www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

পানি আগ্রাসন

কোনো মৌসুমেই বাংলাদেশ গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা পায়নি, এখনো পাচ্ছে না। অভিন্ন ও সীমান্তবর্তী নদ-নদীর ব্যাপারেও ভারত একই নীতি ও মনোভাবের প্রকাশ ঘটিয়েছে। এসব নদ-নদীর কোনো একটিতেই ভারত বাংলাদেশকে বাঁধ নির্মাণ বা ড্রেজিং করতে দিচ্ছে না। ভারতের গজলডোবা বাঁধের কারণে যমুনার পানি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ। তিস্তা, মহানন্দা, মনু, কোদলা, খোয়াই, গোমতি ও মুহুরিসহ আরো অন্তত ১৫টি নদ-নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করেছে ভারত। এভাবে ফারাক্কার পাশাপাশি ছোট-বড় বিভিন্ন বাঁধের মাধ্যমে ভারত পানি সরিয়ে নেয়ায় এবং পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত করায় অভিন্ন ৫৪টির মধ্যে ৪০টি নদ-নদী শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই এখন পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। আবার পুরো বাংলাদেশকে ডুবিয়ে দিচ্ছে বর্ষার মওসুমে। বর্তমান সময়েও বাংলাদেশ ভারতের একই নীতি ও কৌশলেরই অসহায় শিকারে পরিণত হয়েছে।
আমরা মনে করি এবং একথা আগেও বিভিন্ন সময়ে বলে এসেছি যে, সর্বব্যাপী এই ক্ষয়ক্ষতি থেকে দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে হলে ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবস্থান নেয়া দরকার। আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে তেমনটা আশা করা যায় না বলে এ ব্যাপারে দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দলগুলোকে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে। বাংলাদেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করার অভিযোগে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মামলা দায়েরসহ ব্যবস্থা নিতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অমন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভবও। কারণ, আইনটিতে বলা আছে, উজানের দেশ ভাটির দেশকে শুষ্ক মওসুমে পানি বঞ্চিত যেমন করতে পারবে না তেমনি বর্ষা মওসুমে পারবে না বন্যায় তলিয়ে দিতেও। আন্তর্জাতিক আইনের এই সুবিধা স্পেন ও পাকিস্তানসহ অনেক রাষ্ট্রই বিভিন্ন সময়ে আদায় করেছে। সে জন্যই এখন বেশি দরকার আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, সরকার যাতে ভারতের পানি আগ্রাসনের বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন করতে বাধ্য হয়।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৮৪১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৬/০৭/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast