www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

দানশীল তালহা

হযরত তালহা বিন
উবাইদুল্লাহ (রাঃ)
ছিলেন একজন
বিত্তশালী
ব্যবসায়ী। কিন্তু
সম্পদ পুঞ্জীভূত
করার লালসা তার
ছিলোনা। তার
দানশীলতার বহু
কাহিনী ইতিহাসে
পাওয়া যায়। ইতিহাসে
তাকে “দানশীল
তালহা” বলে উল্লেখ
করা হয়েছে। একবার
হাদরামাউত থেকে
সত্তর হাজার দিরহাম
এলো তার হাতে। রাতে
তিনি বিমর্ষ এবং
উৎকন্ঠিত হয়ে
পড়লেন। তার স্ত্রী
হযরত আবু বকর
রাদিয়াল্লাহু আনহু এর
কন্যা উম্মু কুলসুম
স্বামীর এ অবস্থা
দেখে জিজ্ঞেস
করলেনঃ
— আবু মুহাম্মাদ,
আপনার কী হয়েছে?
মনে হয় আমার কোন
আচরণে আপনি কষ্ট
পেয়েছেন।
— না, একজন মুসলমান
পুরুষের স্ত্রী হিসেবে
তুমি বড় চমতকার।
কিন্তু সেই সন্ধ্যা
থেকে আমি চিন্তা
করছি, এত অর্থ ঘরে
রেখে ঘুমালে একজন
মানুষের তার
পরওয়ারদিগারের
প্রতি কীরূপ ধারণা
হবে?
— এতে আপনার বিষণ্ণ
ও চিন্তিত হওয়ার কী
আছে? এত রাতে
গরীব-দুখী ও আপনার
আত্মীয় পরিজনদের
কোথায় পাবেন? সকাল
হলেই বন্টন করে
দেবেন।
— আল্লাহ তোমার ওপর
রহম করুন। একেই বলে,
বাপ কি বেটী।
পরদিন সকালবেলা
ভিন্ন ভিন্ন থলি ও
পাত্রে সকল দিরহাম
ভাগ করে মুহাজির ও
আনসারদের গরীব
মিসকীনদের মধ্যে
তিনি বন্টন করে দেন।
তার দানশীলতা
সম্পর্কে অপর একটি
ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।
এক ব্যক্তি হযরত
তালহার নিকট এসে
তার সাথে
আত্মীয়তার
সম্পর্কের কথা
উল্লেখ করে কিছু
সাহায্য চাইলো। তালহা
বললেনঃ অমুক স্থানে
আমার একখন্ড জমি
আছে। উসমান ইবনে
আফফান উক্ত জমির
বিনিময়ে আমাকে তিন
লাখ দিরহাম দিতে
চান। তুমি ইচ্ছে করলে
সেই জমিটুকু নিতে
পারো বা আমি তা
বিক্রি করে তিন লাখ
দিরহাম তোমাকে দিতে
পারি। লোকটি মূল্যই
নিতে চাইলো। তিনি
তাকে বিক্রয়লব্ধ
সমুদয় অর্থ দান
করেন।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ১০১৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২২/০৮/২০১৫

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • কবীর হুমায়ূন ০৬/১০/২০১৫
    তিন লাখ দিরহাম!

    তবে, গল্প ভালো লাগলো।
  • কিশোর কারুণিক ২৩/০৮/২০১৫
    ভাল
  • মোবারক হোসেন ২২/০৮/২০১৫
    ভাল লাগলো।
 
Quantcast