www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

রাগিণী

বেরচ্ছি ; নাস্তাটা তো করে যাও হাতে একপিস রুটি নিয়ে তাড়াহুড়া করে বেরুলাম ফের ডেকে টাই টা তো বেধে নাও
-হুঁ তাড়াতাড়ি বেধে দাও
ওকে, ভালো ভাবে যাও
-কাপালে চুমু দিয়ে বেরিয়ে পরলাম
একদম সিগারেট মুখে নিবা না মনে থাকে জেনো।ওকে বলেই বেড়িয়ে পারলাম অফিসের উদ্দেশে।
অফিসকক্ষে পা রাখতে ফোন -পৌঁছেছ -হ্যাঁ ভালো ভাবেই আসছি -ওকে রাখছি।

বিয়েটা হয়েছিল প্রায় এক বছর আগে। অবনী ও তমাল।বিয়েটা প্রেম করে পারিবারিক মতেই হয়েছিলো।দুই পরিবারই মহা ধুমধাড়াক্কাই দিয়েছিল ওদের বিয়েটা।এখন দুজনেই শহরে থাকে।তমাল ভালো একটা পোষ্টে চাকরি করে আর অবনী বাসায় টুকিটাকি কাজ করে সময় কাটায়।বারান্দা আর পোষা পাখী নিয়েই সময় কাটায়।
অবনী ভীষণ রাগী ও জেদি টাইপের মেয়ে।তবে অহেতুক রাগে না।তা অবশ্য তমাল খুব ভালো করেই জানে।
কেউ জানু আর না জানুক, বুঝুক আর না বুঝুক তমাল অবনীর মনের কথা খুব ভালো করেই জানতো ও বুঝত।আজ তমালে বাসায় ফিরতে একটু দেড়ি হচ্ছে।তমাল বুঝতে পারছে অবনী ভীষণ রেগে আছে।গাড়ীতে বসে বসে ভাবছে এখন পাখীর সাথে কথা বলছে।রাগ হলেই অবনী পাখীর সাথে কথা বলে।পাখীটা ভুলভাল উত্তর দিয়ে অবনীর মন আরো এলোমেলো করে দেয়।পাখীটা যেন আমার বিপক্ষে।
অবনী যদি বলে -বল তো “ও কি কিছু ফুঁকছে?”
পাখীটা উত্তর দেয় হ্যাঁ হ্যাঁ। অমন ভাবেই উত্তর দিয়ে তার মনিবের মন রক্ষা করে।অথচ পাখীটা কি না তমাল নিজেই ভালোবেসে কিনেছিল।
ভাবতে ভাবতে বাসার সামনেই এসে পরেছে।সামনের দোকান থেকে ইচ্ছে করেই সিগারেট কিনি ২টান দিয়ে ফেলে দিলো।

ফ্লাটটা বেশ উন্নত-ই কিন্তু লিফট নেই।তাই দৌড়েই সিঁড়ির ধাপগুলো পেরিয়ে তিন তলায় ফ্লাটের সামনে চলে যায়।কলিং বেল চাপতে দরজা খুলে দেয় অবনী।যেন সে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল।কিছু না বলে বেডরুমে চলে গেলো অবনী।
তমাল বুঝতে পারলো কিছু একটা গণ্ডগোল আছে।কিছুক্ষন দাঁড়িয়েছিলো ভাবছিলো ডাক দিবে কিন্তু দিলো না।তমাল গুটি গুটি পায়ে বেডরুমের দিকে এগিয়ে গেলো।ভীষণ ভয় আর টেনশন হচ্ছে।বুক ধড়পড় করছে।গিয়ে দেখে অবনী খাটের উপর বসা।ভীষণ রাগে ফুলছিলো।
হটাৎ চিৎকার করে বলতে শুরু করলো তুই এতক্ষন কই ছিলি? কি করছিলি।তোকে না নিষেধ করা হইছিলো সিগারেট ফুঁকবি না।তুই একক্ষনি বেরিয়ে যা।বালিশ ছুড়ে মের বাহির করে দিলো।
ও সাধারণত তুই এবং চিৎকার করে কথা বলে না।শুধু রাগলেই বলে।
ছাদে চলে গেলো তমাল।পরিষ্কার করে প্রিপারেশন নিচ্ছে রাত কাটানোর।মিনিট বিশেক পরে ছাদে চলে আসে অবনী।প্লিজ আমায় ক্ষমা করে দাও আর রাগবো না আমার কি দোষ।তোমাকে নিষেধ করা কাজ বেশি করে করো।কাঁদতে কাঁদতে মুখ লুকায় তমালের বুকে।মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে আর রাগবে না।আর তমাল মনে ভাবে; মাঝেমাঝে সিগারেট ফুঁকলে মন্দ হয় না।এতে সম্পর্ক আরো মধুর হয়।ভালোবাসায় আরো মিষ্টত্ব বাড়বে…………..
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৬৮১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২১/০৯/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • ফয়জুল মহী ২৩/০৯/২০১৭
    মঙ্গলময় হোক জীবন আপনার
  • সমির প্রামাণিক ২২/০৯/২০১৭
    রাগিনী বলল,"আমি রাগি নি"।
    বাহ! বেশ সুন্দর।
  • এম এম মেহেরুল ২২/০৯/২০১৭
    ভালো
  • আজাদ আলী ২২/০৯/২০১৭
    No smoking. Smoking is injurious to health. Thanks
  • সুন্দর
 
Quantcast