www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ফেরা

মাওয়া ফেরীঘাটে আসতে আসতে অনেক রাত হয়ে গেল। দোষটা অবশ্য নাফিজের না। দুপুর দুটায় সে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করেছে তারপর ঝক্কি ঝামেলা কাটিয়ে বেলা তিনটার দিকে রওনা হয় নাফিজ। কিন্তু ঢাকার রাস্তার প্রচন্ড জ্যাম হতাশ করে তাকে। ড্রাইভার সাহেব এত জ্যাম কেন? স্যার ঈদের পর বেবাক মানুষ ঢাকা আসতাছে তাই একটু চাপ পড়ছে আরকি? তো আমরা কয়টা নাগাদ মাওয়া ঘাটে পৌঁছাতে পারব? কিছুই কইতে পারতাছিনা স্যার। নাফিজের মেজাজ চড়ে যায়। ওদেশে এত বছর থেকে এসেছে কিন্তু এ ধরনের বিরক্তিকর জ্যামে পড়েনি সে। কচ্ছপ গতিতে এগিয়ে চলছে তার গাড়িটি। অবশ্য মালামাল সে খুব একটা আনেনি। টাকা পয়সা আগেই ট্রান্সফার করে দিয়েছে তাই খুব একটা চিন্তা করছেনা সে।মাওয়া ঘাটে দাঁড়িয়ে আছে নাফিজ। ঘাটে এসে জানা গেল শেষ লঞ্চটি কিছুক্ষণ আগে ছেড়ে গেছে। এদিকে সী বোট মালিক সমিতি ধর্মঘট ডেকেছে তাই সী বোট ও বন্ধ। কি করবে ভেবে পাচ্ছেনা নাফিজ। সে কি আবার ঢাকায় ফিরে যাবে? নাহ্ এত ঝক্কি ঝামেলা করে এসে কিছুতেই ফিরে যেতে মন চাচ্ছেনা তার। একটা কাজ করলে কেমন হয়, লুঙ্গি পড়ে তা ফুলিয়ে ভাস্তে ভাস্তে নদী পার হওয়া যেতে পারে! যতসব উদ্ভট চিন্তা। অবশ্য ছোট বেলায় তারা লুঙ্গি ফুলিয়ে ভাস্তে ভাস্তে নদিতে অনেক সাঁতার কেটেছে। স্যার একটা ট্রলার পাওয়া গেছে। হঠাত্ ভাবনায় ছেদ পড়ে নাফিজের। ভাড়া কত? ভাড়া আর কত অইব স্যার হেইডা নিয়া চিন্তার কিছু নাই। ড্রাইভার সাহেব আপনি আমার জন্য অনেক কষ্ট করলেন। কি যে কন স্যার এইডা কোন কষ্ট অইল। চলেন তাহলে একটু ট্রলার পর্যন্ত এগিয়ে দিন।নীল জ্যোস্না ভেজা রাত। আকাশে তারার মেলা। আহ কত দিন পর আকাশটাকে এত কাছ থেকে দেখছে নাফিজ ভাবতেই কিছুটা আনমনা হয়ে যায় সে। ট্রলারে আর কোন যাত্রী নেই। তবে ট্রলার টি বেশ বড়সড়। পিছনে একটা ছাউনি আছে। মেশিন খুবই উন্নত মানের ফলে তেমন আওয়াজ হচ্ছে না। মাঝি এক নাগাড়ে ট্রলারটি চালিয়ে যাচ্ছে। হঠাত্ একটা ভাটিয়ালী গান ধরে সে। তার গানের সুর বিশাল পদ্মার বুকে এক অপরূপ সুর লহরি সৃষ্টি করেছে। ঢেউ গুলো যেন তার গানের তাল দিয়ে মৃদু শব্দে ট্রলারের গায়ে আছড়ে পড়ছে। হঠাত্ দূর থেকে একটা অষ্পষ্ট চিত্কার শোনা যায়। আমাকে কেউ বাঁচান …. প্লিজ হেলপ! একটা নারী কন্ঠ! এত রাতে মাঝ নদিতে একটি নারীর চিত্কার কিছুটা ভয় পেয়ে যায় তারা। আচ্ছা ভুল শোনছে নাতো তারা। কন্ঠটি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে। মাঝি ট্রলার থামান। স্যার আপনে কি পাগল অইছেন, এই রাইতে মানুষ আইব কইতন নিশ্চয়ই কোন ভূত পেতনী। রাখুন ওসব ফালতু কথা যেদিক থেকে আওয়াজ আসছে সেদিকে এগিয়ে চলুন।টর্চের আলোতে ধীরে ধীরে চিত্কার করার উত্স স্থলটা স্পষ্ট হয়ে উঠে। পরিষ্কার একটি মেয়েকে দেখা যাচ্ছে। সে গাছের গুড়ি জাতীয় কিছু একটা ধরে ভেসে আছে। রহমত মেয়েটাকে টেনে তোল। স্যার এইডা মাইয়্যা মানুষ না নির্ঘাত পেতনি। সে থর থর করে কাঁপছে। ঠিক আছে তুমি লাইট টা ধর আমি ই টেনে তোলছি। রহমান দোয়া পড়ছে- লা ইলাহা ইল্লা আন্তা …। নাফিজ মেয়েটিকে হাতটি উপরে তোলে ধরতে বল্ল। সে অত্যন্ত দূর্বল ভাবে হাতটি তোলে ধরল। নাফিজ তার হাতটি ধরে অনেক কষ্টে উপরে তোলে আনল। রহমত তোয়ালেটা দাও। জ্বে স্যার দিতাছি। প্লিজ তোয়ালে দিয়ে চুলগুলো মুছে নিন। নাফিজ ব্যাগের প্যাকেট থেকে কয়েকটি বিস্কুট ও কলা মেয়েটিকে দেয়। খেয়ে নিন দেখবেন দূর্বলতা কেটে গেছে। রহমত ট্রলার স্টার্ট দাও। স্যার স্টার্ট তো লইতাছে না। দেখো মেশিনে কোন গন্ডগোল হয়েছে কিনা। না স্যার মেশিনে কোন সমস্যা তবে এই মহিলারা উঠানের পর থেইক্যাই সমস্যা হইতাছে। কি বলছ আবল তাবল দেখো ভালো করে। দেকতাছি স্যার।খাওয়া শেষ করে মেয়েটি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে তবে শীতে কাঁপছে। নাফিজ মেয়েটিকে একটা চাদর এগিয়ে দেয়। প্লিজ চাদরটি গায়ে জড়িয়ে নিন। আচ্ছা কি হয়েছিল বলুনতো? মেয়েটি ফ্যাল ফ্যাল চোখে নাফিজের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পর কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। নাফিজ কিছুটা বিব্রত হয়ে যায়। ওদিকে সে কেঁদেই চলছে। কিছুক্ষণ পর কান্না থামে। তবে চুপচাপ। ওদিকে রহমত ট্রলারের মেশিন ঠিক করতে ব্যস্ত। তার এদিকে কোন খেয়াল নেই। দূরে কোথায় বুনোহাঁসের ডাক শোনা যাচ্ছে। অনেক দূরে ভাসমান আলো দেখা যায় হয়ত কোন নৌকা থেকে আসছে। কই আমার নাম টাতো জিজ্ঞেস করলেন না? হঠাত্ নাফিজের ধ্যান ভাঙে। এক জোড়া চোখ আর অপরূপ সুন্দর একটা মুখ তার দিকে তাকিয়ে আছে। চাঁদের আলোতে সে যেন অন্য এক রূপ ধারণ করেছে। নাফিজ কিছুটা আনমনা হয়ে যায়। অ হা আপনার নাম টাইতো জানা হলনা। কি নাম আপনার? আমি জুঁই আপনি? আমি নাফিজ। আপনার নামটাতো বেশ ফুলের নামে নাম। মেয়েটি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। আচ্ছা ঠিক কি হয়েছিল বলুনতো? আপনি দেখি কিছুই জানেন না গত কাল ই লঞ্চ ডুবল। কি বলেন আমিতো শোনিনি। সারা দুনিয়া জানে আর আপনি জানেন না? আসলে আমি গত দু দিন প্লেনে ছিলাম তাই হয়ত কিছুটা গ্যাপ হয়েছে। অ তাই হয়ত।কি ভাবে ডুবেছিল লঞ্চটি? কি ভাবে ডুবেছিল তা আমি ঠিক বলতে পারব না আসলে এত দ্রুত লঞ্চটি ডুবেছিল আমরা কিছুই টের পাইনি। লঞ্চে কত জন যাত্রী ছিল? প্রায় তিনশ বা একটু বেশি। বলেন কি তাহলেতো অনেক যাত্রী মারা গেছে! আমার সাথে আমার ছোট বোন ছিল । ও বেঁচে আছে না মরে গেছে তা আমার জানা নেই। মেয়েটি আবার কাঁদতে থাকে। কাঁদবেন না প্লিজ হয়ত আপনার বোন বেঁচে আছে। আপনি সত্যি বলছেন? আমার বিশ্বাস আপনার বোন বেঁচে আছে। মেয়েটির চোখে কিছুটা খুশির ঝিলিক দেখা যায়। জানেন অনেক ছোট ছোট বাচ্চা ছিল যারা তাদের মায়ের বুকের দুধ খাচ্ছিল। অনেক ছোট ছোট বাচ্চারা দুষ্টমি করছিল। অনেক বয়স্ক লোক ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসেছিল। ওরা হয়ত লঞ্চ ডোবার সাথে সাথেই হারিয়ে গেছে। মেয়েটির চোখে আবার পানি জমে উঠে। আমি একজন মাকে দেখেছিলাম তার বাচ্চাকে বুকে জড়িয়ে ধরে সাতার কাটছে অথচ তার বাচ্চা মারা গেছে। নৌকার মাঝিরা তাকে উঠানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু সে তার বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরেই নদীতে ডোবে গেল। এক বাবাকে দেখেছিলাম দু হাতে তার কন্যাদের জড়িয়ে ধরতে কিন্তু কিছুই হয়নি তারা চলে গেছে না ফেরার দেশে! ভাবতে পারেন এসব আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি। নাফিজ কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। আমি বেঁচে আছি কেন জানেন? আল্লাহ আপনাকে বাঁচিয়ে রেখেছে তাই হয়ত। আরেকটা কারণ আছে, আমি বেঁচে আছি আমাদের গ্রামে একটি হাসপাতাল করব বলে। আপনি কি ডাক্তার? আমি ডাক্তারি পড়ছি এখন সেকেন্ড ইয়ারে আছি। অ তাই খুব ভালো। জানেন আমার বাবা বাড়ির পাশে একটি জমি রেখেছেন সেখানে আমরা হাসপাতাল করব, গ্রামের গরীব মানুষদের চিকিত্সা করব। সেটাতো খুব ই ভালো উদ্যোগ। এটা আমার বাবার স্বপ্ন। সেই স্বপ্নের স্বাপ্নিক হিসেবে আপনি কাজ করছেন তাইতো? মেয়েটি হেসে উঠে। হাসিতে তাকে অনেক সুন্দর লাগছে। আচ্ছা আমি একটু ঘুমবো। একটা কাজ করেন ঐ ছৈয়ের নিছে গিয়ে আরাম করে ঘুমান। আচ্ছা আপনি যাবেন কোথায়? আমি যাব সর্দার বাড়ি, জাজিরা বাজারের সাথেই। ঠিক আছে আপনি ঘুমুতে যান।ট্রলার চলতে শুরু করেছে। এতক্ষণে চাঁদটা ডুবে গেছে। শুক তাঁরাটা এক বুক দুঃখ নিয়ে আকাশের বুকে তিলক রেখা হয়ে বসে আছে। নদীর চরে দুইপাশের ঘাস গুলো ঘুমিয়ে পড়েছে। কিছুটা কুয়াশা তাঁদের ঘিরে রেখেছে। থেমে থেমে অজানা একটি পাখি ডেকে ডেকে নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। রহমত এক নাগাড়ে ট্রলার চালিয়ে যাচ্ছে। মেয়েটা তখনো বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। তার ভারি নিঃশ্বাসের শব্দ নাফিজের কানে এসে অনুরণিত হচ্ছে। গত দুটি রাত সে ঘুমাতে পারেনি। আহা ঘুমাক বেচারী। মেয়েটার প্রতি কিছুটা ভালোলাগা তৈরী হয়েছে নাফিজের মনে। এখনো সবকিছু স্বপ্নের মত মনে হচ্ছে তার কাছে। মাঝ রাতে নদীর গভীরে একটি অসহায় মৃত্যু পথ যাত্রী রমণীর সাথে পরিচয়, নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে তাকে রক্ষা করা, কথা বিনিময় কি অদ্ভুত যোগাযোগ তাইনা! স্রষ্টার পৃথিবীতে কত অদ্ভুত ঘটনাইনা ঘটে। কার সাধ্য আছে সে রহস্যের জাল ছিন্ন করা। পুবের আকাশটা হালকা ফর্সা হয়ে উঠেছে। রাতের বেশি বাকি নেই। দু চোখে কিছুটা তন্দ্রা লেগে আসে নাফিজের।স্যার ট্রলার কিছুক্ষণ পর ই ঘাটে ভিরব তাড়াতাড়ি উঠেন। নাফিজ হাই তোলতে তোলতে জেগে উঠে। মঙ্গল মাঝির ঘাটে এসে পড়েছে তারা। দেখতে দেখতে ট্রলারটি ঘাটে ভিরল। চারদিকে এখনো আবছা অন্ধকার। রহমত এখন ই নেমে পড়ব দেখতো মেয়েটা জেগেছে কিনা। জ্বে স্যার দেখতাছি। রহমত ছৈয়ের পর্দাটা একটু সরিয়ে দেয়। হায় হায় স্যার ভিতরেতো কেউ নাই। নাফিজের বুকের ভিতরটা ছেদ করে উঠে। কি বলছ এসব। নাফিজ এগিয়ে যায়। নাহ্ কোথায়ও নেই মেয়েটা! যেন গায়েব হয়ে গেছে। আচ্ছা রহমত মেয়েটা আমাদের অগোচরে লাফ দিয়ে নেমে যায়নিতো? ক্যামনে নামব স্যার, ট্রলারতো মাত্র ভিরল। তবে কি পানিতে পড়ে গেছে? হেইডা ও সম্ভব না স্যার। তবে গেল কোথায় মেয়েটি? নাফিজের কন্ঠে কিছুটা ভয় মিশ্রিত হতাশা। গতকাল ই নাকি লঞ্চ ডুবেছিল এখানে? মেয়েটা ছিল সেই লঞ্চের যাত্রী। এইসব কি কন স্যার? লঞ্চতো ডুবছে দুই বছর আগে। দু ..ই ..ব ..ছর আগে! তুমি ঠিক বলছতো রহমত? জ্বে স্যার হেইয়ার পর আর কোন লঞ্চ ডুবে নাই। নাফিজের মনে একটা  ঘোর লাগা ভাবের সৃষ্টি হয়। মাথাটা ঘুরে আসে তার। এত জীবন্ত, এতটা বাস্তব এ কি করে সম্ভব। ঠিক আছে রহমত এ বিষয় নিয়ে কারো সাথে কথা বলা দরকার নেই আমি নেমে যাচ্ছি। নাফিজ নেমে একটি বেবি টেক্সী ভাড়া করে। উদ্দেশ্যে জুইদের বাড়ি। শাঁ শা করে এগিয়ে যাচ্ছে গাড়িটি। ততক্ষণে পূব আকাশ লাল হয়ে এসেছে।জুঁইয়ের বাবার সাথে বাড়ির উঠানেই পরিচয় হয় নাফিজের। কিছুক্ষণ আগে ফজর নামায পড়ে বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়েছে সে। দূর থেকে নাফিজকে দেখে খানিকটা এগিয়ে যায়। কিছুটা অবাক হয়। এত সকালে তার বাড়ির সামনে একজন আগন্তক কে দেখে। আচ্ছা জুঁই নামে কি আপনার কোন মেয়ে ছিল। মূর্হুতেই তার মুখটা শুকনো হয়ে যায়। কিছুক্ষণ চুপ থাকে সে। চশমার কাঁচ চোখের পানিতে ভিজে উঠে। কেন বাবা তুমি আমার মেয়েকে চিনতে। না ঠিক তা নয় তবে আজ রাতে তার সাথে আমার কাকতালীয় ভাবে পরিচয় ঘটে। ঠিক কি ঘটেছিল একটু বিস্তারিত বলবে? নাফিজ রাতের পুরো ঘটনটা তাকে শোনায়। জুঁইর বাবা নির্বাক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। মনে হচ্ছে সে কোন সুদূর অতীতে হারিয়ে গেছে। হ্যা বাবা ও আমার ই মেয়ে। গত দু বছর আগে মর্মান্তিক এক লঞ্চ দূর্ঘটনায় আমার দু মেয়ে মারা যায়। ও ছিল আমার বড় মেয়ে। তোমার সাথে যে ঘটনাটা ঘটেছে তা আরো দু বার ঘটেছিল। প্রতিবার ই সে বাসায় ফিরতে আসতে চায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর আসা হয়না। আমি এমনি কপাল পোড়া যে আমার মেয়ে দুটোর লাশটুকু আমি পায়নি। জুঁই বাবা কাঁদছে। সে কান্না থামানোর সাধ্য কার আছে। কখন যে নিজের অজান্তে নাফিজের চোখের কোণেও জমেছে কিছুটা জল তা সে টের ই পায়নি। জুঁইর বাবা নাফিজের হাত ধরে তাকে বাড়ির পিছনটায় নিয়ে যায়। এইখানটায় কিছু জমি রেখেছিলাম হাসপাতাল করার জন্য। আমার স্বপ্ন ছিল মেয়েরা ডাক্তার হয়ে এখানে সবার চিকিত্সা করবে। কিন্তু কি হতে কি হয়ে গেল। নাফিজ যেন শেষের কথা গুলো শোনতে পায়না। তার মনে ভেসে উঠে রাতের আঁধারে হারিয়ে যাওয়া একটি মুখ। জানেন আমি বেঁচে আছি কেন? আমি আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করব বলে। নাফিজ বিড় বিড় করে বলে কিছু স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় জুঁই স্বপ্ন ই থেকে যায়। ততক্ষণে সূর্যের আলোয় পুরো জমিটা আলোকিত হয়ে গেছে।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৮১৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১১/০৮/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast