www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘২৪ পর্ব

’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-২৪ পর্ব

তনয় যেন কিছুই মনে করল না। আমার একটু রাগ হলো। মনে মনে বললাম, “বেয়াদব মেয়ে। ছেলে হলে এক চড় মেরে দিতাম।”
তানিয়াকে দেখে তনয় বললো, “না, না তানিয়া, কী মনে করব। তুমি তো আর ইচ্ছা করে এমন করোনি।”
আমি মেয়েদের ব্যাপারে তেমন কেতৈ’হল ছিলাম না বলে আমাকে নিয়ে খুব ঠাট্টা করত তনয়। আমার জীবনে নাকি এমনই মেয়ে জুটবে, সে নাকি আমার জীবনটাকে অতিষ্ট করে তুলবে। ওর কথা শুনে রাগ হতো না। কেন হত না, তা আমিও জানি না।
এদিকে দরজা খুলে গেছে। সামনে দাঁড়িয়ে এক ছেলে। আমি তো অবাক, স্বপ্ন দেখছি নাতো। যার কথা এতক্ষণ ভাবছিলাম..সেই আমার সামনে!
একটু উচ্চস্বরে বলে ফেললাম, “তনয় তুই?”
“আরে তারুণ্য তুই এখানে কিভাবে?”
“হ্যাঁ, আমারও তো একই কথা!”
তনয় ডান হাত এগিয়ে দিলো, আমিও দিলাম। হাতে হাত মেলালাম। তনয় বললো, “একটা চাকরি পেয়েছি।”
“তাই নাকি, খুবই আনন্দের কথা।”
“তারপর, তোর খবর কি?”
আমি বললাম, “হঠাৎ একটা ঝামেলায় পড়ে গেছি।”
মুখটা বিষন্ন করে বলল, “কী ঝামেলা?”
শ্রাবস্তী একটু আড়ালে ছিল। হয়তো আমাদের দু’জনের আলাপচারিতা শুনে কৌত’হলবশত নিজেকে প্রকাশ করল। শ্রাবস্তীকে দেখে তনয় আমার দিকে একবার আবার শ্রাবস্তীর দিকে একবার তাকাচ্ছে।
তনয় এবার শ্রাবস্তী পা থেকে শুরু করল দেখ। যেন চলচ্চিত্রের পরিচালক নায়িকা বাছাই করছে। আমি তনয়ের ভাবভঙ্গি দেখছি। বিস্ময়ে তাকিয়ে বললো, “তারুণ্য তুই একি করেছিস?”
“আমি আবার কী করলাম?”
“কী করিন..নি?”
“আচ্ছা তোর মতলবটা কী বলতো? আমাদের কি এখানে দাঁড় করিয়ে রাখবি? যদি অসুবিধা মনে করিস, তবে না হয় চলে যাচ্ছি।”
“এই তারুণ্য, তুই এতো কথা বলা শিখলি কবে থেকে?
আমি একটু রাগত স্বরে বললাম, “তবে কি মনে করিস সারা জীবনই বোকা থাকব?”
“আয় ভেতরে আয়।”
চলবে
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৬১০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৮/০৮/২০১৫

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • জহরলাল মজুমদার ০৯/০৮/২০১৫
    দাদাঃ-০১৯৬৪৫১৯৬৪৫ কল দিন
  • মিজান রহমান ০৯/০৮/২০১৫
    সুন্দর
  • ভাল লেগেছে।
 
Quantcast