক বেঁধে বসে থেকেছে আর একটা ড্রিবল, আর একটা ম্যাজিক এর অপেক্ষায়। বয়স, রোগের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে লড়াই দেখে গেছে কোনো দুঃসাহসিক মেসি। এই জয় সেই সব মেসির, যারা জীবন-যন্ত্র-যন্ত্রনার লড়াইয়ে বারবার জীবন কে জিতিয়ে দিয়েছে।
এ রকম সব লড়াই কে সম্মান জানানোর নাম মেসি।
মেসি রা এরকমই। মেসি জিতলে আমি জিতে যাই। মেসি জিতলে ঘরের ছেলেটা জিতে যায়। মেসি জিতলে মানুষ জিতে যায়।
ধন্যবাদ লিও
ধন্যবাদ ঈশ্বর ❤️
মেসি রা এরকমই, মানুষখেকোর রুক্ষতায় সবুজ গালিচা পেতে দেয়, কাঁটাতার সব উপড়ে ফেলে, বুলেট-বোমা ড্রিবল করে এগিয়ে যায়। কোনো সূক্ষ্ম ম্যাজিক, মায়ায় এক মুহূর্তে গোটা পৃথিবীকে আর্জেন্টিনা তে পাল্টে দেয়, সবাইকে জিতিয়ে দেয়। অথচ এরাই দিনের পর দিন পৃথিবী, পার্থিবের সব আঘাত, হাতিয়ার এর সামনে বুক পেতে দিয়েছে। দেওয়ালে ঠেকে যাওয়া পিঠে যন্ত্রণা মেখে কেঁদে উঠেছে, দীর্ঘশ্বাসে নিভিয়ে দিয়েছে ঘরের সব আলো। তবুও চোখ মুছে শিরদাঁড়ায় ঘাম বইয়ে দিয়েছে, ফিরে আসার গান শুনিয়েছে হতাশ ক্যাকোফোনির দেশে। লড়তে শিখিয়েছে, গড়তে শিখিয়েছে। জিততে না পারলেও হেরে যায়নি কোনোদিন, ফুরিয়ে যায়নি কোনোদিন। লড়াই শেষে জিতে বলে গেছে, ফুরিয়ে যায়না কেউ, শুধু অফুরান জীবন আর হিসেবী সময়ের মাঝে ঘাম ঝরে, ঘাম জেতে। শিখিয়েছে 'একদিনে না হলেও, একদিন ঠিক হবে'।
ব্যাধি, মহামারীর নীল বিষে নিঃস্বের সর্বস্বটুকু বাজি রেখে যারা মৃত্যুর অপেক্ষা করে গেছে, এ জয় তাদের মাঝে আরেকটু জীবন ঢেলে দেওয়ার। মাস্ক বন্দী পৃথিবী একটা দিন, অন্তত একটা দিন মুক্তি চেয়েছে সমস্ত অসুখের থেকে, সীমানার থেকে। উড়তে চেয়েছে, হাসতে চেয়েছে, কাঁদতে চেয়েছে, পাগলের মতো লাফাতে চেয়েছে আরও হাজার হাজার, লাখ লাখ মেসির মাঝে। এইটুকু সুখ মাত্র, তবুও যেন সারা পৃথিবীর সাথে ভাগ করে নিলেও ফুরায় না।
এই সুখের লোভেই চাকরির ফাঁসে ঝুলে থেকেও রাত জেগে টিভির সামনে গলা ফাটানোর সাহস দেখিয়েছে এক মেসি। এর জন্যই কোনো মেসি পরীক্ষা প্রস্তুতির টানাপোড়েনেও বুক বেঁধে বসে থেকেছে আর একটা ড্রিবল, আর একটা ম্যাজিক এর অপেক্ষায়। বয়স, রোগের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে লড়াই দেখে গেছে কোনো দুঃসাহসিক মেসি। এই জয় সেই সব মেসির, যারা জীবন-যন্ত্র-যন্ত্রনার লড়াইয়ে বারবার জীবন কে জিতিয়ে দিয়েছে।
এ রকম সব লড়াই কে সম্মান জানানোর নাম মেসি।
মেসি রা এরকমই। মেসি জিতলে আমি জিতে যাই। মেসি জিতলে ঘরের ছেলেটা জিতে যায়। মেসি জিতলে মানুষ জিতে যায়।
ধন্যবাদ লিও
ধন্যবাদ ঈশ্বর ❤️
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অনিমেষ চক্রবর্তী ১৪/০৭/২০২১সত্যি তাই