www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

এক সবিতা বউদির গল্প

- জয়
মেয়েটা বড় হল এবার বিয়ে দিতে হয় । কোন ভালো পাত্র আছে নাকি ? ও দাদা কি করছেন ? এখন তো সবই অনলাইনে করা যায় । একটা প্রোফাইল করুন দেখবেন পাত্রের ছড়াছড়ি । তাই নাকি ? বেশ ।

নাম ; সবিতা , বয়স ; ২৫, বাঙালি , কুলিন কায়স্থ , । আমার মেয়ে প্রকৃত সুন্দরী , জন্ম কলকাতাতে , সময় সকাল ৮ টা , দেব গন , মার্কেটিং প্রফেশেনাল । হায়দ্রাবাদে কর্মরত । ওর বন্ধুরা ওকে বলে চার্মিং , সফট স্পকেন , রান্নায় পারদর্শী । বছরে আয় ৫ লাখ । আমরা খুজছি ডাউন টু আর্থ মনের একটা পাত্র যে আমার মেয়েকে সবথেকে বেশি ভালবাসবে ।

পার্টনার প্রেফারেন্স ; বয়স ২৬ থেকে ৩০ । উচ্চতা ৫'৭ থেকে ৬' । অবিবাহিত । দেশ ; আমেরিকা , ইংল্যান্ড , অস্ত্রেলিয়া , কানাডা, সুইজারল্যান্ড , স্পেন , ইতালি , নিউজিল্যান্ড , ব্রাজিল , সুইডেন , ভারত । প্রবাসী বাঙালি হলে ভালো । শিক্ষা ; ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার , প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী। ইনকাম ; GBP 40000, AUD 80000, USD 80000 RS 16 L । শরীর ; স্লিম , আভারেজ । বর্ণ ; সাদাল , ফরসা । জাতি ; কুলিন ব্রাম্ভন, কুলিন কায়স্ত, সদগোপ ।

বিজ্ঞাপন টা চমৎকার তাই না ? সারা জীবন অনেক সাদামাটা আর মোটাসোটা প্রেম , ঝারি , স্কিম , ঘিঘিবাজি করার পর এরকম একটা বিজ্ঞাপন দেখে বিয়ে করলে বেশ হয় । কিন্তু একটা প্রশ্ন রয়ে গেল ,বাবা মায়েরা কি খোঁজেন বুঝিনা । কিন্তু একটা মনের সাথে সারাজীবন সমঝোতা করে থাকতে হবে সেই ব্যাপারটা এখানে নেই কেন ? ডিগ্রি সবারই আছে কিন্তু শিক্ষিত কিনা সেটা কি করে বোঝা যায় ? প্রসিদ্ধি বা টাকা থকালেই সুখ আসবে কি গ্যারান্টি ? আসল কথা ভালবাসবে বা ভালবাসার যোগ্য কিনা সেটা ? জানিনা এর সমাধান কোথায় কিন্তু পরিবর্তনের ঝড় এলে ৩৪ বছর পরিবর্তন হয় সেখানে মনের যুক্তির পরিবর্তন কে সমর্থন যারা করে না বাস্তব বুদ্ধিতে তারা এইজন্য বিয়ে শুধু সামাজিক কারন, সম্ভোগ শরীরের অজুহাত আর মনের মিলন এখনও সন্ধানে । যারা পেয়ে যায় তারা সত্যি ভাগ্যবান । এই পর্যন্ত বলে সবিতা বউদি ফোনটা ছেড়ে দিল ।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ১৮৬৪ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৩/০৬/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • মোনালিসা ২০/০৬/২০১৬
    সুন্দর প্রবন্ধ
  • অগ্নিপক্ষ ০৪/০৬/২০১৬
    কোন বে-আক্কেলে বাপ-মা তার মেয়েটিকে গরীব-গুর্বোর ঘরে বে' দেবে?! মেয়েরা নিজেরাও এই সারসত‌্যিটি হাড়েহাড়ে বুঝে গেছে যে ভালোবাসা ধুয়ে জল খাওয়া যায় না। মানি ইজ দি পেট্রল অব লাইফ। অনেক অনেক টাকা দিয়ে অ-সুখ সারে, বাচ্চাকে উচ্চশিক্ষা দেওয়া যায়, বুড়ো বয়সে ভালো করে থাকা যায়। অভাব যখন দরজা দিয়ে ঢোকে ভালোবাসা তখন জানলা দিয়ে দৌড়ে পালায়।
    • জয় ০৬/০৬/২০১৬
      হক কথা । এটা এই প্রজন্মের বাস্তব । কিন্তু আমার বক্তব্য ছিল মুল্যায়ন করার পদ্ধতি নিয়ে । ফিল্টার করার প্রসেস নিয়ে । যেটা আদি বাস্তব থেকে চলে আসছে । ভালবাসা টা কোন ব্যাপার নয় , ওটা মানুষ ঠিক কম বেশি পেয়ে যায় । কিন্তু মানুষ হয়ে মানসিক শান্তি খুজব না এটা অর্থহীন । ডিগ্রিধারী অধিকাংশ প্রকৃত শিক্ষা অনুসরন করে না , এটা ভাবার বিষয় । ধর্ম, রাজনীতি নিয়ে বড় বড় কথা বলব অথচ সমাজের জন্য বা ধর্মের সন্সকারের জন্য কিছু করব না এটা জীবনের গরিমা হতে পারে না আমি যতই উপার্জন করি । একটা দালালবৃত্তি লোকের অনেক অর্থ থাকতে পারে কিন্তু একজন সাধারন স্কুল শিক্ষকের সন্মানটা বেশি সেটা অমান্য করা যায় কি ?
  • প্রদীপ চৌধুরী. ০৩/০৬/২০১৬
    ভাল লাগল
  • ফাহিম খান ০৩/০৬/২০১৬
    চমৎকার প্রবন্ধ
 
Quantcast