www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

এন্টিবায়োটিক

অনেক শিশু জন্মের আগেই এন্টিবায়োটিক পেয়ে যায়। গর্ভবতী মায়েদের প্রায়ই নিয়মিত এটি দেয়া হয়। মাতৃগর্ভে অমরা ভেদ করে এটি ভ্রুণে চলে যায়। যে মায়ের শিশু সিজিরিয়ানের মাধ্যমে জন্মে, তারা নিয়মিতভাবে এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করে। এগুলো শিশুর শরীরের উপকারী জীবাণুর জন্য মোটেই আরামদায়ক নয়। এ শিশুর এমনিতেই শ্বাসকষ্ট ও টাইপ ২ ডায়বেটিসের অনেক বেশী ঝুকি রয়েছে এবং জীবনের শুরুতে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার এসব ঝুকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

জীবনের প্রথম ২/৩ বছর অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ কারণ শুধুমাত্র বৃদ্ধির জন্য নয় বরং এটি শিশুর দেহের মধ্যে হড়ে ওঠা উপকারী জীবাণুর পরিবেশের জন্যও। এসময় বারবার এসব এন্টিবায়োটিক গ্রহণে টাইপ ২ ডায়বেটিস ও মোটা হওয়ার প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়।

এজন্য অনেক বিশেষজ্ঞ উপদেশ দেন যে এসময় কোন শিশুর এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন পড়তে পারে কিন্তু সাথে সাথে উপকারী ভ্যাকটেরিয়া গ্রহণের জন্য সম্ভব সকল খাবার যেমনঃ দই, kefir অবশ্যই দিতে হবে। বড়দের জন্য ও এটি উপকারী।

আমাদের দেশে সঠিক মেডিকেল নেগলিজেন্স কম্পেনসেশনের ব্যবস্থা না থাকায়, অভিভাবকদের অজ্ঞতা ও চাপের কারণে ডাক্তাররা সামান্য সমস্যায় এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করেন। জাতি হিসেবে এটি আমাদের দিরুণ দুর্ভ্যাগ্য।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৪১২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১১/০৬/২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast