নানীর ভালোবাসা সৃতির আকাশে এক চিরন্তন আলো।
মানুষের জীবনে কিছু সম্পর্ক থাকে। যা অন্য সব কিছুর ঊর্ধ্বে। সেগুলো কোনো স্বার্থ, শর্ত বা প্রতিদানের বন্ধনে বাঁধা নয়। শুধুই নিখাঁদ ভালোবাসা আর মমতায় ভরা। আমার জীবনে তেমনই একটি সম্পর্ক ছিল আমার নানীর সঙ্গে। তিনি ছিলেন আমার শৈশবের নিরাপদ আশ্রয়। জীবনের প্রতিটি ছোট ছোট মুহূর্তে ছায়ার মতো সঙ্গী। আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসার অবিনশ্বর প্রতীক।
নানীর ভালোবাসা প্রকাশ পেতো সবচেয়ে সাধারণ। অথচ গভীর কিছু কাজে। বাড়িতে ভালো কিছু রান্না হলে তিনি নিজে আগে আমার জন্য রেখে দিতেন সবসময় ডাক দিতেন। আর বার বার বলতেন ওকে খরব দে। তার হাতের গরম ভাতের গন্ধে মিশে থাকতো এক অদ্ভুত মমতা। যা আমাকে অন্য কোথাও কখনো খুঁজে পাওয়া যেত না। শিশুকালে আমি হয়তো এসবের গভীরতা বুঝতাম না। কিন্তু আজ বুঝি ওগুলো ছিল ভালোবাসার সবচেয়ে খাঁটি ভাষা।
তার স্নেহ ছিল নীরব অথচ প্রবল। আমি ভুল করলেও বকা দিতেন না, বরং চোখে-মুখে এমন এক দৃষ্টি দিতেন, যা আমাকে অপরাধবোধে ভরে দিতো। ছোটবেলায় আমার খুঁতখুঁতে স্বভাব, খেলার সময় খাবারের প্রতি অনীহা সবই তিনি হাসিমুখে সহ্য করতেন। যেন তার ধৈর্যের কোনো শেষ ছিল না।
কিন্তু একদিন সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে রোগ -শোকে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। জীবনের অন্তিম পর্যায় চলে এসে। সেই নানীও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। খবরটা শোনার পর আমি যেন শূন্যে ঝুলে গেলাম। আমি তার জানাজায় ছিলাম। কবর পর্যন্ত গিয়েছি। নিজের হাতে মাটি দিয়েছি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এক ফোঁটা জলও চোখ থেকে বের হয়নি। তখন মনে হয়েছিল, আমি বুঝি পাষাণ হয়ে গেছি।
কিন্তু সময়ের সাথে বুঝতে পারলাম এটা পাষাণ হওয়া নয়। ভালোবাসা সবসময় অশ্রু হয়ে ঝরে না। কখনো কখনো তা হৃদয়ের গভীরে জমে যায় এক নিঃশব্দ ব্যথায়। যা ভাষাহীন, যা প্রকাশের বাইরে। আমার অশ্রুহীনতা আসলে ছিল ভালোবাসারই এক অন্য রূপ যা এত গভীরে ছিল যে চোখের জল হয়ে বেরোনোর পথ খুঁজে পায়নি।
আজও মনে হয়, নানী যেন রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে আছেন। মুখে সেই চেনা হাসি নিয়ে বলছেন খেয়ে নে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? কিন্তু বাস্তব জানিয়ে দেয় সেই হাসি এখন আকাশের ওপারে। আমি বিশ্বাস করি আল্লাহর প্রতি। সে আমার নানীকে খারাপ জায়গায় রাখবে না। আল্লাহ তায়ালা তার অপরাধ গুলো ক্ষমা করে দিবেন।
নানী, তুমি আমার জীবনের সেই আলো, যা কখনো নিভে যাবে না। তুমি নেই, কিন্তু তোমার ভালোবাসা এখনো আছে আমার প্রতিটি শ্বাসে, প্রতিটি স্মৃতিতে, প্রতিটি নীরব রাতে। আমি জানি, এই ভালোবাসা আমার জীবনভর পথ দেখাবে। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা করে দিক- আমিন। আর সবাই আমার নানীর জন্য দোয়া করবেন।
নানীর ভালোবাসা প্রকাশ পেতো সবচেয়ে সাধারণ। অথচ গভীর কিছু কাজে। বাড়িতে ভালো কিছু রান্না হলে তিনি নিজে আগে আমার জন্য রেখে দিতেন সবসময় ডাক দিতেন। আর বার বার বলতেন ওকে খরব দে। তার হাতের গরম ভাতের গন্ধে মিশে থাকতো এক অদ্ভুত মমতা। যা আমাকে অন্য কোথাও কখনো খুঁজে পাওয়া যেত না। শিশুকালে আমি হয়তো এসবের গভীরতা বুঝতাম না। কিন্তু আজ বুঝি ওগুলো ছিল ভালোবাসার সবচেয়ে খাঁটি ভাষা।
তার স্নেহ ছিল নীরব অথচ প্রবল। আমি ভুল করলেও বকা দিতেন না, বরং চোখে-মুখে এমন এক দৃষ্টি দিতেন, যা আমাকে অপরাধবোধে ভরে দিতো। ছোটবেলায় আমার খুঁতখুঁতে স্বভাব, খেলার সময় খাবারের প্রতি অনীহা সবই তিনি হাসিমুখে সহ্য করতেন। যেন তার ধৈর্যের কোনো শেষ ছিল না।
কিন্তু একদিন সময়ের ব্যবধানে ধীরে ধীরে রোগ -শোকে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন। জীবনের অন্তিম পর্যায় চলে এসে। সেই নানীও চলে গেলেন না ফেরার দেশে। খবরটা শোনার পর আমি যেন শূন্যে ঝুলে গেলাম। আমি তার জানাজায় ছিলাম। কবর পর্যন্ত গিয়েছি। নিজের হাতে মাটি দিয়েছি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এক ফোঁটা জলও চোখ থেকে বের হয়নি। তখন মনে হয়েছিল, আমি বুঝি পাষাণ হয়ে গেছি।
কিন্তু সময়ের সাথে বুঝতে পারলাম এটা পাষাণ হওয়া নয়। ভালোবাসা সবসময় অশ্রু হয়ে ঝরে না। কখনো কখনো তা হৃদয়ের গভীরে জমে যায় এক নিঃশব্দ ব্যথায়। যা ভাষাহীন, যা প্রকাশের বাইরে। আমার অশ্রুহীনতা আসলে ছিল ভালোবাসারই এক অন্য রূপ যা এত গভীরে ছিল যে চোখের জল হয়ে বেরোনোর পথ খুঁজে পায়নি।
আজও মনে হয়, নানী যেন রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে আছেন। মুখে সেই চেনা হাসি নিয়ে বলছেন খেয়ে নে দাঁড়িয়ে আছিস কেন? কিন্তু বাস্তব জানিয়ে দেয় সেই হাসি এখন আকাশের ওপারে। আমি বিশ্বাস করি আল্লাহর প্রতি। সে আমার নানীকে খারাপ জায়গায় রাখবে না। আল্লাহ তায়ালা তার অপরাধ গুলো ক্ষমা করে দিবেন।
নানী, তুমি আমার জীবনের সেই আলো, যা কখনো নিভে যাবে না। তুমি নেই, কিন্তু তোমার ভালোবাসা এখনো আছে আমার প্রতিটি শ্বাসে, প্রতিটি স্মৃতিতে, প্রতিটি নীরব রাতে। আমি জানি, এই ভালোবাসা আমার জীবনভর পথ দেখাবে। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা করে দিক- আমিন। আর সবাই আমার নানীর জন্য দোয়া করবেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এস এম শাহনূর ১৩/০৮/২০২৫চমৎকার