www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

সাজিব চৌধুরী

শিক্ষার্থীর পাঠোন্নতির সমস্যা ও সমাধান
সাজিব চৌধুরী
-----------------------------------------------------
শিক্ষা একটি অত্যাবশ্যকীয় বিষয়। এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি বুঝি। যার কারণে, আমরা সবাই নিদেনপক্ষে নিজের সন্তানকে সুশিক্ষা দিতে কখনও অবহেলা করি না। যারা অবহেলা করছি, তাও হয়তো শিক্ষার অভাবে। কিন্তু, প্রশ্ন হলো, সুশিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে আমরা কতটুকু সফল হতে পারছি। অভিভাবকদের মুখে প্রায়শই শুনা যায়, "আমার সন্তানকে আমি নিয়মিত দেখভাল করি, ঘরে শিক্ষক রেখে পড়াই, নিয়মিত স্কুলে যায়, এরপরও সে পরীক্ষায় খারাপ করছে।" কেন এমনটা হচ্ছে? একটু আলোচনায় আশা যাক। প্রথমত যে কথাটি বলবো, একজন শিক্ষার্থী ব্যর্থ হওয়ার পেছনে মা-বাবা, অভিভাবক-অভিভাবিকা ও শিক্ষক-শিক্ষিকার অবহেলা ও আন্তরিকতার অভাব সর্বপ্রথমে দায়ী। কিন্তু, শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের আন্তরিকতার অভাব না থাকা সত্ত্বেও কেন একজন শিক্ষার্থী সফল হতে পারছে না বা পাঠোন্নতি ধরে রাখতে পারছে না এবং তা নিয়েই আমার এই আলোচনা।
আমরা অনেক সময় দেখি, আমাদের সন্তান শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে বেশ ভাল ফলাফল করে। কিন্তু যখন সে মাধ্যমিক স্তরে যায় বা আরও উপরের শ্রেণিতে যায় সে আর ভাল করতে পারছে না। কেন এমন হচ্ছে এই প্রশ্নটির উত্তর খুঁজে বের করা প্রত্যেক অভিভাবকসহ শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের উচিৎ। যে শিশুটি প্রাথমিক লেভেলে ভাল ফলাফল করতো, সে কেন উপরের শ্রেণিতে খারাপ করবে?
আমি একজন শিক্ষক হিসাবে সমস্যাগুলো সনাক্ত করে সমাধানের চেষ্টা করছি।

সমস্যা সনাক্তকরণঃ
---------------------------
# শিক্ষার প্রাথমিক স্তরে অভিভাবক বা শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার কলাকৌশল না বুঝে মুখস্থনির্ভর শিক্ষাদান।
# আমরা জানি, কমবয়সী শিশুদেরকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আর এই সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে কিছু পাঠ সহজেই মুখস্থ করানোর মাধ্যমে ভাল ফলাফল অর্জন করানো খুবই সম্ভব। এই কৌশলটি সাময়িক ভাল ফলাফল অর্জনে সহায়ক হলেও পরবর্তীতে এই মুখস্থবিদ্যা শিক্ষার্থীর আর কাজে লাগে না।
# প্রাথমিক স্তরে শিশুদেরকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ পরীক্ষার খাতায় লেখার মান বিবেচনা না করে কোন কোন ক্ষেত্রে উচ্চ নম্বর প্রদান করেন। ফলে, একজন পিছিয়েপড়া শিক্ষার্থীও নিজেকে ভাল/মেধাবী শিক্ষার্থী ভাবতে শুরু করে। মা-বাবাও ভাবতে শুরু করেন তাঁর সন্তান মেধাবী।
# এই স্তরে শিশুরা কম শিখে বেশি নম্বর পায়। এছাড়া, নোট প্রথা, গাইড প্রথা ইত্যাদি তাদেরকে সাময়িক ভাল নম্বর পেতে সহযোগিতা করলেও সৃজনশীল শিক্ষাদানের অভাবে শিক্ষার্থী জ্ঞানের দিক থেকে পিছিয়ে পড়ে।
# এই স্তরে কোন কোন ক্ষেত্রে সাধারণত কম মেধাবী, অপ্রশিক্ষিত ব্যক্তি কর্তৃক শিশুকে শিক্ষা দেওয়া হয়। ফলে, একজন শিক্ষার্থী কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা অর্জন থেকে বঞ্চিত হয়। মাঝেমাঝে লক্ষ করা যায়, একজন শিক্ষার্থী ভুল শিক্ষায় বেড়ে উঠছে যা তার মধ্যে স্থায়ী প্রভাব পড়ছে।
# পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের আশায় পাঠ্যপুস্তকের সবকিছু যথাযথ শিক্ষা না দিয়ে কিছু নির্ধারিত বিষয়ে শিক্ষাদানের ফলেও শিক্ষার্থী পরবর্তীতে পিছিয়ে পড়ছে।
# প্রাথমিক স্তরে কোন কোন ক্ষেত্রে যোগ্য শিক্ষকের অভাবে মুখস্থনির্ভর পাঠদানের কারণে শিশু সাময়িক ভাল ফলাফল অর্জন করলেও সঠিক জ্ঞান অর্জনের কেন্দ্র থেকে পিছিয়ে পড়ে।
# অভিভাবক-অভিভাবিকাদের মধ্যে শিশুদেরকে নিয়ে অরুচিকর, বিকৃত ও অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতার কারণে অভিভাবকগণ শিশুদেরকে জ্ঞান অর্জনে ব্রতী না করে, যেভাবেই হোক ভাল ফলাফল অর্জনে উৎসাহিত করে। ফলে, শিক্ষার্থীরা শর্টকাট মেথড-এ পড়ালেখা করে যা তাকে প্রকৃত জ্ঞান অর্জনে বাধা দেয়।
# কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলোতে নার্সারি, কেজি লেবেল থেকেই শিশুদের জন্য ব্যাগভর্তি বই নির্ধারণ করে। এর ফলে, বই-এর অতিরিক্ত চাপে শিশু ঐ পর্যায়ে প্রকৃত অর্থে যে সকল মৌলিক বিষয় শেখা দরকার তা শিখে উঠতে পারে না।
# পরীক্ষার মূল্যায়নজনীত ত্রুটির কারণে দেখা যায় দুইজন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে মানগত ব্যাপক পার্থক্য সৃষ্টি হয়। এর ফলে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত দুর্বল শিক্ষার্থী উচ্চতর শ্রেণিতে পিছিয়ে পড়ে।
# উপরের শ্রেণিতে উঠার পর একজন শিক্ষার্থীর যে মানের সহযোগিতা, নির্দেশনা বা শিক্ষাসহায়তা দেওয়া প্রয়োজন তা অনেক অভিভাবক তাঁদের জ্ঞানগত সমস্যা, সচেতনতা বা অন্যকোন পারিপার্শ্বিক কারণে শিক্ষার্থীকে প্রদান করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।
# ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক এই তিন পক্ষের সুসমন্বয়ের অভাবেও শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়ছে।
# বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত কোচিং সেন্টারগুলোর নোটমার্কা পড়ালেখা শিক্ষার্থীদেরকে জ্ঞানের দিক থেকে পিছিয়ে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীরা নোট হাতে পেলে পাঠ্যবই হাতে নিতে চায় না। পাঠ্যপুস্তক বিহীন পড়ালেখা ভঙ্গুর শিক্ষা অর্জনের সামিল।
# বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পরিচালিত কোচিং সেন্টারগুলোতে অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে অবাধে ছাত্র-ছাত্রী আড্ডা দেওয়ার সুযোগ, ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ, শাসন শিথিলতা ইত্যাদি একজন শিক্ষার্থীকে বইবিমুখ করে তুলছে। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টারে যাওয়ার নামে যাচ্ছেতাই অন্যত্র ঘুরে বেড়ায়। ফলে, অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষা অর্জনের সুচক্র থেকে ছিটকে পড়ে বিভিন্ন কুচক্রে জড়িয়ে পড়ে।
# একজন শিক্ষার্থীর জন্য উপযুক্ত শিক্ষক নির্বাচনও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
একজন যোগ্য শিক্ষক নিশ্চিতভাবে শিক্ষার্থীকে এগিয়ে দিতে পারে। বিপরীত পক্ষে, একজন অপরিপক্ব শিক্ষক শিক্ষার্থীকে পিছিয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা যায়, অনেক অভিভাবক কয়টা সার্টিফিকেট আছে, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে এমন কিছু বিষয় দেখে শিক্ষক নির্বাচন করেন। আমাদের মনে রাখতে হবে, সার্টিফিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি কখনও ভাল শিক্ষক সনাক্ত করার পক্ষে যথেষ্ট নয়, হয়তো সহায়ক হতে পারে, যেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করেও শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে।
# মা-বাবা কর্তৃক সন্তানের প্রতি অতিরিক্ত বিশ্বাসও অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়ার কারণ হয়ে উঠে।
# মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদির প্রতি শিক্ষার্থীর অতিরিক্ত আসক্তি।
# নৈতিক শিক্ষা ও মূল্যবোধের অভাবজনিত সমস্যা শিশুকে শিক্ষার কেন্দ্র থেকে দূরে ঠেলে দিতে পারে।

সমাধানের উপায়ঃ
--------------------------
সমাধান মূলত উপরে উল্লিখিত সমস্যার মধ্যেই নিহিত। সমস্যাগুলো সনাক্ত করে সুপরিকল্পিত সমাধানে আসতে পারলেই একজন শিশুর জন্য সর্বস্তরে কাঙ্ক্ষিত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
নিচে কিছু সমাধান উল্লেখ করছি।

# শিশুকে ৬ বছরের মধ্যে প্রয়োজনীয় নৈতিক শিক্ষা দেওয়া ও মূল্যবোধকে জাগ্রত করা উচিৎ। প্রদত্ত নৈতিক শিক্ষা অনুযায়ী শিশু জীবনযাপন করছে কিনা সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
# শিক্ষার্থীদেরকে শৈশবকালে উপযুক্ত ও কার্যকরী শিক্ষাপ্রদান নিশ্চিত করতে হবে। তার অংশ হিসাবে শিশুকে শৈশব থেকে একজন অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত ব্যক্তির অধীনে রাখা উচিৎ।
# কোন শিশু না বুঝে পাঠ মুখস্থ করছে কিনা খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া, খেয়াল রাখা উচিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদান শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের উদ্দেশ্যে যেন না হয়, তারা যেন জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে পড়ালেখা করে।
# সৃজনশীল মেধাকে বিকশিত করার লক্ষ্যেই আমাদের পাঠদান কৌশল নির্ধারণ করা একান্ত উচিৎ। এর ফলে শিশুর মধ্যে আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধি পাবে।
# উচ্চ শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে বিভিন্ন কৌশল প্রয়োগ করে একজন শিক্ষার্থীকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
# শৈশবে এতগুলো বই শিশুর কাঁধে চাপিয়ে না দিয়ে মৌলিক বিষয়সমূহের উপর গুরুত্ব আরোপ করা খুবই জরুরী একটি বিষয়।
# পাঠ্যপুস্তক থেকে নির্দিষ্ট কিছু বিষয় না শিখিয়ে পুরো বইকে গুরুত্ব দিয়ে পাঠদান করা বা শিখিয়ে নেওয়া উচিত।
# নোট ও গাইড থেকে দূরে থেকে প্রশ্নের উত্তর পাঠ্যপুস্তক থেকে খুঁজে বের করা।
# কিন্ডারগার্টেনসহ সকল স্তরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ্য ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষকের মাধ্যমে পাঠদান করানো।
# শিশুর মেধাকে বিকশিত করতে মাঝেমাঝে বিভিন্ন বিষয়ে তাকে নিজেরমত করে লিখতে দেওয়া এবং তা মূল্যায়নপূর্বক শিক্ষার্থীকে সঠিক পরামর্শ দেওয়া বাঞ্ছনীয়।
# তৃতীয় শ্রেণির পর্যন্ত পাঠকালীন সময়ে একজন শিক্ষার্থীকে বাংলা ও ইংরেজি অনর্গল পাঠে অভ্যস্ত করানো।
# শিশুকে প্রতিদিন নিয়ম করে মুখেমুখে বা লিখিতভাবে নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচয় করানো প্রয়োজন।
# শিশুকে দেশের কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করানোর জন্য পল্লীগ্রামের ক্ষেত-খামার থেকে শুরু করে দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঐতিহ্যসমূহ ভ্রমণের ব্যবস্থা করা।
# ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক এই তিনটি পক্ষের মধ্যে সুসমন্বয় ঘটানো।
# শিশুদেরকে অতিরিক্ত বিশ্বাস না করে অভিভাবকদের উচিৎ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীর বন্ধু ও প্রতিবেশিদের কাছ থেকে তাঁর সন্তান সম্পর্কে খবরাখবর নেওয়া।
# শিশু মানসিকভাবে পরিপক্ক না হওয়া পর্যন্ত উল্লিখিত ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো কোনভাবেই কিনে না দেওয়া। যেমন- এনড্রয়েট মোবাইল, ল্যাপটপ, গেইমপ্লেয়ার ইত্যাদি।
# অভিভাবকদের জন্য মাঝে মাঝে প্রশিক্ষণ বা কাউন্সিলিং-এর ব্যবস্থা নেওয়া।
# উপযুক্ত শিক্ষক নির্বাচন করা। প্রয়োজনে শিক্ষক নির্বাচনে বিজ্ঞজনদের পরামর্শ নেওয়া।
# শিশুকে নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে কোন প্রকার বিকৃত ও অস্বাভাবিক প্রতিযোগিতায় না নামা।
# কোচিং সেন্টারের নোট নির্ভর পড়ালেখা থেকে শিশুকে বিরত রাখা।
# যে সকল কোচিং সেন্টারে ছাত্র-ছাত্রী অবাধে আড্ডা দেওয়ার সুযোগ আছে, ইন্টানেট ব্যবহারের সুযোগ আছে, শাসন শিথিলতা আছে এসব কোচিং সেন্টার থেকে সজাগ থাকা।
# শিক্ষার্থীকে পাঠে মনোযোগী করে রাখতে নিরবচ্ছিন্ন পাঠদানের পাশাপাশি অনুপ্রেরণামূলক কথা বলা।
# মা-বাবা কর্তৃক সন্তানকে অতিরিক্ত বিশ্বাস না করা।
# বিদ্যালয়ের পরীক্ষা থেকে শুরু করে পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া এমন হতে হবে যাতে একই গ্রেডপ্রাপ্ত দুইজন শিক্ষার্থীর মধ্যে জ্ঞানগত মান সমান থাকে।
# শিক্ষার্থীকে নিয়মিত কাউন্সিলিং/পরামর্শ দানের মাধ্যমে সু-অভ্যাস গঠন করার পাশাপাশি উচ্চ স্বপ্ন দেখানো একান্তই জরুরি।

শিক্ষার লক্ষ্যই হলো শিক্ষার্থীর মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তনের মাধ্যমে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করা। সবকিছুর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। লেখাপড়া শিখে একজন শিক্ষার্থী যদি অসাম্প্রদায়িক চেতনাসমৃদ্ধ, উদার মানবতাসম্পন্ন উচ্চ চিন্তার অধিকারী হতে না পারে, তাহলে সে যত বড় শিক্ষিত-ই হোক না কেন, প্রকৃতঅর্থে সে সমাজের জন্য মস্ত একটা বোঝা হয়ে থাকবে।
তাই, আমাদের উচিৎ, পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি শিশুকে দেশের সংস্কৃতি, প্রথা ও নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা।
-----------------------------------------
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৪০৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৩/০৫/২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast