শব্দ দানব
আমরা বহু যুগ আগে সভ্যতার আলো দেখেছি, কিন্তু এখনো অসভ্যতার অন্ধকার আমাদের তাড়া করে বেড়ায়। সময়ে অসময়ে আমাদের ভিতরকার দানবটা বেরিয়ে আসে- সভ্য মূর্তির ভিতর বাস করে অসভ্যতার অন্ধকার।
কালী পুজোর কটা দিন আমাদের ভিতরকার দানবটা বেরিয়ে আসে। আমরা শব্দ বাজি ফাটিয়ে নিজেদের আসুরিক ভক্তি প্রকাশ করি। আসুরিক ভক্তি আটকাতে পুলিশ হয়রান। আইন আদালতের চোখে ধুলো দিয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠে বোমা তৈরির কারখানা। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে বিক্রি হয় বুড়ি মা-র চকলেট বোম। সে কি আওয়াজ! সদ্যজাত থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বৃদ্ধা, যখন তখন হার্ট ফেল করে যাবে। আওয়াজের সাথে ধোঁয়া- চোখ, নাক, মুখ সব জ্বালা করে। সুস্থ মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
খবরের কাগজে কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা পড়লাম। শব্দ বাজি ফাটানোর জন্য পুলিশের জালে ধরা পড়েছে বহু লোক, কতজন জানি না, তবে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পড়ে ভালো লাগলো, কিন্তু এতে কি চেতনা বদলাবে? প্রথম কাজ হল বেআইনি কারখানা গুলোকে চিহ্নিত করে তাদের কাজ কারবার ধ্বংস করা। রেল লাইন বা মেট্রো লাইনে বোম ফেলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে যখন তখন যে কোনো রকমের বিপদ হতে পারত। এতো ভুস্বর্গের ভয়ঙ্কর রূপ নেমে এসেছে কালী পুজোর রাতে কলকাতার বুকে। একটা মজার ঘটনা বলি, শব্দ দানবের হাত থেকে বাঁচার জন্য একটা নেড়ি কুকুর মেট্রো রেলে উঠে পড়েছে।
দীপাবলিতে সারা ভারতে শব্দ দানবের উৎপাত। দীপাবলিতে কেবল প্রদীপ জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানানো যায় না, ধামাকা করতেই হবে। মানুষের বিবেক বলতে কি কিছুই নেই! এতে তো মা কালী আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন। তিঁনি মা হয়ে কখনোই চান না যে তাঁর অসহায় সন্তানরা চোখের জল ফেলুক আর দুষ্টু সন্তানরা হাসি মুখে বেঁচে থাকুক। নির্মম কাজ করে তাঁকে দিয়ে নিষ্ঠুর বিচার করাতে আমরা বাধ্য করছি। যত দিন না মানুষ অন্তর থেকে সভ্য হচ্ছে, ততদিন মায়ের কৃপা পাওয়া খুব মুশকিল।
বোম নয় বাদ্য দিয়ে বরণ করি মাকে। পরবর্তী প্রজন্মকে সংস্কৃতি শেখাই- সভ্যতাই জীবন, অসভ্যতা মরণ। শব্দের মাধুর্য আওয়াজে নয়, সুরে। শব্দের প্রাণ ধামাকাতে নয়, ধ্যানে।
কালী পুজোর কটা দিন আমাদের ভিতরকার দানবটা বেরিয়ে আসে। আমরা শব্দ বাজি ফাটিয়ে নিজেদের আসুরিক ভক্তি প্রকাশ করি। আসুরিক ভক্তি আটকাতে পুলিশ হয়রান। আইন আদালতের চোখে ধুলো দিয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠে বোমা তৈরির কারখানা। প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে বিক্রি হয় বুড়ি মা-র চকলেট বোম। সে কি আওয়াজ! সদ্যজাত থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বৃদ্ধা, যখন তখন হার্ট ফেল করে যাবে। আওয়াজের সাথে ধোঁয়া- চোখ, নাক, মুখ সব জ্বালা করে। সুস্থ মানুষ ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
খবরের কাগজে কিছু চাঞ্চল্যকর ঘটনা পড়লাম। শব্দ বাজি ফাটানোর জন্য পুলিশের জালে ধরা পড়েছে বহু লোক, কতজন জানি না, তবে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পড়ে ভালো লাগলো, কিন্তু এতে কি চেতনা বদলাবে? প্রথম কাজ হল বেআইনি কারখানা গুলোকে চিহ্নিত করে তাদের কাজ কারবার ধ্বংস করা। রেল লাইন বা মেট্রো লাইনে বোম ফেলে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে যখন তখন যে কোনো রকমের বিপদ হতে পারত। এতো ভুস্বর্গের ভয়ঙ্কর রূপ নেমে এসেছে কালী পুজোর রাতে কলকাতার বুকে। একটা মজার ঘটনা বলি, শব্দ দানবের হাত থেকে বাঁচার জন্য একটা নেড়ি কুকুর মেট্রো রেলে উঠে পড়েছে।
দীপাবলিতে সারা ভারতে শব্দ দানবের উৎপাত। দীপাবলিতে কেবল প্রদীপ জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানানো যায় না, ধামাকা করতেই হবে। মানুষের বিবেক বলতে কি কিছুই নেই! এতে তো মা কালী আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন। তিঁনি মা হয়ে কখনোই চান না যে তাঁর অসহায় সন্তানরা চোখের জল ফেলুক আর দুষ্টু সন্তানরা হাসি মুখে বেঁচে থাকুক। নির্মম কাজ করে তাঁকে দিয়ে নিষ্ঠুর বিচার করাতে আমরা বাধ্য করছি। যত দিন না মানুষ অন্তর থেকে সভ্য হচ্ছে, ততদিন মায়ের কৃপা পাওয়া খুব মুশকিল।
বোম নয় বাদ্য দিয়ে বরণ করি মাকে। পরবর্তী প্রজন্মকে সংস্কৃতি শেখাই- সভ্যতাই জীবন, অসভ্যতা মরণ। শব্দের মাধুর্য আওয়াজে নয়, সুরে। শব্দের প্রাণ ধামাকাতে নয়, ধ্যানে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফয়জুল মহী ১২/১১/২০২৫Good points
