www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

প্রবাসী ১

মাস্টার্স প্রথম শ্রেণীতে পাশের পর, বাংলাদেশে একটি ভালো বেসরকারী কলেজের প্রভাষক ছিলাম। বিসিএস ২৮ এর লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, ২৯ তম প্রিলিমিনারীতে উত্তির্ণ হই। আশা ছিল দেশের জন্য ভালো কিছু করব। কিন্তু রাজনৈতিক কিছু কারণে আমার বাড়ীতে থাকাই সম্ভব হচ্ছিলনা। তাই ছাত্র ভিসায় ইউ কে তে আসতে বাধ্য হলাম ২০০৯ সালে। আমার এদেশে আসার সময় ইমিগ্রেশন সবকিছু জিজ্ঞেস করল সবকিছু, তার পর বলল, যে কলেজে এসেছেন, এটি একটি ভূয়া কলেজ। এটি পরিবর্তন করে ফেলবেন। আমার মাথা ঘুরতে লাগল। প্রায় চার লক্ষ টাকা দিয়েছি কান্তু এ কলেজে পড়া ঠিক হবেনা আর টাকাও পাওয়া যাবেনা।
পরে যাই হোক, কলেজে গেলাম, তারা আমাকে পোষ্ট গ্রেজুয়েশন কর্সোর জন্য আনলেও ইংলিশ ইসল ক্লাসে দিল। ইংরেজি শেখায় একজন পোলিশ মেয়ে, যে নিজেও ইংলিশ ভালোভাবে জানেনা। আমি ক্লাসের এক কোনে বসে থাকি। আমি আই ই এল টি এস করে এসেছি। একদিন ক্লাসে দেখি গ্রামার ভূল পড়ানো হচ্ছে। আমি ভূল ধরলাম, সে বলল ভূল স্বীকার করল। দেখলাম তার ইংলিম পড়ানোর গতি তমে গেছে। পরদিন কলেজে গেলে আমাকে বলা হলো, পোস্ট গ্রেজুয়েশন ক্লাসে যাওয়ার জন্য। আমি আমার ভর্তি হওয়া ক্লাসে যাওয়ার সুযোগ পেলাম।
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৪৩২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১১/০৪/২০১৯

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast