www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

আট কুঠুরি নয় দরজা - সমরেশ মজুমদার (বুক রিভিউ)

সমরেশ মজুমদার একজন নন্দিত কথাসাহিত্যেকের নাম।বাঙলা ভাষা ও সাহিত্যের এক বিস্ময়কর প্রতিভা।তাঁর লেখা নিঃসন্দেহে পাঠকমনকে আন্দোলিত করে।তাঁর এই গুণটিকে শিল্পমণ্ডিত করে বাস্তবস্পর্শী যতগুলো উপন্যাস রচনা করছেন সেগুলোর মধ্যে "আট কুঠুরি নয় দরজা " অন্যতম।সার্বিকভাবে এই উপন্যাসটি একটি জাগরণে আকাঙ্ক্ষাকেই উদ্বোধন করে।এই আকাঙ্ক্ষা কোন স্বপ্ন নয়,তা ছিলো বাস্তবধর্মী অভিযান।

"আট কুঠুরি নয় দরজা" উপন্যাসটি যেভাবে শুরু হয়েছে তাতে পাঠকের বিভ্রম হতে পারত তবে লেখক সেই সুযোগটি দিতে চাননি।পৃথা ও স্বজনের হঠাৎ ভ্রমণের রহস্যটা দানা বাঁধতে শুরু করতেই বিপ্লবীদের সাথে পাঠকদের পরিচয়টাও হতে থাকে।বিপ্লবী আকাশলাল ও তার সহযোগীদের কথাই প্রকাশ পেয়েছে পুরো উপন্যাসটিতে।মাঝে বিজ্ঞানের মহিমাটুকু আলাদাভাবে নজর কাড়ে।নির্যাতিত,শোষিত,বঞ্চিত সাধারণ জনগণের প্রতিনিধি আকাশলাল বিজ্ঞানটাকে নিজের উপর যেভাবে প্রয়োগ করেছে সেটা প্রশংসার দাবী রাখে।বুড়ো ডাক্তারের ঐকান্তিক চেষ্টায় নব আবিষ্কারের মাধ্যমে যে ট্যাবলেট বানানো হয় সেটা আকাশলালের হৃদক্রিয়া বন্ধ করলেও মস্তিষ্ককে সচল রাখে।যার মাধ্যমে আকাশলালের মৃত্যু ঘটলেও সে পায় নবজীবন।রাষ্ট্রপক্ষ এবং বিপ্লবীদের নানান কর্মকান্ডের মাধ্যমে এগিয়ে চলে উপন্যাসটি।বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক প্লাস্টিক সার্জারি করার ফলে আকাশলালের মুখমন্ডল পরিবর্তন সম্ভব হয়।নবজীবনে আকাশলালের নাম নয় গগণলাল।অপরদিকে প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন রহস্যময়ী ম্যাডাম।ম্যাডাম চরিত্রটা একটা ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে।উপন্যাসের শেষাংশে ম্যাডামের ক্ষমতাবলে আকাশলাল ক্ষমতায় আসীন হলেও সেটা কাপুরুষতা ভেবে আত্মহননের পথ বেছে নেয় গগণলাল রূপী আকাশলাল।নাটকীয় সমাপ্তির কারণে উপন্যাসটি পাঠক মনে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়।সমরেশ মজুমদারের "আট কুঠুরি নয় দরজা" উপন্যাসটিকে একটি স্বার্থক উপন্যাস বলা যায়।অন্ততপক্ষে এটা বলা যায়,উপন্যাসটি পাঠককে হতাশ করবে না।


কামরুজ্জামান সাদ
তারিখ: ২৯/১২/২০১৭
বিষয়শ্রেণী: অন্যান্য
ব্লগটি ১৪৬৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৮/১২/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast