www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

লিটন হত্যা মামলা ও নির্দোষদের ক্ষতি পূরণ

ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। আমাদের পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ। তারা শত প্রলোভন, প্ররোচণা এবং ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে আসল আসামীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতার করেছেন। আসামীদের সকলেই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। মূল আসামী ও হত্যাকা-ের পরিকল্পনাকারী এবং অর্থ সরবরাহকারী সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ও আওয়ামী জোটের বড় শরিক জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল কাদের খান পরিষ্কার বলেছেন যে, তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য হবার পথ পরিষ্কার করার জন্য মঞ্জুরুলকে হত্যা করিয়েছেন, পরিকল্পনা করেছেন, ভাড়াটে লোক নিয়োগ করে অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করেছেন। এমনকি তার বাড়িতে অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণও দিয়েছেন। খুনের কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বাড়ির দু’টি পুকুর সেঁচে শুকিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু অস্ত্র পাননি। পক্ষান্তরে তার জবানবন্দী অনুযায়ী গাছের তলার মাটি খুঁড়ে ঐ অস্ত্রও উদ্ধার করেছেন। তার নিযুক্ত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী খুনীরাও স্বীকার করেছেন যে, তারা ঐ অস্ত্র দিয়ে জনাব কাদের খানের নির্দেশ অনুযায়ী জনাব মঞ্জুরুলকে হত্যা করেছেন। এখন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের হত্যাকা-ের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে প্রমাণিত হয়েছে। কোর্টে প্রদত্ত হত্যাকারীদের জবানবন্দী এবং অর্থদাতা ও পরিকল্পনাকারীর জবানবন্দী মিলে গেছে। এই অবস্থায় এই হত্যাকা-ে অন্য কারোর সম্পৃক্ততার আর কোনো প্রশ্ন উঠতে পারে না। এখন বিচার তার নিজস্ব গতিতে চললেই ইনসাফ কায়েম হতে পারে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে জামায়াতের গ্রেফতারকৃত ১২৩ জন নির্দোষ নেতাকর্মী বিএনপির ৩০ জন এবং আওয়ামী লীগের ২ জন নিরপরাধ আসামীর কি হবে? তারা শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়েছেন, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের সম্মানহানি হয়েছে এবং লোকচক্ষে হেয়প্রতিপন্ন হয়েছেন। পেশাগতভাবে তারা ক্ষতি ও হয়রানির সম্মুখীন হয়েছেন এবং কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে চরম অবমাননাকর অবস্থায় দিনাতিপাত করতে বাধ্য হচ্ছেন। তারা এ দেশেরই মানুষ, সরকারকে খাজনা দেন, আইন মেনে চলেন এবং নাগরিক দায়িত্ব পালন করেন। মিথ্যা অভিযোগে তাদের অভিযুক্ত ও গ্রেফতার করে তাদের মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে যেমন বঞ্চিত করা হয়েছে তেমনি তাদের বৈধ নাগরিক অধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছে। স্বয়ং খুনি যেখানে খুনের দায় স্বীকার করেছেন, মোটিভ সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন, খুনের কাজে ব্যবহৃত সন্ত্রাসী ও অস্ত্র প্রভৃতি সম্পর্কে আদালতে পরিষ্কার ভাষায় জবানবন্দী দিয়েছেন সেখানে নিছক রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও সন্দেহের বশবর্তী হয়ে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি না দেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এই অবস্থায় তাদের শারীরিক, মানসিক ক্ষতি, সামাজিক মর্যাদা ও অর্থহানি, মানহানিসহ যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৭৩৭ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০১/০৩/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • তদন্তে সত্য বেরিয়ে আসে। আর তদন্তে কখনও ভুল হতে পারে। আর সঙ্গে-সঙ্গে ভুল শুধরিয়ে নিতে হবে।
    আর তদন্ত আরও সুষ্ঠু হওয়া প্রয়োজন।
  • এখনো যদি এই শাসক গোষ্ঠীর লজ্জা না হয় তবে আর কবেই যে হবে তা বলা মুশকিল। দেশে একটা কিছু ঘটলেই ওরা মুখস্ত বিবৃতি দিচ্ছে যে- 'এটা বিএনপি-জামাতের কাজ'!

    ওদের নেতৃত্বে সৃষ্টিশীল কিছু নেই, আছে বিরোধীদের জন্য ধ্বংসশীল মন্ত্রনা, আর লুটপাট করে নিজেদের আখের গোছানোর মহা পরিকল্পনা।

    আল্লাই ভাল জানেন, মৃত্যুর সময়ও কিনা ওরা বসে যে- আমার মরণের সময় হয়নি, এই আজরাইলকে খবর দেওয়া এটা বিএনপি-জামাতেরই কাজ।
 
Quantcast