www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ধর্ষণ ও নয় আত্মহত্যাও নয় তাহলে কি হয়েছিন তনুর সঙ্গে

ধর্ষণও নয়, আত্মহত্যাও নয়, তাহলে কি হয়েছিল তনুর সঙ্গে?


কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। গত ২০ মার্চ রাত থেকে এমনই সংবাদ প্রচার করেছে দেশের সকল গণমাধ্যম। এ ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা ক্যান্টমেন্ট এলাকায়।
দেশের অন্যতম একটি সামরিক বাহিনী সেনাবাহিনী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে দক্ষতায় এগিয়ে। দেশে-বিদেশে আমাদের সেনাবাহিনীর বেশ সুনাম রয়েছে। বিভিন্ন বিদেশী পুরস্কারও জিতেছে আমাদের সেনাবাহিনী। আর এ রকম একটি বাহিনীর এলাকায় এ ধরণের ঘটনা সত্যিই দুঃখজনক।
নিরাপদ এলাকায় এ ধরনের একটি ঘটনা হওয়ায় ফুঁসে উঠেছে সারাদেশ। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ধর্ষণের ঘটনা প্রায় প্রতিদিনিই ঘটে। পাশাপাশি আমাদের দেশেও ধর্ষণের মতো ঘটনা কম ঘটে না। তবে নিরাপদ স্থানে তনুর মতো মেয়ের লাশ পাওয়া সত্যিই দেশের সবার জন্য অশনি সংকেত। এজন্যই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তনুর হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হচ্ছে। দেশে অনেক ঘটনাই তো ঘটে। তবে নিরাপদ স্থানে তনুর লাশ পাওয়ায় উত্তাল হয়েছে দেশ।
রাষ্ট্র একটি মেয়ের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এরপর তনুর লাশ পাওয়ার পর তনুর সঙ্গে কোন এক ছেলের সম্পর্ক ছিল এমনই স্বীকারোক্তি আদায়ের জন্য তনুর পরিবারকে চাপ দেয়া হচ্ছে। আবার নগদ অর্থ ও সরকারি খাস জমিরও অফার করা হয়েছে তনুর পরিবারকে। রাষ্ট্রের এ লুকোচুরি কেন? কি গোপন করতে চায় রাষ্ট্র। এ প্রশ্ন এখন পুরো জাতির।
একটি মেয়ের অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। আর রাষ্ট্র ১৫ দিনেও তার মৃত্যুর সামান্যতম কোন কারণ জানতে পারল না। এটা কি করে সম্ভব?
তনুর দাফনের পর আবার তার লাশ কবর থেকে তোলা হল ময়নাতদন্তের জন্য। আজ তনুর লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট শোনার পর সত্যিই অবাক লাগল। কি হচ্ছে সাধারণ মানুষের সঙ্গে। আর এর শেষ কোথায়?
তনুর লাশের ময়নাতদন্তের পর আজ (সোমবার) কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. কামতা প্রসাদ সাহা জানিয়েছেন, তনুকে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। কোন রাসায়নিক ক্রিয়াও তনুর মৃত্যু হয়নি। প্রথম প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে দ্বিতীয় প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
যদি তনুকে ধর্ষণ করা না হয়। সেটা অবশ্যই ভালো খবর। আর কোন রাসায়নিক ক্রিয়াও তনুর মৃত্যু হয়নি। তাহলে আত্মহত্যাও করে নি তনু। কারণ রাসায়নিক ক্রিয়ায় মৃত্যু হয়নি এবং তনুর গলায় ফাঁসেরও কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তনুর মাথার পিছনের দিকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। যেটা তনুর লাশ পাওয়ার পর তার বারা জানিয়েছিল।
লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যদি সত্যিই হয়ে থাকে, তাহলে প্রশ্ন হল, এতোদিন আমরা যা জেনেছি তা মিথ্যা। তাহলে সেদিন কি হয়েছিল তনুর সঙ্গে জাতি সেটাই জানতে চায় সরকারের কাছে। নাকি তনুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে? এ প্রশ্ন এখন সবার।তাই সরকারের উচিত তনুর মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা জাতির সামনে উন্মোচিত করে অপরাধীদের বিচার করা।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৮৩৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১০/০৪/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast