www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

পরামর্শ

প্রতিদিন সকাল ৮টায় অফিসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিতে হয় ঘর হইতে। আবাসস্থলের তিন তলা হইতে নামিয়া পায়ে হাঁটিয়া মুরাদপুর যাইতে যাইতে ঘামে ভিজিয়া একাকার হইতে হয়। হাতরুমালে সব ঘর্ম মুছিয়া কর্মস্থল আগ্রাবাদের জন্য বাসের অপেক্ষায় পাঁচ-দশ মিনিট পায়চারি করিতে করিতে বাস পাইলে মনেমনে স্রষ্টাকে ধন্যবাদ দিই এই বলিয়া যে, " ধন্যবাদ, বাঁচাইলা মোরে প্রভু লেইট বিড়ম্বনা হইতে।" করোনা-১৯ এর কারণে লকডাউনে স্বাস্থ্য বিধি-নিষেধের কঠোরতায় বাসে এখন আর গাদাগাদি করিয়া যাইতে হয়না বলিয়া অফিসিয়াল ফরমাল ড্রেস কোড ঠিকঠাক রাখিয়া যাইতে পারি। অফিসে পৌঁছিয়াও পানি সমেত হাতরুমালে মুখমন্ডল, হস্ত, গলা মুছিয়া চিরুনী দিয়া অফিসিয়াল আয়না দেখিয়া চুল পরিপাটি করিয়া অফিসে প্রবেশ করাই এখন আমার নিত্যনৈমত্তিক কাজ।

জন্মসাল আর মাস অনুযায়ী শীতকালেই আমার জন্ম। ছোট হইতে বর্তমান বয়স পর্যন্ত প্রায় পঁয়ত্রিশটি শীতকাল উপভোগ করিয়াছি। সেই সাথে প্রত্যেক ঋতুকেও উপভোগ করিয়াছি আপন চৈতন্যের ধারায়। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বসবাসের কারণে শিশুকাল আর দূরন্ত কৈশোর সময় পার করিয়াছি সেই পার্বত্য অঞ্চলে; দুরন্তপনার সুবাদে হইতো বুঝিতে পারিনাই তীব্র শৈত্যপ্রবাহ আর রূঢ় গ্রীষ্ম উষ্ণতা কাকে বলে। তবে যেই জায়গায় বাস করিতাম সেই জায়গায় বন্যা হইতো বলিয়া বুঝিতাম ক্ষুধার্ত বর্ষাকালের যৌবনের ক্ষিপ্রতা।

এখন মধ্যবয়সী যুবক আমি। চট্টগ্রাম জেলার পাঁচলাইশ থানাধীন এলাকায় আমার বসবাস। আর ডাবলমুড়িং থানাধীন আগ্রাবাদ এলাকায় চাকরি করিতেছি প্রায় সাত বছর হইতে চললো। ছয় ঋতুর মধ্যে মাত্র তিন ঋতুই এখন বাংলাদেশের মানুষ সচরাচর উপলব্ধি করিয়া থাকে। আমিও যেহেতু বাংলাদেশী বাঙ্গালী সেহেতু এই তিন ঋতুকেই প্রকৃতির প্রধান চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বলিয়া স্বীকৃতি দিয়া থাকি। তবে এই তিন ঋতুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বছরে বছরে পরিবর্তিত হইয়া রহস্যময়ী ভিন্নরূপ ধারণ করিতেছে। কেউ কেউ সেই অজানা ভিন্নরূপ কে ঈশ্বর হইতে অনিষ্কৃতিযোগ্য অভিশাপ বলিয়া নির্ধারণ করিতেছে।

নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলেই আমাদের দেশ বাংলাদেশের অবস্থান। ভৌগোলিক বিজ্ঞানের ছাত্র আমি নই, সেই সাথে মাদ্রাসার গৌণ দুর্বল মেধার ছাত্র ছিলাম। তাই হয়তো পৃথিবীর ভূভাগের উপর বাংলদেশের অবস্থান জানিতে উইকিপিডিয়ার সাহায্য নিতে হইয়াছে আমার। আমরা নাকি যেইখান দিয়া হাঁটিয়া যাইতেছি সেখানটাতেই বিশ্বের অচিন্ত্যনীয় ভৌগোলিক গুরুত্ব রহিয়াছে। আর ওই ভৌগোলিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানটিতে বাংলাদেশ অবস্থিত। গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানটির নাম হইলো কর্কটক্রান্তি (tropic of Cancer) ও ৯০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমার (Longitude) ছেদবিন্দু। এই ছেদবিন্দুটি পড়িয়াছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়। আর এইখানেই নির্মিত হইয়াছে বঙ্গবন্ধুর নামে মানমন্দির। কর্কটক্রান্তি বা কর্কটক্রান্তি রেখা (কর্কট মানে কাঁকড়া) বা উত্তর বিষুব পৃথিবীর মানচিত্রে অঙ্কিত প্রধান পাঁচটি অক্ষাংশের একটি। এটি বিষুবরেখা হইতে উত্তরে অবস্থিত এবং ২৩ ডিগ্রী ২৬ মিনিট ২২ সেকেন্ড অক্ষাংশ বরাবর কল্পিত একটি রেখা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ আপন মহিমায় এগিয়ে চলিতেছে। আপন জন্মভূমির লাগিয়া আমার নিরঙ্কুশ প্রার্থনা এই যে, আমার দেশ এগিয়ে যাক জ্ঞান-বিজ্ঞানের অভেদ্য বলয়ে।

উপরে যাহা আমি লিখিয়াছি তাহা আমার মূল সমাচার নহে। মূল সমাচার করিতে গিয়া গৌরচন্দ্রিকা রচনার অবতারণা মাত্র। আমরা পৃথিবীবাসী একই ভূভাগে খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত হইয়া পড়িয়াছি বহুকাল পূর্ব হইতে যদিওবা আমরা সকলেই নিজেদের মানুষ তথা বিবেকবোধ সম্পন্ন জীব বলিয়া পরিচয় দিয়া থাকি। বিশ্বাস, সংস্কৃতি, রুচি, অনুভূতি, ভাষা, আচার-ব্যবহার, ধর্ম, বর্ণ, শৌর্য-বীর্য, শক্তি ও বুদ্ধিমত্তা সকল কিছুর উপর ভিত্তি করিয়াই প্রাচীনযুগ হইতে আদি গুহামানবের মতো আপন আপন গুহা তথা ভূভাগ দখল করিয়া বসবাস শুরু করিতেছি আর অন্য গুহা তথা ভূভাগের কেহ আসিলে বা অনুপ্রবেশ করিতে চাহিলে আদি গুহামানবের মতো তাহাকে হত্যা করিতে কেহই আমরা এখন কুন্ঠাবোধ করিনা যদিওবা আদি গুহামানব হইতে আমরা নিজেদের ঢের সভ্য বলিয়া দাবি করিয়া থাকি।

প্রাচীনকাল হইতেই বিদ্যা-বুদ্ধিতে কেউ কেউ আমরা অধিক অগ্রসর হইয়া পড়িয়াছি। তাহার উপর ভিত্তি করিয়াই আমরা নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষার নাম করিয়া অন্যদের হইতে আলাদা হইয়া সভ্যতার সকল বৈশিষ্ট্যের সংজ্ঞায়িত করণ আর জ্ঞান-বিজ্ঞানময় আবিষ্কারের দিকে নিজেদের নিয়োজিত রাখিয়া শাসন কর্মে নিজেদের প্রভুত্ত্বের আসনে সমাসীন করিয়া অপেক্ষাকৃত দুর্বল মানব সমাজকে নিজেদের ভৃত্য/দাস বানাইয়া রাখিয়াছি।

পৃথিবী তো পৃথিবী। বিজ্ঞানের আবিষ্কার অনুযায়ী সূর্য এই পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু তথা সূর্যকে কেন্দ্র করিয়া সূর্যের চারিদিকে নিজ অক্ষের উপর এই পৃথিবী লাঠিমের মতো প্রদক্ষিণ করিতেছে। পৃথিবীকে আমরা প্রকৃতির অংশ বলিতেছি। তবে, প্রকৃতি বলিতে কী বুঝায় তাহার উত্তর খুঁজিতে গেলে দেখা মিলিবে, যাহা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটিতেছে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাহা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, পরিমার্জন হইতেছে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে যাহা অনস্তিত্ব হইতে অস্তিত্বশীল হইতেছে আবার অস্তিত্বশীল হইতে অনস্তিত্ত্বে মিলিয়ে যাইতেছে তাহাই প্রকৃতি। আর তেমনি করিয়া এই পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড ওই প্রকৃতিরই অংশ। জানার বাইরেও না জানি আরো কত বিচিত্র ধরণের প্রকৃতি রহিয়াছে তাহা বোধেরও অতীত।

বাংলাদেশের বাঙ্গালী আমি যে তিন ঋতু তথা গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীতের কথা পূর্বে উল্লেখ করিয়াছিলাম তাহাও প্রকৃতির অংশ হিসেবে আমরা পাইতেছি আর ভোগ করিতেছি। আগেরকার মানুষ তথা আমাদের পূর্বপুরুষগণ ছয় ঋতুর কথা উল্লেখ করিয়াছিলেন; কিন্তু উল্লিখিত তিন ঋতুর সহিত আরো তিন ঋতু তথা শরৎ, হেমন্ত ও বসন্ত এই তিন ঋতু এখন কোথায় উধাও হইয়া গিয়াছে কেউই জানেনা। প্রতিবছর এখন শুনিতে হয়, গ্রীষ্মের সময়- সূর্যের প্রখরতা বাড়িয়া যাইতেছে, বর্ষার সময়-আগের তুলনায় অধিকহারে বৃষ্টিপাত ঘটিতেছে আর শীতের সময়- শৈত্য প্রবাহের ক্ষিপ্রতা মানুষের সহ্য ক্ষমতার বাহিরে চলিয়া যাইতেছে। এইসবের কারণ হিসাবে বৈশ্বিক উষ্ণতাকে চিহ্নিত করা হইয়াছে যাহা আমাদের উদ্ভিদ আর প্রাণীজগৎ এর অধিকাংশ বিলীন হইয়াছে বলিয়া অনুমেয়।

উদ্ভিদ আর প্রাণিজগতের মধ্যে মানুষ প্রজাতি ছাড়া অন্য প্রাণীকে ব্যবহার শুধু মাত্র প্রাণিজগতের মানব প্রজাতিরাই করিয়া থাকে। মানব প্রজাতিই এই পৃথিবীর অন্যসব অস্তিত্বশীল প্রাণী অথবা জীব হইতে শক্তিশালী। মানুষ নিজের জীবনের জন্য সকল কিছুই আপন আপন বুদ্ধি অনুযায়ী করিয়া/গড়িয়া লইতেছে অথবা অন্যসব প্রাণী ও উদ্ভিদকে ব্যবহার করিতেছে। মানুষের এইসব অপরিমেয় আর হিতাহিত জ্ঞানশূন্য ব্যবহার হইতে যে, আস্তে আস্তে অন্য সব প্রাণী ও উদ্ভিদ বিলীন হইয়া যাইতেছে তাহা মানুষ বুঝিতে পারিলেও কিছুই করিতে পারিতেছেনা। কারণ সকলেই জানে- আপনি বাঁচিলে বাপের নাম! অথচ বিজ্ঞানও বলিয়া আসিতেছে যে, এই পৃথিবীর ভারসাম্য মানব প্রজাতি যতটুকু না রক্ষা করিতে পারিবে তার চেয়ে ঢের পারিবে অন্যসব প্রাণী আর উদ্ভিদ সকল! কিন্তু বিজ্ঞান বলিলে কী হইবে; বিজ্ঞান নিজের আবিষ্কারের মোহে পড়িয়া একের পর এক আপাতঃ অর্থহীন আবিষ্কারে বুদ্ হইয়া রহিয়াছে।

এই যে, উষ্ণতা বাড়িয়া যাইতেছে, বরফ গলিয়া সমুদ্রের পানির উচ্চতা বাড়িতেছে দিন দিন, শৈত্য প্রবাহের ক্ষিপ্রতা প্রকট হইতেছে, বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করিতেছে তাহা সবই মনুষ্যের অবাধ ব্যবহার বিচরণ, চিন্তাহীন আবিষ্কারের নেশা, নির্বিচারে খনিজ উত্তোলন, নৈতিক জ্ঞানহীন শিল্প পরিকল্পনা/স্থাপনা, নির্বিবাদে উদ্ভিদ বিলীন করা/অন্য প্রাণী শিকার বা হত্যা, নিজেদের মধ্যে অমানবিক যুদ্ধ বাস্তবায়ন সহ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক/অবৈজ্ঞানিক ক্ষতিকর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কারণেই হইতেছে। কিন্তু এইগুলো কে বন্ধ করিবে? কে শুনিবে কাহার পরামর্শ!পৃথিবী তো প্রথম, দ্বিতীয় আর তৃতীয় বিশ্ব নামে তিনভাগে বিভক্ত হইয়াছে। যেই দেশ যত বেশি উন্নত/সভ্য বলিয়া দাবি করিতেছে সেই দেশ তত বেশি পৃথিবীর ক্ষতি করিতেছে- আপাতঃ দৃষ্টিতে এটাই প্রমাণিত হইয়াছে।

পৃথিবীবাসী এখন শঙ্কায় মৃত্যুর ভয়ে দিন কাটাইতেছে। মহামারী কবিড-১৯ আসিয়াছে ২০১৯ সালের শেষের দিকে চীনের উহান প্রদেশ হইতে। কেহ বলিতেছে বাঁদুড় হইতে ওই তথাকথিত ভাইরাসে সংক্রমিত হইয়াছে মানুষ আর কাহারো কাহারো ধারণা, উহান প্রদেশেই ভাইরাস ল্যাবে চীন সরকার ওই অতিমারী ভাইরাস বানাইয়াছে! যদি বাঁদুড় হইতে মানুষ ওই ভাইরাসে সংক্রমিত হইয়া থাকে তাহা হইলে ওই বাঁদুড় কোন সুউৎস হইতে সংক্রমিত হইয়াছে তাহা চীন সরকারেরও অজানা। আবার কেহ কেহ এইটাও ধারণা করিয়া থাকে যে, কবিড-১৯ আসিবার পূর্বে পৃথিবীর পরাশক্তি রাষ্ট্রসমূহ যেইভাবে পরস্পরের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়া উঠিয়াছিল তাহাতে ৩য় বিশ্বযুদ্ধ দামামা বাজিবার আশঙ্কা দেখিয়া তথাকথিত সুবোধ বিজ্ঞানীগণ ওই অতিমারী ভাইরাসের সূত্রপাত ঘটাইয়াছেন শুধুমাত্র ৩য় বিশ্বযুদ্ধ বন্ধ করিবার তরে। আবার কাহারো মতে, কবিড-১৯ শদ্বটি বিশ্ব মেডিকেল সায়েন্সের অতি আধুনিক সম্মোহন বিদ্যার একটি শব্দ, যেই শব্দের সাধারণ তথাপি অতি ভয়ানক বৈশিষ্ট্য শ্রবণে সম্মোহিত হইয়া দূর্বল চৈতন্যের মানুষেরা সামান্য শারীরিক ব্যামোতে বাঁচিবার আশা ছাড়িয়া দিয়া হাঁপানি রোগ সম্বলিত উচ্চরক্তচাপে মারা যাইতেছে! কবিড-১৯-র উৎস যাহাই হউক পৃথিবীবাসী অজানা সংক্রমণে মারা যাইতেছে সেইটাই সত্য বৈকি।

মহামারী কবিড-১৯ আসিবার পূর্বে অগ্রজ সফল বিজ্ঞানীদের বৈজ্ঞানিক কৌশল অবলম্বন করিয়া প্রথম বিশ্বের প্রত্যেক পরাশক্তিময় রাষ্ট্রসমূহ নিজেদের অস্ত্রের ভান্ডার সুসজ্জিত করিয়া আপন পরমাণু-আণবিক রণকৌশলের শক্তিমত্তা প্রদর্শণ করিয়াছে, এখনো করিতেছে। অন্যদিকে পৃথিবীবাসী ৪জি হইতে ৫জি তে উন্নীত হইয়াছে আরো উপরি স্তরের জি-তে উন্নীত হইবে। এছাড়াও অনুসন্ধিৎসু বিজ্ঞানীগণ পৃথিবীর ভূভাগ ছাড়িয়া সৌরজগৎ তথা মহাবিশ্ব আর কাল্পনিক এলিয়ন ও তাহাদের আবিষ্কার লইয়া চিন্তিত হইয়া পড়িয়াছে। আর ওই সব বিজ্ঞানীগণের একের পর এক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা (যাহা পৃথিবীবাসীর আপাতঃ কোন কাজে আসিতেছেনা অথবা পৃথিবীবাসীর জন্য পরিপূর্ণ অর্থহীন!) পৃথিবীবাসীর স্বাস্থ্যকর অস্তিত্বের প্রতি হুমকি হইয়া দাঁড়াইয়াছে।

পৃথিবীর বিজ্ঞানীগণ আজ পর্যন্ত জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রত্যেক শাখা-প্রশাখায় শুধু পৃথিবীবাসীর জন্য যাহা আবিষ্কার করিয়াছে তাহা দিয়া পৃথিবীবাসী আরো এক/দুইশত বছর নতুন আবিষ্কার ছাড়াও চলিতে পারিবে। শুধু যাহা আবিষ্কার করিয়াছে তাহার উপযুক্ত সেবা আর বিবেকপূর্ণ ব্যবহার করিতে হইবে। যেইসব বৈজ্ঞানিক আবিস্কার আপাতত পৃথিবীবাসীর কোনো উপকারে না আসিয়া বরং পৃথিবী ও পৃথিবীবাসীর তথা প্রাণী ও উদ্ভিদজগতের স্বাস্থ্যের অপকার করিতেছে তাহা একশত বছরের জন্য বন্ধ রাখিলে, বিশ্বের সকল পরাশক্তিধর রাষ্ট্রসমূহ আপন আপন শক্তিমত্তা প্রদর্শন বন্ধ করিলে আর পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রসমূহ প্রতিযোগিতামূলক শিল্পকারখানা বন্ধ করিয়া এক রাষ্ট্র অপর রাষ্ট্রের প্রতি সহমর্মিতা স্বরূপ সহযোগিতা করিলে অতি শীঘ্রই এই পৃথিবীবাসী তথা প্রাণী ও উদ্ভিদজগতের সকলেই আবার নতুন স্বাস্থ্যকর সর্বজনীন শান্তিময় প্রাণ ফিরিয়া পাইবে বলিয়া আশা করা যাইতেছে।

চট্টগ্রাম, মে ২৮, ২০২১
© মাহতাব বাঙ্গালী
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ২৮৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৬/০৬/২০২১

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast