www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আমার এ কবিতার চেহারা

আমার দরকার : আরো একটা আস্ত রোববার।

তাহলেই আমি অনায়াসে এড়াতে পারি
রূপার অত্যাচার এবং মিথ্যাচার।
রূপার সাথে এই দীর্ঘ ছ’দিনের অদেখা
আমাকে টুকরো টুকরো করে ভাঙতে ভাঙতে
নিয়ে এসে দাঁড় করিয়ে দেয় ‘চড়-খাওয়া বেতাল যাপনে’।
তখনই—
বিপন্ন অভ্যস্ত জীবনজুড়ে উঁকি দেয় ঘোর উস্কোখুস্কো বিভ্রম।
এতদিনে—
বহুকালের ছেঁদো অভিমানে রূপাসংক্রান্ত রূপার মুখ
ভাবলেই—
আমার এক কুচি খুশি, বিদ্যুত হয়ে হারিয়ে যায়।
তখন বাধ্য হয়েই—
ভাবনায় মোড়ে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ নিজেকে অতিরিক্ত ঝাঁকিয়ে নিই।
প্রাসঙ্গিকতা এড়াতে
হাত-পা ছুঁড়ে, হাতের আঙুল কামড়ে, হৃদয় সিরিজ হাতড়ে
কীভাবে উপস্থাপন করব নানাকথা
অসংখ্য অধ্যায়ে গিয়ে সেসব বারবার ভাবি।
এবং রূপাকে দেওয়া কথাগুলোর কাছে এসে বসবাস করতে গিয়ে
আমি নিজেই তল্লাসি হয়ে যাই।
আমি অসহায় হয়ে আবার চারপাশ হাতরাই।
চোখাচুখি-মুখোমুখি হয়েও চিনতে পারি না
এটা কি সেই রূপা ? আমার রূপা ?
যাকে আমি টুকটাক চিনি !

রূপা, তুমি জানো না
তোমার গেনেট সজ্জিত মুখ দেখলে আমি জন্মাত্তোরত্তর ভয় পাই।
এ সময় আমি জানালাসমেত ঘরে দাঁড়িয়ে, দূর থেকেই
তোমার চাঁদমুখের চাঁদটাকেই দেখতে চাই।




খানাকুল, হুগলি
পশ্চিমবাংলা , ভারত
১৬।০৩।২০১৫
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৭৩০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৬/০৩/২০১৫

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast