www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘১৩ পর্ব

’পাবার মতো চাইলে পাওয়া যায়‘
----কিশোর কারুণিক
উপন্যাস-১৩ পর্ব
ব্যবহারের জন্য দুঃখ প্রকাশ করব? নাÑতা হয় না। এমন করলে শ্রাবস্তী বেশি মাত্রায় আরো বেশি ভাব দেখাব্ েশ্রাবস্তী। যদি তেমন সুযোগ করে দেয়, তাহলে চেষ্টা করে দেখতে পারি। মনের ভিতর কত রকম পরিকল্পনা জাগছে। আমি শ্রাবস্তীর পানে তাকিয়ে আছি। আমার দিকে থেকে বিপরীত দিকে শ্রাবস্তীর নজর। শ্রাবস্তী ট্রেনের কামরায়, আমি কাঁঠাল গাছের তলায় দাঁড়িয়ে । আমি ভাবছি ওকে নিয়ে, কিন্তু ওÑকী ভাবছে?
শ্রাবস্তী আমার দিকে তাকাবে হয়তো। হ্যাঁ তাকাবে। এখনই তাকাবে। ও আমার কথাই ভাবছে। হ্যাঁ , মনের ভেতর থেকে কে যেন বলছে, এখনই তাকাবে। ঘড়ি দেখা যাবে না। কোন দিকে তাকানো যাবে না। যা হচ্ছে হয়ে যাক। আমি প্রস্তুত, চোখে-চোখ পড়বে। আহা! কী মজাই না হবে। অভিজ্ঞতা হবে শ্রাবস্তীর চোখের ভাষা থেকে। আমি নিশ্চিত কারণ অন্যায় করছি না। আমি মুক্ত, আমি পৃথিবীর সন্তান। ইচ্ছা করছে উচ্চস্বরে কবিতা আবৃত্তি করি, গান গাই কিন্তু পারি না। শ্রাবস্তীকে শোনানো হলো না। তবে একটু নৃত্য করি। নাÑতাও তো পারি না। শীস দিতেও পারি না। দরকার হয়নি। তাই শিখিনি। কেন যেন মনে হচ্ছে সব কিছু শেখা দরকার ছিল।
অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছি । শ্রাবস্তী ওর মনের ব্যাকুলতা এখনই প্রকাশ করবে। অবাক হচ্ছি আমি নিজের কথা ভেবে । না এমন তো ছিলাম না আমি।আমার পরিচিত কোন নারী বলতে পারবে না, তার সাথে আমি কখনো খারাপ ব্যবহার করেছি।ু শ্রাবস্তীর সাথে কী যেন হতে যাচ্ছে! না এত কিছু ভাবা যাবে না। মানুষ সব সময় এক রকম থাকে? আমার না হয় একটু পরিবর্তন হলো। হ্যাঁ তাকিয়ে আছি, শ্রাবস্তীর ডান হাত নড়ে উঠল, চুল গুলোকে শাসন করল। একটু নড়ে- চড়ে বসল এবার শ্রাবস্তী। আবেগময় চাহনিতে তাকাল। আবার মুখ ঘুরিয়ে নিল। মুহুর্তে ভূমিকম্প হয়ে গেল বুকের ভিতর। বুঝলাম, শ্রাবস্তীর সাথে এরকম খারাপ করা ব্যবহার ঠিক হয়নি।
শ্রাবস্তী মনকে এখন কিছুটা বুঝতে পারছি আমি। শ্রাবস্তীর সম্মন্ধে যা ধারণা করেছি ,তা সব সঠিক না। চোখের চাহনিতে নিজেকে দুর্বল বলে প্রকাশ করল শ্রাবস্তী। আসলেই কি ও মনে মনে দুঃখ প্রকাশ করছে। না আমি এখানে দা*ড়িয়ে আছি বলে উল্টো আমাকেই অন্য রকম ভাবছে। তাইতো! এখানে দাঁড়ানো ঠিক হচ্ছে না। তাছাড়া শ্রাবস্তীর সাথে আমার এমন কিই বা সম্পর্কে যে শ্রাবস্তীকে নিয়ে এতো ভাবতে হবে। লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতে হবে। না, অন্যায় তো আমি করছি। শ্রাবস্তীর চোখের সামনের থেকে একটু দূরে সরে দাঁড়ালাম। মন থেকে আড়াল করতে পারব না হয়তো। শ্রাবস্তীকে এখন দেখা যাচ্ছে না। আমাকেও শ্রাবস্তী দেখতে পাচ্ছে না। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকি এই গাছতলায়। গাছটা ছোট। আদরের সহানুভূতির ছাযা বেশি জায়গা দখল করতে পারেনি। সূর্যের আলো শরীরের কিছু কিছু অংশে পরশ বুৃলিযে দিচ্ছে।
বাড়িতে ফিরছি কয়েক মাস পর। এবার হয়তো বিয়ে হযেই যাবে। মনের আশা আর পূরণ হলো না। মনের গভীর স্বপ্ন মনের মাঝেই থেকে গেল। আমাকে নিয়ে মা---
নিয়মিত চলবে
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৫৫৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৪/০৭/২০১৫

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • T s J ২৮/০৭/২০১৫
    ভালো লাগল,পিছনের পর্ব গুলা আমার পড়া হয়নি,সময় করে একবার পড়ে নেব,শুভেচ্ছা নিবেন কবি।
  • Saurav Goswami ২৫/০৭/২০১৫
    ভাল লাগ্ ল
 
Quantcast