www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

বৈশম্য

সামাজিক অস্থিরতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকান্তরে। ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয় : মাত্র পৌনে এক ভরি স্বর্ণের জন্য হত্যা করা হলো ৫ ও ৬ বছর বয়সী দু’টি শিশুকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই নরসিংদীতে ৬, ৮ ও ১০ বছর বয়সী ৩ ভাইবোনকে হত্যা করলো আপন ভাই। অশান্তির জ্বালা মেটাতে অবুঝ শিশুকে নিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিচ্ছেন মা। একের পর এক নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটেই চলেছে সমাজে। তাই প্রশ্ন জাগে, এ জন্যই কি সমাজবদ্ধ হয়েছিল মানুষ? অথচ ইতিহাস বলে ভিন্ন কথা। মানুষ তো উন্নত ও মানবিক জীবনযাপনের জন্য সমাজবদ্ধ হয়েছিল। তাহলে সমাজ এই পর্যায়ে এসে পৌঁছলো কীভাবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমরা প্রতিনিয়ত যেসব পৈশাচিক ও হৃদয়বিদারক ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছি তা আসলে সমাজেরই প্রতিচ্ছবি। অনেক ক্ষেত্রেই নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্য ও অসাম্য বিস্তার লাভ করেছে ভয়াবহ আকারে। দীর্ঘকাল ধরে আমাদের চেষ্টা-প্রচেষ্টা ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতির মধ্যেই নিবদ্ধ রয়েছে। বস্তুগত উন্নতির দিকে দ্রুত ধাবমান একটি শ্রেণী। গণমাধ্যমের বদৌলতে সমাজে ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র ভোগাকাক্সক্ষা। বাড়ছে বৈষম্য। নীতি-নৈতিকতা পদদলিত হচ্ছে পদে পদে। এর শিকার হচ্ছে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী। সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, প্রচ- চাপের মধ্যে আছে সমাজের মানুষ। জীবন সংগ্রামের এই চাপ থেকে মুক্তির জন্য মানুষ অনেক সময় ভয়াবহ পথ বেছে নিচ্ছে।
সমাজে যখন ন্যায় থাকে না, ভারসাম্য থাকে না, সুশাসন থাকে না; তখন সমাজে শান্তিও থাকে না। এমন অবস্থায় সমাজে অস্থিরতার মাত্রা বাড়তে থাকে। অস্থির সমাজে জীবনযাপন করতে গিয়ে মানুষের শরীর ও মন সুষম থাকে না। বরং নানা চাপে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে ঘটে যায় নানা অঘটন। এমন অবস্থায় সমাজ ও রাষ্ট্রের করণীয় থাকে। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থতার দায় বেড়েই চলেছে। তাই ত্রুটিপূর্ণ রাজনীতি ও নৈতিক অবক্ষয়ের ধারা বন্ধে নেতা-নেত্রী, সমাজপতি ও সরকারের বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। তারা কতটা এগিয়ে আসেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ৭৭৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৬/০৩/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast