www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কলঙ্ক

যুগের পর যুগ ধরে জ্বলছি আমি কলঙ্কের অঙ্গারে,
এত জ্বালা এত ক্ষোভ এত ঘৃণা আমি রাখি বল কোথায় কোন খানে?
আমার বক্ষ জুড়ে দানব গুলোর দাপা দাপি, অট্ট হাসি আর চিৎকার,
আমারই লাল সবুজ গায়ে মেখে বছরের পর বছর ধরে
ঘুরে বেরিয়েছে দাপটের সাথে নিরীহ মানুষগুলোকে বোকা বানিয়ে
তাদেরই রাজপৌর সেজে নির্বিকার।
অনেক যুগ আগে শ্বেত ভিনদেশীদের কাছে
দিয়ে ধর্মের দোহাই, দ্বি-জাতি করে
তুলে নিল আমায় উনুনে সেকা তাওয়ার রুটির মত করে
পবিত্র ভূমির নাম দিয়ে এক রুগ্ন জেলের কয়েদীর ঝুলিতে ।
রুগ্নতার বেড়া জালে বেঁধে,লাল রঙ্গের হোলি খেলার ছলে
ভাষা চেয়েছিল নিতে কেড়ে পবিত্রতার অজুহাতে ।
রক্ত দিয়ে কিনলো ভাষা আমার পবিত্র সন্তানেরা,
রক্ত দিতে দিতে রক্তও নিতে শিখেগেল অবশেষে ,
পবিত্রতার নামের অপবিত্র ঝুলি থেকে আমায় নিল তুলে
ঐ হিংস্র পশুদের অশুভ থাবা থেকে বীর যোদ্ধার বেশে
আকাশে বাতাসে বিজয়ের ধ্বনি হাঁকিয়ে ।
পশুগুলো গেল পালিয়ে,ছেড়ে গেল তাদের দুর্গন্ধযুক্ত বিষ্ঠা ,
বিষ্ঠা গুলো দনবের রূপ নিয়ে মেতে উঠলো এক হিংস্র উম্মাদনায়,
বেয়াল্লিশ বছর বুক ফুলিয়ে, ধর্মের মোড়কে নিজেকে লুকিয়ে
আমার শরীরকে ক্ষত বিক্ষত করে আগুনে পুড়িয়ে ছাই উড়িয়ে দিয়ে
সবাইকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে অট্টহাসি হেসেই যাচ্ছিল।
আজ এত কাল পড়ে আমারই মাটিতে এক বৃষ্ঠা দানবের
পঁচা আত্মাটাকে নরকের আস্তাকুড়ে ফেলে,
কলঙ্কের বোঝা কিছুটাও লাঘব করেছে আবারো আমার বীর সন্তানেরা।
বিষয়শ্রেণী: কবিতা
ব্লগটি ৫৩৫ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৪/০৯/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • স্বাধীনতা সংগ্রামে বঞ্চনা আর শোষণের পড়ে প্রতিবাদী সত্ত্বা নিয়ে কলুষিত অপরাধীদের প্রাপ্য শাস্তি নিশ্চিত করার অদম্য আকাঙ্ক্ষা উঠে এসেছে কবিতাটিতে। সান্ত্বনার বিচার নয়, প্রয়োজন প্রকৃত বিচার। কবিতাটি ভালো লাগলো।
  • বাংলার মানুষ মরতে জানে বাংলার মানুষ মারতেও জানে। শুধু সময়ের ব্যবধানে।
  • মল্লিকা রায় ২৪/০৯/২০১৪
    পড়লাম ভালো লাগলো কবিতা,শুভেচ্ছা রইল।
 
Quantcast