www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

গাজার সকাল

গাজার সকাল। সকালতো নয
যেন
চৈত্রের কাঠফাটা দাবদাহ। এ
দাবদাহ
প্রকৃতির নয় মানব সৃষ্ট!
আমাদের
সকাল গুলোতে আমরা যেমন
ভোরের
মিষ্টি আলোর সৌরভ
মাখতে পারছি,
পারছি বুক ভরে বিশুদ্ধ
বাতাসের
নিঃশ্বাস নিতে। শিশিরের
আলতো ছোঁয়ায়
আঁকাবাঁকা মেঠো পথে পারছি সোনালি স্বপ্ন
দেখতে,
গাজাবাসীরা তা পারছেনা।
তাদের
ভোর হয় বুলেটের
শব্দে,বাতাসে থাকে তাজা বারুদের
গন্ধ
আর স্বপ্ন সেতো তাদের
জন্য নয়।
আমাদের সকাল
গুলোতে আমরা হয়তো জীবনের
ছবি আঁকি।সূদূর ভবিষতের
কথা ভেবে পুলকিত হই। হয়ত
বাউলের
গানে গানে, বাতাসের শানে শানে,
ঢেউয়ের
তালে তালে কিংবা কবিতার
ছন্দে স্বপ্নের জাল
বুনে থাকি কিন্তু
গাজাবাসির এসব ভাবার সময়
কই।
এইতো সেদিন। সেই সুন্দর
সকালে-
গাজার রাস্তায় একটি শিশু
স্বপ্নের
জাল বুনছিল। সে হয়ত তার মত
করে জীবনকে ভাবছিল, ধূলায়
গড়াগড়ি খেয়ে আনন্দের
বহিঃপ্রকাশ
ঘটাচ্ছিল। তার চোখে স্বপ্ন
ছিল,সূর্যের ঝিলিক ছিল, ছিল
লক্ষ
তারার হাতছানি কিন্তু
কারা ওরা?
হায়েনার বেশে,হিংস্র শ্বাপদের
ন্যায়,
শুকুনির রুপে, চারপাশ ঘিরে ধরল
ছোট্ট
শিশুটির যেন বাঘের পালের
মাঝে, ছোট্ট
সুন্দর সাদা খরঘোশ! শিশুটির
চোখে রাজ্যের বিস্ময়,
কারা এরা!
- তোমরা কি আমার
সাথে খেলতে এসেছো, তবে বস,
দাঁড়িয়ে কেন? ভাঙা কন্ঠে তার
ভাঙা উচ্চারন। - তোর
বাবা কোথায়?
- বাবা কে খুজছ বুঝি!
সেতো সে কবেই
হারিয়ে গেছে। কারা যেন আমার
বাবাকে মেরে ফেলেছে। থাক
সে কথা।
তোমরা বুঝি আমার বাবার
বন্ধু? এ্যই
তোমরা কথা বলছ না কেন? ও
বুঝেছি তোমরা আমার
মাকে খুজছ।
তোমাদের ই কি দোষ,
তোমরাতো আর
জানোনা মা আমার
স্বর্গে চলে গেছে।
আমাকে নিয়ে যাবে বলেছে।
জানো আমি প্রায় ই
মাকে স্বপ্নে দেখি।
এইতো সেদিন মা এসেছিলো।
কত গল্প
করল আমার সাথে, এরপর ঘুম
পাড়িয়ে তবেই
না মা স্বর্গে চলে গেল।
আমি যেতে চেয়েছিলাম।
মা হেসেছিল।
জানো বুবু বলেছে বড়
হয়ে আমি ডাক্তার হব।
কি মজা হবে তাইনা?
- ফিলিস্থিনী বর্বরদের আবার
ডাক্তার
হবার সখ! ওকে ধর। ওর স্বপ্ন
দেখার
বাসনার চির অবসান করে দেই।
আমরা ইহুদীরা হচ্ছি পৃথিবীর
পবিত্র
জাতি, স্রষ্টার কাছের লোক।
স্বপ্নতো দেখবো আমরা।
আর এই
ছোটলোকের
বাচ্চা কিনা রাস্তায়
বসে স্বপ্ন দেখছে।
ওকে উপরে তোলে আছাড়
মার।
তারপরের ইতিহাস সবার জানা।
পাশবিকতার শৈল্পিক রুপ
দিয়েছিল ওরা।
ফেরাউন, নমরুদ আর
চেঙ্গিসের যোগ্য
নেতৃত্ব যে ওদের হাতেই
তা আরেকবার
প্রমানিত হল। প্রচন্ড
জোরে আছাড়
মারা হয়েছিল অবুঝ শিশুটিকে।
শিশুটি ভেবেছিল হয়ত সবাই ওর
শত্রু
নয়। ঐ তো উনি ই হয়ত
বা তাকে সাহায্য করবে। কিন্তু
না কারো দয়া হয়নি। একজন
তার হাত
কাটল,অন্য জন আরেক হাত,
আরেক
জন গুলি করল,
চূড়ান্তভাবে পাথর
মেরে হত্যা করা হলো শিশুটিকে।
বিজয়ের
আনন্দে পৈচাশিক আনন্দ
করল
ঈসরাইলী হায়েনা গুলো।
গাজার রাস্তায়
সূচনা হলো আরেকটি সকালের।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৭১৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১০/১১/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • মনির আহমদ। ১০/১১/২০১৩
    Darun vai, darun hoiche.
  • আপনার ভাবনা টি হৃদয় স্পর্শী। কিন্তু আমার কেন জানি লাইন বিন্যাস ভালো লাগলো না। হয়তো আমি তেমন বুঝি না।
 
Quantcast