www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বুক রিভিউ - হুমায়ূন আহমেদের বৃষ্টি বিলাস

বুক রিভিউ : হুমায়ূন আহমেদের বৃষ্টি বিলাস

রিভিউ লেখায় - কামরুজ্জামান সাদ



বৃষ্টি বিলাস উপন্যাসটিতে বলা হয়েছে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের কাহিনি। যেখানে পরিবারের কর্তা একজন ব্যাংক ক্যাশিয়ার । ব্যাংক ক্যাশিয়ার আবদুর রহমানের পরিবারের কাহিনী নিয়েই এই উপন্যাস। গুরু গম্ভীর এই লোকটি হটাৎ করেই ছেলে মেয়েদের নিয়ে আনন্দে মেতে ওঠার চেষ্টা করে, কারন সে তার বড় মেয়ে শামার জন্য একজন পাত্র ঠিক করেছেন। আবদুর রহমান সাহেব মেয়েকে বিয়ে দেবেন এইটা ভাবতেই তার ভাল লাগছে,যে ছেলেটার সাথে তার বড় মেয়ে শামাকে বিয়ে দিতে মনস্থির করেছেন তার নাম আতাউর,সে আবদুর রহমান সাহেবের অফিসেই চাকুরী করে।এদিকে তার এই আচরণ ছেলে মন্টু কিংবা ছোট মেয়ে এশা কেউ সাধারন ভাবে নিতে পারছে না। শামা তো নয়ই। যে ছেলেটি আজ শামাকে দেখতে আসবে ,তার নাম আমরা জেনেছি আতাউর।সে আবদুর রহমান সাহেবের অফিসেই চাকুরী করে। ছেলে পক্ষ শামাকে দেখতে এসে এক হাজার এক টাকা ও একটি আংটি দিয়ে যায় এবং বিয়ের পাকা কথা বলে যায় । এখান থেকেই “বৃষ্টি বিলাস” উপন্যাসের শুরু।আবদুর রহমান সাহেব যে বাসাটিতে ভাড়া থাকেন,সেই বাসার মালিক মুত্তালিব সাহেবের বয়স পঞ্চান্ন বছর।অল্পতে বুড়ো হয়ে যাচ্ছেন এই লোকটি। হাঁটুতে ব্যথা হবার কারনে ইদানিং হাঁটু বাঁকাতে পারছেন না,অনেক মালিশ করেও ফল হয়নি।যুবক বয়সে অনেককিছু করলেও খুব বেশি লাভ তিনি করতে পারেননি। তার থাকার মধ্য আছে এই দোতালা বাড়ি, একটা টয়োটা কার, ব্যাংকে কিছু ফিক্সড ডিপোজিট।উপন্যাসের শেষাংশে দেখতে পারব মুত্তালিব সাহেব তার সম্পত্তির অনেকটা অংশ শামা নামক মেয়েটার জন্য উইল করে যান।“বৃষ্টি বিলাস” উপন্যাসটি ভালবাসার কত রকম ফের এই বইটিতে।যেহেতু শামার কাউকে আগে থেকে পছন্দ নয় তাই সে আতাউরকে নিয়েই দেখতে থাকে তার স্বপ্নগুলো।এর মাঝে বিশাল বড়লোক বান্ধবির বিয়েতে যায় শামা।সেখানে অনেক ঘটনার পর আশফাকুর রহমানের সাথে তার পরিচয় হয়।যাকে শামার বান্ধবিরা ডাকে হুক্কা বলে।শামা যখন বিয়ে বাড়িতে তখন তার বাবা রাতে অসুস্থ হয়ে পরেন।শামা মুত্তালিব চাচার টেলিফোন পেয়েই বাসাতে ফেরে।শামার বাবার অসুস্থতার কারণ আছে।তিনি জানতে পেরেছেন যে শামার হবু বর আতাউর একজন পাগল। বছরের কোন এক সময় সে প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পরে এবং তাকে ঘরে তালা বন্দী করে রাখতে হয়।বিয়ে ঠিক করাটা যে ভুল ছিল সেটা তিনি পরে বুঝতে পারেন।আবদুর রহমান সাহেব আতাউরের বোনের বাসাতে গিয়ে এই বিয়েটা ভেঙে দিয়ে এসেছেন। তার এত সুন্দর একটা মেয়েকে একটা পাগলে হাতে তুলে দেবেন!ভাবতেই গাঁ রি রি করতে থাকে।শোনার পর থেকেই তার খারাপ লাগতেছে।সে মনে মনে ঠিক করে রেখে ছিল তাদের মেয়ের নাম রাখবে আশা।আতাউর আর শামার নামের প্রথম দুই অক্ষর দিয়ে। কত কি ভেবে রেখেছিল শামা। অন্য দিকে আশফাকুর সাহেবের সাথে শামার কিভাবে বিয়ে দেয়া যায় সেটা নিয়ে ভাবছে শামার বান্ধবী তৃণা।তৃণা এর আগেও তার কয়েকজন বান্ধবির বিয়েতে কলকাঠি নেড়েছে।শামার সাথে আশফাকুরের রেস্টুরেন্টে দেখা করার সুযোগ তৈরি করেছে তৃণা।শামার মনে আতাউরের জন্য একটা স্থান তৈরি হয়েছে।কোন দিকে যাবে শামা ?আশফাকুর নাকি আতাউর ?জানতে হলে উপন্যাসটি পড়তে হবে।একদিকে বিত্তশালী আশফাকুর অন্যদিকে পাগল আতাউর।উপন্যাসটির পরতে পরতে রয়েছে ভালবাসার ছোঁয়া। কখনো পাওয়া কিংবা কখনো না পাওয়া আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এই বৃষ্টি বিলাস উপন্যাসটি এগিয়ে চলেছে।উপন্যাসটির রেটিং আমার বিবেচনায় ৮.৫/১০।ধ্রুব এষের প্রচ্ছদ রেটিং ৩.৫/৫।
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ১০৬৬ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৩/০৫/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast