www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ভোট বিপ্লব বেশ দূরে নয়

পরিবর্তনের লক্ষ্যে ৩০ ডিসেম্বর ভোট বিপ্লব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে সকলকে ভোটে অংশ নেবার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা এই আহবান জানান। তিনি বলেন, দেশের জনগণ বলছে আমরা পরিবর্তন চাই। মানুষ ভালো থাকলে এটা বলতো না। তারা পরিবর্তন চায় ভোটের মাধ্যমে, শান্তিপূর্ণভাবে চায়। আমাদের হবে ভোটের বিপ্লব। একাত্তরের তো ভালোভাবে করে দেখিয়েছি তারপরে কয়েকবার দেখিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোটের বিপ্লব করবেন আপনারা সবাই। আমরা সবাই মিলে ভোটের বিপ্লব করবো এবং ১৬ ডিসেম্বর যেমন আমরা বিজয় অর্জন করেছি। ৩০ ডিসেম্বর আমরা সেইভাবে বিজয় অর্জন করবো-জনগনের বিজয়, আমাদের সকলেরই বিজয়। এই কয়েকটা দল যারা আমরা ঐক্যফ্রন্ট করেছি এটা আমাদের বিজয় নয় এটা হবে সকলেরই বিজয়।

ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল বলেন, ধানের শীষের ভোট দিলে আপনারা মুক্ত হবেন। এই প্রতীক কোনো দলের প্রতীক নয়, এটা ঐক্যের প্রতীক। জনগনের ঐক্যের প্রতীক। বুঝে-শুনে এই প্রতীকে ভোট দিলে জনগনই ভোট পাবেন। ঐক্যবদ্ধ জনগনের পক্ষে ভোট দেবেন, ধানের শীষের ভোট দেন-এটা সোজা কথা। ইনশাল্লাহ জনগন বিজয়ী হবেন, আপনারা বিজয়ী হবেন। আমি সেই বিজয়ের ভাব সারাদেশে পাচ্ছি। সারাদেশে থেকে আমরা প্রতিদিন খবর পাচ্ছি- তারা বলছেন আমাদের এখানে যে আন্দন-উল্লাস। মানুষ বিশ্বাস করছে যে হয়েই গেছে। দু‘দিন অপেক্ষা না।

দেশের অন্যতম এ সংবিধান প্রণেতা বলেন, সারাদেশে জনগনের অসাধারণ সাড়া। বলতে পারেন মানুষ-কিভাবে আনন্দ-উল্লাসে আমাদেরকে দেখতে ছুটে এসেছে। নেতারা ঘরে ঘরে যান, গ্রামে গ্রামে যান আর দেখেন। অনেকে আছে যে ভয়ভীতি। কোনো মানুষের মধ্যে কোনো ভয়ভীতি নেই।

ড. কামাল বলেন, আমরা স্বৈরাচারকে পরাজিত করেছি। জয়ী আমরা হয়েছি। স্বৈরাচার বিজয়ী হলে একাত্তর হতো না, বাংলাদেশ হতো না। অতীতে আমরা বিজয় অর্জন করেছি। কাদের সিদ্দিকী আমার পাশে বসা। বিজয়ী যোদ্ধা। তারা দেখেছে যে, বাংলার মানুষ কোনো শক্তির কাছে, অস্ত্রের কাছে, অর্থের কাছে মাথানত করে নাই, পরাজিত হয় নাই- এই বিশ্বাসটা রেখে আপনারা মাঠে থাকুন।

ভোটারদের উদ্দেশ্যে ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, আপনারা শক্তভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকুন। ভোট দিতে যাওয়ার ব্যাপারে ভোট দিতে হবে। লাইনে দাঁড়িয়ে সকালে সকালে গিয়ে ভোট দিতে হবে। গণনার সময়ে এজেন্ট ও প্রার্থীকে উপস্থিত থাকতে হবে। গণণার ফলাফল সেটা স্বাক্ষর করে নিয়ে আসবেন। ইনশাল্লাহ নিশ্চয়ই আমরা বিজয়ী হবো। ভোট বিপ্লব হবে।

নির্বাচনের প্রতিদ্বন্ধিতাকে দুই ভাগে বিশ্লষণ করে ড. কামাল হোসেন বলেন, একদিকে হলো দেশের ১৬ কোটি মানুষ আর আরেকদিকে যারা অহংকারের সুরে কথা বলে এবং এই ধারনা করে তারা দেশের মালিক। আমি দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, দেশের মালিক তারা নয়, দেশের মালিক ১৬ কোটি জনগন। আমরা ১৬ কোটি মানুষের পক্ষে বলি যে, আপনারা ভোট দেন। ১৬ কোটি মানুষ মালিক হলে তারা মাথা উঁচু করে থাকবে।

ধানের শীষ প্রতীকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি এই মার্কা নিয়ে। অবশ্যই এই মার্কায় আপনারা ভোট দেবেন। আজকে স্বাধীনতার ৫০ বছর সামনে রেখে আমরা সেই বাংলাদেশ গড়তে চাই ৩ বছরে যেখানে আমরা সবাই মিলে আনন্দ করতে পারবো। সেখানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

শিক্ষার মান অনেক নেমে গেছে বলেও সরকারের নীতির কঠোর সমালোচনা করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রবীন এ আইনজীবী। আমি ৬০ এর দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলাম। এখন যারা ছাত্র আছেন আপনারাদের আতœীয় বন্ধুদের মধ্যে তাদের জিজ্ঞাসা করুন শিক্ষার মান কোথায় আছে। স্বাধীনতা ৪৭ বছর পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমি যেভাবে পেয়েছিলাম এখন তার চেয়ে অনেক অনেক মান নেমে আছে। স্বাস্থ্য সেবার অবস্থা দেখুন মেডিকেল কলেজে যেয়ে। রাজধানীতে হাসপাতালগুলোতে ঔষধ-পত্র বাইরে থেকে আনতে হয়। এগুলো কি স্বাধীন দেশে ৪৭ বছর পর হওয়ার কথা?।

জন-প্রশাসনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, প্রশাসনকে আমরা চেয়েছি স্বাধীন দেশের প্রশাসন হিসেবে। জনস্বার্থে আপনারা কাজ করবেন, কোনো দলের স্বার্থে না। এটা আমি জোর গলায় বলতে পারি যে, আমরা যুক্তফ্রন্ট সরকারে এদের (প্রশাসন) কাউকে বলব না কারো পক্ষে কাজ করো। আমরা দলীয়করণের বিপক্ষে। আমরা দলীয়করণ থেকে মুক্ত করার জন্য সরকারে যেতে চাচ্ছি। রাষ্ট্র ও সরকারি কর্মচারি যারা আছে সবাইকে বলছি, আপনারা দলীয়করনের শিকার হবেন না। দলীয়করন হচ্ছে জমিদারি হওয়া। বাবা আমরা তো ৫০ এর দশকে আন্দোলন করে এই জমিদারি থেকে মুক্ত হয়েছিলাম। আমরা প্রজা থাকবো না, জমিদার যা বলবে আমরা মাথা পেতে নেবো- এটা হবে না। ইনশাল্লাহ ৩০ ডিসেম্বর আমরা ভোট দিয়ে দলীয়করণ থেকে মুক্ত হবো।

পুরানা পল্টনে ফ্রন্টের কার্যালয়ে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মনটু, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদুল্লাহ কায়সার, মোমিনুল ইসলাম, জাহেদ উর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে সারাদেশে নির্বাচনী সহিংসতা ও নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারসহ নানা ঘটনার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। দেড় ঘন্টা বৈঠকের পর ফ্রন্টের নেতাদের নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন ড. কামাল হোসেন। সাংবাদিক সম্মেলনে ফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, গন দলের সভাপতি গোলাম মাওলা চৌধুরীও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যারা গণতন্ত্রকে খাট করে দেখে উন্নয়নের কথা বলে তারা মূলত জনগণের অধিকার রক্ষার কথা ভাবেন না। যারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে ভূলুণ্ঠিত করে উন্নয়নের কথা বলে তারা স্বৈরাচার। তিনি বলেন, এখন আওয়ামী লীগে যা বলছে. একসময় আইয়ুব খান ঠিক একই কথা বলতো। গণতন্ত্র বাদ দিয়ে উন্নয়নের ৫০ বছর আগে আইয়ুব খানরা বলতো। এসব কথা এখন আর চলে না। তিনি বলেন, বিশেষ কোন গোষ্ঠির জন্য উন্নয়ন নয়, উন্নয়ন হতে হবে সব মানুষের জন্য।

গণফোরাম সভাপতি বলেন, অনেকে ভয় পান, আমরা ভয় পেলে দেশ স্বাধীন করতে পারতাম না। ১৯৯০ সালে দেশ স্বৈরাচারমুক্ত করতে পারতাম না। অতএব, ভোট গণনা না করা পর্যন্ত পাহারা দিন। ১৬ কোটি মানুষ, কতজনকে গ্রেফতার করবে তারা?

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবাইকে অটল থাকার আহ্বান জানিয়ে ড. কামাল বলেন, আমরা নির্বাচন থেকে সরে যেতে পারি না, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে সন্ত্রস্ত্র করতে থাকায় আমাদেরকে অবশ্যই একেবারে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে হবে। তিনি শেখ হাসিনা ও ক্ষমতাসীন দলের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এমন মাত্রায় সন্ত্রাস দেখিনি। বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্থানে শহর-গ্রামের প্রতিটি রাস্তায় পোশাকধারী পুলিশ আওয়ামী লীগের সমর্থকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে। গণগ্রেফতার চলছে। এটিই আসল লজ্জা। ড. কামাল বলেন, লোকজন যাতে ভোট দিতে না আসে সেজন্য তাদেরকে সন্ত্রস্ত্র করাই তাদের উদ্দেশ্য। এ কারণে আমাদের দরকার অটল থাকা, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রচারকাজ দুইদিনের মধ্যেই শেষ হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের দমনমূলক পদক্ষেপ ভোটারদেরকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বিরত রাখবে কি না এই প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, সেটা অনেকাংশে নির্ভর করবে সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাস লোকজনকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে পারবে কি না তার ওপর। পুলিশ সন্ত্রাসীদের অংশ হওয়া সত্ত্বেও নির্ভীকভাবে ভোটকেন্দ্রে যেতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জনগণকে উৎসাহিত করছে। জনগণের ভাবাবেগ অবশ্যই প্রতিফলিত হতে হবে, সরকারকে ভোটের মাধ্যমে বিদায় করার এটিই সময়।

দুইদিন আগে বিপুল সংখ্যায় মোতায়েন হওয়া সত্ত্বেও সেনাবাহিনী কেন সহিংসতা দমনে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়নি- এ প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, সামরিক বাহিনী পরিবর্তীত হয়নি। বাকি আছে মাত্র দুইদিন। আমরা আশা করছি সেনাবাহিনী তার দায়িত্ব পালন শুরু করবে। ড. কামাল মনে করেন, পুলিশ যখন নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারে না, তখন ঐতিহাসিকভাবেই সেনাবাহিনী তা রক্ষা করে চলে। তারা কার্যকরভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছে। এবার সেনাবাহিনী সংশ্লিষ্ট ডিসিদের কাছে রিপোর্ট করছে। তিনি আশা করেন, সামরিক বাহিনীর পোশাক পরিহিত সদস্যরা তাদের স্বাভাবিক ভূমিকা পালন করবে, তারা পরিস্থিতি আয়ত্তে নিয়ে আসবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের দমনমূলক পদক্ষেপ এবং সেইসঙ্গে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রদান করতে হাসিনা সরকারের অস্বীকারের ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্ট আইনগতভাবে কী পরিকল্পনা গ্রহণ করছে- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, তিনি সংশ্লিষ্ট সব এলাকায় সন্ত্রাসের বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করার জন্য ঐক্যফ্রন্টের সব প্রার্থীকে পরামর্শ দিয়েছেন। হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে পিটিশন দায়েরের সময় এগুলো দাখিল করা হবে।

ড. কামালের বিবৃতি: গণফোরামের সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন অভিযোগ করেছেন, নির্বাচন কমিশনের ‘নির্লজ্জ’ পক্ষপাতমূলক আচরণের পর তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কার্যকর ভূমিকা আশা করা দুরূহ। এরপরও ৩০ ডিসেম্বর দেশের মানুষ জনগণ যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলেন ড. কামাল হোসেন।

ড. কামাল হোসেন বলেন, দেশের ঐক্যবদ্ধ জনগণ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের যেকোনো গণবিরোধী নীলনকশা রুখে দেব। তিনি বলেন, জনগণের প্রতি আমাদের আহ্বান, আগামী ৩০ ডিসেম্বর নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটকেন্দ্রে যান। পছন্দের মার্কায় ভোট দিয়ে নিজেদের মালিকানা নিশ্চিত করুন এবং হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করুন। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল বলেই ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছে। জনগণ ঐক্যবদ্ধ থাকলে অচিরেই বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিশ্চিত হবে ইনশা আল্লাহ।

সেনাবাহিনী মাঠে নামার বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বলেন, জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠে নামলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হবে। কিন্তু নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পূর্ণরূপে নির্বাচন কমিশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। নির্বাচনে সমান সুযোগের কথা জানিয়ে ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনের বাকি আর দুই দিন। এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দৃশ্যমান হয়নি। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমেরিকাসহ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দিলেও ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্বের কৌশল নিয়েছে। তিনি বলেন, সরকারি নীলনকশা বাস্তবায়নের অপকৌশল হিসেবে নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের ওপর যাতায়াতসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, নির্বাচন কমিশনের নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নিয়ে জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ গোটা রাষ্ট্রযন্ত্র এক জোট হয়ে বাংলাদেশে কার্যকর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কাজে জড়িত রয়েছে।

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কামাল হোসেন বলেন, পুলিশের সাহায্যে নৌকার কর্মীরা ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী, নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের নির্বাচনী মাঠে নামতে, পোস্টার লাগাতে এবং লিফলেট বিতরণ করতে দেয়নি। পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় নৌকার কর্মীরা রাতে ধানের শীষ কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে হানা দেয় এবং শারীরিক নির্যাতন করে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আর্থিকভাবে সচ্ছলদের ছেড়ে দেয় এবং বাকিদের আটক করে নিয়ে যায়। ঐক্যফ্রন্টের কয়েকজন প্রার্থীসহ প্রায় ১০ হাজার নেতা-কর্মীকে কারাগারে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। ড. কামাল হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যেকোনো নির্বাচনে ভোট প্রদানকে একটি উৎসব মনে করে। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর জনগণ এ ‘ভোট উৎসব’ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণ ‘ভোট উৎসবে’ অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিয়েছে।
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৪৯০ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৭/১২/২০১৮

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast