আদিবাসী -৩
পাহাড়ি সকালের একেবারে আলাদা গন্ধ থাকে। পাখির ডাক, মেঘের ভেলা, আর দূরে ঝরনার অবিরাম শব্দ—সব মিলিয়ে এক মোহময় পরিবেশ।
রুদ্র জানালার পাশে বসে নিশির মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। নিশি তখন আধোঘুমে, চুল এলোমেলো, মুখে প্রশান্তির ছায়া। এই দৃশ্য রুদ্রের মনে হঠাৎ এক অদ্ভুত প্রশ্ন জাগায়—এই মেয়েটাকে কি হারিয়ে ফেলতে পারি কোনো এক ভুল সিদ্ধান্তে?
বাকি সবাই তখনও ঘুমাচ্ছে। রুদ্র ধীরে বাইরে বেরিয়ে পড়ে। গ্রামের একজন বয়স্ক আদিবাসী লোক, নাম থান ম্রো, তাকে ডাক দেন।
— "তুমি এত সকালে উঠে পড়েছো?" – থান ম্রো কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞাসা করে।
— "হ্যাঁ, সবকিছুই দেখতে ইচ্ছে করে। এই পাড়ার ইতিহাস জানতে চাই।"
থান ম্রো তাকে নিয়ে যায় এক পুরোনো পাথরের মূর্তির সামনে। জানায়, এই পাথরকে ঘিরে এক পুরনো অভিশাপের কাহিনী আছে। কেউ যেন পাহাড়ের গভীরে অবস্থিত সেই মূর্তিকে না ছোঁয়। কোনো বহিরাগত যদি তা করে, তাদের ওপর নেমে আসতে পারে অদৃশ্য বিপদ।
রুদ্র বিস্মিত হয়। এসব কি লোককথা, না কি বাস্তব কোনো ইতিহাস?
এদিকে বাকি বন্ধুরাও জেগে ওঠে। সকালের চা পান শেষে তারা সিদ্ধান্ত নেয়, আজ আশেপাশের পাহাড় ঘুরে দেখবে এবং সন্ধ্যায় গ্রামের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে একটি ছোট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে।
বিকেলের দিকে তারা যাত্রা করে পাহাড়ি পথে। হঠাৎ রিক্তা পথের ধারে কিছু একটা খুঁজে পায়—একটি ধাতব টুকরো, যেন আধুনিক কোনো যন্ত্রাংশের অংশ! এতটা দুর্গম এলাকায় এমন জিনিস কীভাবে এলো?
স্টালিন বলে ওঠে,
— “এটা হয়তো পুরোনো সামরিক কিছু। কিন্তু গ্রামের লোকেরা তো বলেছিল, বাইরের কোনো কিছু এখানে কখনো আসেনি!”
সবাই একটু চিন্তিত হয়।
ফিরে এসে রাতে যখন সবাই নাচে-গানে মেতে ওঠে, তখন নিশি এক পাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রুদ্রের হাত ধরে বলে,
— "তুমি অনুভব করছো না? এই গ্রামের গভীরে কিছু একটা রহস্য লুকিয়ে আছে।"
রুদ্র শুধু চোখে চোখ রেখে বলে,
— "হ্যাঁ, নিশি। হয়তো আমাদের আসার পেছনে কোনো অজানা টান ছিল। আমরা শুধু পর্যটক নই, হয়তো কিছু আবিষ্কারের দায়িত্বও আমাদের উপর আছে।"
এভাবেই গাঢ় হতে থাকে রাত। পাহাড়ে গুঞ্জন ওঠে। কেউ যেন দূরে হাঁটছে... ছায়াময় কোনো উপস্থিতি… নিস্তব্ধতা ভেঙে নতুন রহস্যের কড়ানাড়া…
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
রুদ্র জানালার পাশে বসে নিশির মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। নিশি তখন আধোঘুমে, চুল এলোমেলো, মুখে প্রশান্তির ছায়া। এই দৃশ্য রুদ্রের মনে হঠাৎ এক অদ্ভুত প্রশ্ন জাগায়—এই মেয়েটাকে কি হারিয়ে ফেলতে পারি কোনো এক ভুল সিদ্ধান্তে?
বাকি সবাই তখনও ঘুমাচ্ছে। রুদ্র ধীরে বাইরে বেরিয়ে পড়ে। গ্রামের একজন বয়স্ক আদিবাসী লোক, নাম থান ম্রো, তাকে ডাক দেন।
— "তুমি এত সকালে উঠে পড়েছো?" – থান ম্রো কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞাসা করে।
— "হ্যাঁ, সবকিছুই দেখতে ইচ্ছে করে। এই পাড়ার ইতিহাস জানতে চাই।"
থান ম্রো তাকে নিয়ে যায় এক পুরোনো পাথরের মূর্তির সামনে। জানায়, এই পাথরকে ঘিরে এক পুরনো অভিশাপের কাহিনী আছে। কেউ যেন পাহাড়ের গভীরে অবস্থিত সেই মূর্তিকে না ছোঁয়। কোনো বহিরাগত যদি তা করে, তাদের ওপর নেমে আসতে পারে অদৃশ্য বিপদ।
রুদ্র বিস্মিত হয়। এসব কি লোককথা, না কি বাস্তব কোনো ইতিহাস?
এদিকে বাকি বন্ধুরাও জেগে ওঠে। সকালের চা পান শেষে তারা সিদ্ধান্ত নেয়, আজ আশেপাশের পাহাড় ঘুরে দেখবে এবং সন্ধ্যায় গ্রামের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে একটি ছোট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে।
বিকেলের দিকে তারা যাত্রা করে পাহাড়ি পথে। হঠাৎ রিক্তা পথের ধারে কিছু একটা খুঁজে পায়—একটি ধাতব টুকরো, যেন আধুনিক কোনো যন্ত্রাংশের অংশ! এতটা দুর্গম এলাকায় এমন জিনিস কীভাবে এলো?
স্টালিন বলে ওঠে,
— “এটা হয়তো পুরোনো সামরিক কিছু। কিন্তু গ্রামের লোকেরা তো বলেছিল, বাইরের কোনো কিছু এখানে কখনো আসেনি!”
সবাই একটু চিন্তিত হয়।
ফিরে এসে রাতে যখন সবাই নাচে-গানে মেতে ওঠে, তখন নিশি এক পাশে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রুদ্রের হাত ধরে বলে,
— "তুমি অনুভব করছো না? এই গ্রামের গভীরে কিছু একটা রহস্য লুকিয়ে আছে।"
রুদ্র শুধু চোখে চোখ রেখে বলে,
— "হ্যাঁ, নিশি। হয়তো আমাদের আসার পেছনে কোনো অজানা টান ছিল। আমরা শুধু পর্যটক নই, হয়তো কিছু আবিষ্কারের দায়িত্বও আমাদের উপর আছে।"
এভাবেই গাঢ় হতে থাকে রাত। পাহাড়ে গুঞ্জন ওঠে। কেউ যেন দূরে হাঁটছে... ছায়াময় কোনো উপস্থিতি… নিস্তব্ধতা ভেঙে নতুন রহস্যের কড়ানাড়া…
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।