বাংলাদেশে মানবাধিকার
নির্বিচারে গ্রেফতার, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছে নিউইয়র্কভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ’। গত ১২ জানুয়ারি প্রকাশিত সংগঠনটির ‘ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট ২০১৭’তে এই সমালোচনা করা হয়। উক্ত প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়েছে, সংবাদ মাধ্যম ও বেসামরিক লোকজনের ওপর সরকার দমন-পীড়ন চালিয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের হাতে বিরোধী রাজনৈতিক মতাদর্শের লোকজন আটক, পঙ্গু, হত্যা এবং গুমের শিকার হয়েছেন। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ব্লগার, ধর্ম-নিরপেক্ষ ব্যক্তি, শিক্ষাবিদ, সমকামী অধিকার কর্মী ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে সহিংসতার হাত থেকে রক্ষা করতে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। অনেকেই জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কত সময়, কত প্রতিবেদনই তো দেয়। না দেখে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব না।’ উক্ত বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘আমরা এখনও প্রতিবেদনটি দেখিনি। কাজেই না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে সারা বিশ্বেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেশি ছিল। বাংলাদেশেও তাই। তবে যখনই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আমাদের চোখে পড়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড এ্যাডামসকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নির্বিচারে গ্রেফতার, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তবে এই অবমাননাকর চর্চার কোনো বিচার নেই। তিনি আরো বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সমস্যায় জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের জন্য জরুরি, তবে তা করতে হবে মানবাধিকার সমুন্নত রেখেই। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৬ সালে দেশের দু’টি শীর্ষ সংবাদপত্রের সম্পাদককে একাধিকবার মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোকে কাজের ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। বিরোধী দলের বহু সদস্য আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে, আর বাকিরা হয় আটক না হয় নিখোঁজ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর রিপোর্টে গ্রেফতার, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, তা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সম্মানজনক নয়। একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে ওইসব কর্মকাণ্ড চলতে পারে না। বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের নেতৃবৃন্দও বিভিন্ন সময় নির্বিচারে গ্রেফতার, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারেও তাঁরা বেশ উচ্চকণ্ঠ। তাই ওইসব অভিযোগ উত্থাপনের কারণে এখন সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের জবাব দেয়া সরকারের দায়িত্ব। তবে বিভিন্ন সময়ে আমরা বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকার রিপোর্টে নির্বিচার গ্রেফতার, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের খবর মুদ্রিত হতে দেখেছি। বাংলাদেশের জনগণ এইসব কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে সবসময়ই তাদের মত প্রকাশ করে এসেছে। আমরা মনে করি, এইসব ক্ষেত্রে সঙ্গত দায়িত্ব পালন সরকারের জন্য এখন জরুরি হয়ে উঠেছে। তবে কাক্সিক্ষত দায়িত্ব পালনে সরকার কতটা এগিয়ে আসে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কত সময়, কত প্রতিবেদনই তো দেয়। না দেখে এই বিষয়ে মন্তব্য করতে পারব না।’ উক্ত বিষয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ‘আমরা এখনও প্রতিবেদনটি দেখিনি। কাজেই না দেখে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে সারা বিশ্বেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেশি ছিল। বাংলাদেশেও তাই। তবে যখনই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা আমাদের চোখে পড়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড এ্যাডামসকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নির্বিচারে গ্রেফতার, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তবে এই অবমাননাকর চর্চার কোনো বিচার নেই। তিনি আরো বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা সমস্যায় জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের জন্য জরুরি, তবে তা করতে হবে মানবাধিকার সমুন্নত রেখেই। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৬ সালে দেশের দু’টি শীর্ষ সংবাদপত্রের সম্পাদককে একাধিকবার মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ফৌজদারি মামলাও রয়েছে। নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোকে কাজের ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। বিরোধী দলের বহু সদস্য আত্মগোপনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। অনেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলছে, আর বাকিরা হয় আটক না হয় নিখোঁজ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর রিপোর্টে গ্রেফতার, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে, তা বাংলাদেশের জন্য মোটেও সম্মানজনক নয়। একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে ওইসব কর্মকাণ্ড চলতে পারে না। বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের নেতৃবৃন্দও বিভিন্ন সময় নির্বিচারে গ্রেফতার, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারেও তাঁরা বেশ উচ্চকণ্ঠ। তাই ওইসব অভিযোগ উত্থাপনের কারণে এখন সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। এসব প্রশ্নের জবাব দেয়া সরকারের দায়িত্ব। তবে বিভিন্ন সময়ে আমরা বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকার রিপোর্টে নির্বিচার গ্রেফতার, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের খবর মুদ্রিত হতে দেখেছি। বাংলাদেশের জনগণ এইসব কর্মকাণ্ডের বিপক্ষে সবসময়ই তাদের মত প্রকাশ করে এসেছে। আমরা মনে করি, এইসব ক্ষেত্রে সঙ্গত দায়িত্ব পালন সরকারের জন্য এখন জরুরি হয়ে উঠেছে। তবে কাক্সিক্ষত দায়িত্ব পালনে সরকার কতটা এগিয়ে আসে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ডঃ সুজিতকুমার বিশ্বাস ২১/০১/২০১৭ভালো লেখা।
-
দীপঙ্কর বেরা ২০/০১/২০১৭জানলাম