www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ব্যংক ডাকাতি

পুরোনো অভ্যাস বলতে একটি কথা বালাদেশে প্রচলিত; কয়লা যায়না ধুইলে ময়লা যায়না । Bal তাদের এ কথা বার বার মানুষদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। মুজিব কোন মুজেজা নিয়ে পৃথিবীতে আসেনি। পাকিস্থানী সরকার ও প্রশাসনের দুর্নীতি ও নির্যাতনের প্রতিবাদ ছিল, ভাষা আন্দোলন, ৭০ এর গণ আন্দোলন ও বাংলার স্বাধীনতার আন্দোলন। ভাষা আন্দোলনে মুজিবের কোন ভূমিকাই ছিলনা। তথাকথিত প্রপাগন্ডা ছড়িয়ে যে ব্যক্তিকে সাজা দেয়া হয়েছে, যার সামরিক অফিসার দেশের সম্পদ পুত্রকে গুম করা হয়েছে , তমুদ্দিন মজলিসের সেই প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর অধ্যাপক গোলাম আজমই ভাষা আন্দোলনের অগ্রসেনানী। তার পর যুক্ত ফ্রন্ট এ নেত্রিবৃন্দ ও সর্বশেষে বাংলার জনগনের রায়, জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা পাকিস্থানকে পঙ্গু করেছিল। তারপরও বাংলার মানুষ ইন্ডিয়ার সহায়তায় অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশ মুজিবের হাতে তুলে দিয়েছিল একটু সুখের আর শান্তির আশায়। কিন্তু আশ্চর্য়ের বিষয় হলেও সত্য যে, মুজিব পরিবার রক্ষি বাহিনী, বাকশাল প্রতিষ্ঠির মাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা, জনগণকে পাকিস্থানী প্রশাসনের মত বন্দি করে রাখতে চেয়েছিল। মানুষের বাক স্বাধীনতা ছিলনা। অর্থনৈতিক মুক্তি ছিল মরিচিকা। লুটতরাজ, ধর্ষণ, ব্যংক ডাকাতি ছিল পাকিস্থানীদের চেয়েও ভয়ংকর।
বর্তমান হাসিনা কাম বাম সরকার একই কায়দায় আরো কঠোর ভাবে প্রকৃত  দেশপ্রেমিক, বুদ্ধিজীবিদের নির্বাসন, গুম, খুন, জেল জুলুম, মৃত্যুদন্ড প্রদানের মাধ্যমে বাঙালী জাতির উপর ভয়ংকর অভিশাপ হিসেবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছে। হাসিনা আসলে বাংলাদেশর ভালো চাইতে নয় প্রতিশোধ নিতেই বাংলাদেশে আছে। যার যুক্তযুক্ত প্রমাণ আছে।
হাসিনার পরিবার হত্যার পর যে ব্রত নিয়ে দেশে এসেছে তা তার সকল বক্তৃতা বিবৃতিতে স্পষ্ট হলেও পাশ্ববর্তী স্বর্থান্বেসী মহলের সহযোগীতার ভয়ে কেউ মুখ খুলছেননা। এছাড়াও সাম্প্রতিক কিছু কর্মকান্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, সালাহ উদ্দিন কাদের ও গোলাম আজমের সুযোগ্য সন্তানদের গুম করার মাধ্যমে কেউ ভবিষ্যতে যাতে হাসিনার দেখিয়ে দেয়া প্রতিশোধের স্টাইল কপি করতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
দেশে মানুষে মৌলিক অধিকার নিশ্চত করা হাসিনার কোন লক্ষ্য উদ্দেশ্য নয়, বরং বাংলাদেশকে লুটে পুটে খাওয়াই তার একমাত্র লক্ষ্য। যার প্রমাণ হলো ভোাটার বিহীন নির্বাচন, প্রগতিশীল গ্রামীণ ব্যংক অকার্যকর করা, বাংলাদেশ ব্যংক লুট , ইসলামী ব্যংক দখল ও তার পাগল ছেলের পাগলামী বেতন ভাতা।
তাই দেশের মিনুষের এ দুর্যোগকালীন মুহুর্তে ধৈর্য ও আত্নত্যাগের মাধ্যমে সর্বোচ্ছ প্রতিবাদী হওয়া জরুরী। যারা আওয়ামিলীগ করেন, যারা সন্ত্রাস হত্যা করেননা, তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কোন কারণ নাই। তারা ও এ প্রতিবাদে অবশ্যই নির্যাতিত মানুষের পাশে থাকবেন ও আছেন। বাংলাদেশকে এমন একটি দেশে প্রতিষ্টিত করতে হবে যেখানে কোন মানুষের ব্যক্তি ও ধর্মীয় স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ থাকবেনা।
বিষয়শ্রেণী: সমসাময়িক
ব্লগটি ৯৩১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১০/০১/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast