www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ক্লাশের লাস্ট বেঞ্চের ছেলেটা

আমার একটা বন্ধু ছিল।ছিল বলছি কারণ
ওর ঠিকানা আমি এখন আর জানিনা।
বেঁচে আছে কি মরে গেছে তাও
জানিনা।কিন্তু মন বলে তো একটা
কথা আছে সেটা আমায় বলে,হ্যাঁ ও
বেঁচেই আছে।কিন্তু কোথায়
সত্যিকারের আছে তা জানিনা।
ঠিকানা যেটা জানি বলে মনে হয়
ওটা দিয়ে খুঁজে বের করা বেশ
কষ্টসাধ্য।শুধু কষ্টসাধ্য না ভয়ানক
কষ্টসাধ্য!আমি সেই বহুদিন আগে
ভেবেই নিয়েছিলাম যে ও
মধ্যপ্রদেশের কোনো এক যায়গায়
নিরুদ্দেশ হয়ে গেছে।এখনো হয়ত
মধ্যপ্রদেশেই থাকে।মধ্যপ্রদেশ এই টুকুই
শুধু ধারণা করে রেখেছি।এখন ৩,০৮,২৪৫
বর্গ কিমি আয়তনের মধ্যপ্রদেশের
কোথায় ওকে খুঁজে পাবো?
ওকে প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম।
কিন্তু এইতো সেদিন সোমবার একটা
গল্প লিখব বলে রাত মোটামুটি
পৌনে বারোটার সময় বসে ছিলাম
খাতা কলম নিয়ে।মাথায় কোনো
লেখা আসছিলনা।কি লিখি কি
লিখি।কিছু লিখি তো আবার কেটে
ফেলি।এভাবেই চলছিল।সিগারেটও
মোটামুটি সব ফুরিয়ে ফেলেছিলাম।
তখন হঠাৎ করে একটা ফোন এসেছিল
আমার মোবাইলে।আমি ফোনটা
ধরেছিলাম।নাম্বার টি অপরিচিত
মনে হয়েছিল বলেই বললাম,হ্যালো
কে বলছেন?
আমি বিট্টু বলছি।
আমি নামটা শোনার পর কিছুক্ষণের
জন্য ভাবনার সাগরে চলে
গিয়েছিলাম।আমার ওই বন্ধুটির কথা
মনে পরে গিয়েছিল।আমার বন্ধুটির
নাম বিট্টু ছিল।
আপনি কোন বিট্টু?
এটা কোথায়?ওপাশ থেকে প্রশ্নটা
এসেছিল।
আমি কণ্ঠ টা খুব যত্ন করে শুনলাম,নাহ
বিট্টুর কণ্ঠ আমার স্পষ্ট মনে আছে।
তারমানে আমার বন্ধু নয়।
আমি বললাম,এটা কোলকাতা।
ওপাশ থেকে কথা এলো,সরি,রং
নাম্বার।ফোনটা কেটে গেল।আমি
সত্যি সত্যিই একটা ভাবনার সাগরে
ডুব দিলাম।আজ ওর কথাটা বড্ড মনে
পড়ছে।
সেই স্কুল লাইফের আমার বন্ধু।ক্লাশ
সিক্স থেকে আমাদের বন্ধুত্ব।আমি
সেই স্কুল লাইফের স্মৃতিটাকে
রোমন্থন করছি।ওর সাথে আমার
স্মৃতিটা স্কুললাইফের স্মৃতি।সেই
বিট্টু,সেই যে লাস্ট বেঞ্চে বসা
ছেলেটা।ও সবসময়ই ক্লাশে লাস্ট
বেঞ্চে বসত।লাস্ট বেঞ্চে যে
খানটায় বসত তার পাশে জানলা ছিল।
ও জানলা দিয়ে তাকিয়ে থাকত
বাইরে।বাইরের পরিবেশ খুব বেশি
টানতো কিনা?পড়া লেখায় বেশ
অমনোযোগ ছিল।ক্লাশে
স্যার,দিদিমণি ওকে কিছু জিজ্ঞেস
করলে ও কিছু পেরেছে বলে আমি
কখনো দেখিনি।অঙ্কের শিবরাম
স্যার কি মারটাই না মারতো ওকে!শুধু
কি ওকে?আমরাও কি কম পিটুনি
খেতাম।আমি খুব যে ভাল ছিলাম
পড়ালেখায় তা কিন্তু নয়।তবে অঙ্ক
একেবারেই যে বুঝতাম না তা নয়।একটু
ভুল করলেই মার খেতে হত।স্যার সপাং
সপাং করে কখনো হাতে,কখনো
পিঠে কি মধুর মারটাই না মারত।আহা
ভাবলে গায়ের লোম এখনো
দাঁড়িয়ে যায়।ওর কোনো ভাবাবেগ
হতনা মার খেলে।শুধু হাসত।আমরা
তাকিয়ে দেখতাম,স্যার মারছেন
সপাং সপাং! ও মুচকি মুচকি হাসছে।
স্যার গর্জন দিয়ে উঠতেন,আবার হাসা
হচ্ছেরে!
আমরা মুখ পানসে করে ওর হাসি
দেখতাম।ও একটু অন্য ধরণের ছিল।একবার
ও আমাকে বলল,চল কোথাও থেকে
ঘুরে আসি।
আমি তখনো মায়ের আঁচল ছাড়িনি।মা
বাবা ছাড়া একা কারুর সাথে
কোথাও যেতাম না।
কোথায়?
ট্রেনে চেপে যাবো,ঘুরব তারপর
ওইদিনি চলে আসব।
আমি বললাম,নারে আমি পারবনা।
কেন পারবিনা?তুই আমার বন্ধু কিনা
বল।
হ্যাঁ বন্ধু তো…..
তাহলে চল ওসব কিছু শুনবো না।
ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার আছে।
কি ইন্টারেস্টিং?
না গেলে বুঝবিনারে শালা!
আমরা স্কুল পালিয়ে ট্রেনে
চাপলাম।মোটামুটি সাহস সঞ্চয় করে
যেতে লাগলাম শ্যামনগরের দিকে।
আসলে ওখানটায় ছিল ওর মাসি
বাড়ি।আমাকে নিয়ে যাবে ওর
মাসি বাড়িতে এই রকম কথাই ছিল।
আমি আগেই বলে দিয়েছিলাম,আমি
কিন্তু রাতে থাকবনা।সর্বোচ্চ দু’ ঘন্টা
হুম।
ঠিক আছে।আগে চলতো।
প্ল্যাটফর্ম থেকে নেমেই আমরা
হাঁটা শুরু করলাম।দুজনেরই পেছন
দিকটায় ব্যাগ।ট্রেনের টিকিট না
কেটেই উঠে পড়েছিলাম আমরা।একে
তো ছাত্র তারপর আবার স্কুল
ইউনিফর্ম,ব্যাগ।চেকার ধরলেও ছেড়ে
দিতে হত এই আত্নবিশ্বাস টা ছিল
আমাদের।আমরা হাঁটছি তো হাঁটছিই।
হাঁটতে আমার খারাপ লাগছিল না।
কিন্তু আমি কিছুটা বিরক্তি ভাব
নিয়ে বললাম,তুই কি এই অলিগলি
হাঁটাতে আমাকে নিয়ে এলি!
হ্যাঁ।
মানে?
মানে কিছুই না।সামনে একটা হলুদ
বাড়ি দেখছিস?
আমি হলুদ বাড়িটার দিকে তাকিয়ে
বললাম,তোর মাসিবাড়ি?বাব্বা
দোতলা বাড়ি।কি ধনীরে তোর
মাসি!
তখন আমাদের অবস্থা খুব একটা ভাল
ছিলনা।বাবা একটা দোকানে ফল
বিক্রি কিরে সংসার চালাত।ওপরে
টিন দিয়ে ঘর।চারপাশ দেয়াল অবশ্য।
ও বলল,নারে মাসি বাড়ি না।
তাহলে?
আমার শ্বশুরবাড়ি।
আমি হাঁ করে তাকিয়ে রইলাম,বলে
কি!আমরা কেবল ক্লাশ টেনে পড়ি।
আর ও এই অল্প বয়সেই এ কী কথা বলল।
ধুর!ফাজলামো করিস না।সত্যি বল হলুদ
বাড়িটা আসলে কার বাড়ি?
ও কোনো উত্তর করলনা।
আমরা হলুদ বাড়িটার সামনে আসলাম।
বাড়িটা দেখতে খারাপ না।উঁচু
পাঁচিল দেয়া বাড়ি।গেটটা অবশ্য
একটু ছোট বাড়ি আন্দাজে।
ও ব্যালকনির দিকে একদৃষ্টিতে
তাকিয়ে আছে।আমি ওর হাবভাব
ফলো করছি।আমি মোটামুটি বুঝে
ফেললাম,এই বাড়ির কোনো
মেয়েকে ও ভালবাসে।হয়ত এই জন্য
তাকিয়ে আছে।মেয়েটি কি ওকে
ভালবাসে?
বাসতে পারে কি?আমি মোটামুটি
অনেক কৌতুহলি হয়ে গেলাম।
মেয়েটাকে দেখতেই হবে।আর ওর এই
মেয়েটির সাথে চেনা জানা হলই
বা কি করে।অবশ্য পরে জেনেছিলাম
ওর মাসি বাড়ি ওই হলুদ বাড়ি থেকে
সামনের রাস্তা ধরে হাঁটা পথে
দশবারো মিনিটের হবে।
মোটামুটি দশ পনের মিনিট আমরা
বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছি।আমি
একনজরে তাকাচ্ছিনা ব্যালকনির
দিকটায়।যদি কেউ কিছু বলে বসে।
তাহলে কেলেঙ্কারি হয়ে যাবে।
বাবা মা জানতে পারলে রক্ষে
রাখবে না।
হঠাৎ একটা চিরকুটের মত পড়ল ওর
গায়ে।আমি কিছুটা ভয় পেয়ে
গেলাম।বিট্টুর পায়ের কাছেই পড়ল
দলাকরা কাগজ টা।বিট্টু নিজেই তুলল
কাগজটা।দলা খুলল কাগজটার,
এই যে হনুমান এভাবে তাকিয়ে আছো
কেন।চোখটা নামাও বাড়ির সামনে
থেকে।
ইতি
তোমার বুল্টি….
আমি বুল্টিকে দেখার চেষ্টা করলাম।
কিন্তু দেখতে পেলাম না কোথাও।
কাগজ টা ফেলল কোথা থেকে।
বাড়ির ছাদেও তো কেউ নেই।অবশ্য
ব্যালকনির পাশে যে রুমটা ওখানে
একটা জানলা আছে।জানলা টা
খোলা।মনে হয় ওখান দিয়েই বুল্টি
নামের মেয়েটা চিঠিটা চেলে
দিয়েছে দলামোচড়া করে এইসব
সাতপাঁচ ভাবছিলাম।আমি বুঝে
নিলাম,মেয়েটিও ওকে ভালবাসে।
কিন্তু না বোঝার ভান করে
বললাম,বুল্টি কেরে ভাই?
ও হাসল।
মেয়েটি যে কেন মুখ দেখাচ্ছেনা
বোঝা গেলনা।ব্যালকনির সামনে
আসবে একটু তাও আসছেনা।
কিরে উত্তর করছিস না কেন?
কি?
কি মানে বুঝিস না।বুল্টিটা কে?
ও বলল,তুই একটু দূরে যা তো ভাই।ও
বোধহয় লজ্জা পাচ্ছে।আমার মনটাই
খারাপ হয়ে গেল।আমি খানিক টা
দূরে সরে গেলাম ওর কাছ থেকে।
কিছুক্ষণ পর দেখলাম একটা মেয়ে
খোলা চুলে ব্যালকনিতে আসল।
বিট্টু হাত নেড়ে ইশারা করল।
মেয়েটি একটু হাসলো।আমি মুগ্ধ
বিস্ময়ে মেয়েটির দিকে চেয়ে
রইলাম।বিট্টু ব্যাগ থেকে একটা
চিঠির মত কাগজ বের করে ওটার
ভেতর এক টুকরো ইট ভরে কাগজ টি দলা
করে চেলে দিল ব্যালকনিতে।
আমি মুগ্ধ নয়নে চেয়েই রইলাম।বুল্টি
কে দেখলাম কিছুটা দূর থেকেই।ওর
মুখটি এখন অবশ্য আমার মনে নেই।তবে
চেহারায় একটা মায়া ছিল বুঝতে
পেরেছিলাম।আমি ওদের দুজনের
হাতের ইশারায় কথা বার্তা দেখে
সেখান থেকে সরে সোজা স্টেশনে
চলে গেলাম।একা একা ট্রেনে
চাপলাম।পুঁ ঝিকঝিক।স্মৃতির
পাতাগুলো এখনো মনে আছে জেরক্স
পাতার মত।সেই ছোটবেলার স্মৃতি
আমার বন্ধু বিট্টুকে নিয়ে।ওর
ভালবাসার স্মৃতি খানা।
আমি সেখান থেকে চলে আসার জন্য
ও খুব রাগ করল আমার উপর।আমার
বাড়িতে চলে আসল রাতের বেলা।
আমি ঘর থেকে বের হলাম ওর সাথে
কথা বলার জন্যে।
কিরে তুই কাজটা কি করলি এটা?তুই
জানিস আমি তন্যতন্য করে খুঁজেছি
ওখানে সেই সন্ধ্যে নাগাদ।আমাকে
বলে আসবি তো।
আমি বললাম,বাড়ি যা।যা বলার
স্কুলে বলিস।
ধুর শালা।
আমি ঘরে ঢুকে গেলাম।আসলে আমার
কিছুটা হিংসে হচ্ছিল ওর প্রেম করা
দেখে মেয়েটার সাথে।তারপর
মেয়েটা লজ্জায় আমার সামনে
আসেনি।এই সব কারণেই একা একা
চলে আসা।
পরদিন স্কুলে ও আমার সাথে কথা
বলছিলনা।আমিও নির্লিপ্ত।ও পেছনের
বেঞ্চে বসে খাতায় কি যেন
আঁকিবুঁকি করছিল।পর পর চারটে ক্লাশ
করলাম।কোনো কথা হলনা ওর সাথে।
আমি ফার্স্ট বেঞ্চে বসে অন্যদের
সাথে গল্প করছিলাম।অথচ ক্লাশের
ভেতর একমাত্র ওর সাথে আমার খুব
ভাল বন্ধুত্ব।খুব ভাল বন্ধু হলে অনেকেই
ক্লাশে একসাথে বেঞ্চে বসে।কিন্তু
আমরা সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলাম।
টিফিন পিরিওডে ও হঠাৎ করে পেছন
থেকে আমার ঘাড়ে হাত রাখল,তুই
ভাল ছাত্র তাই আমার সাথে কথা
বলবিনা এইতো।
আমি ওর কথায় হেসে ফেলেছিলাম।
ভাল বন্ধুত্ব কখনোই স্বার্থ দিয়ে
তৈরি হয়না।আমি আবার ওর সাথে
বন্ধুত্বে মিশে গিয়েছিলাম।
আমি খুব উৎসুক হয়ে ওর কাছে বুল্টির
কথা শুনতে চাইতাম ও অনেক ক্ষেত্রে
এড়িয়ে যেত।অন্য প্রসঙ্গ টেনে
আনতো।বিট্টু বয়েসে আমার চেয়ে কম
করে হলেও দু বছরের বড় হবে।একই
ক্লাশে দু বছর থাকার জন্য ও আমার
সহপাঠী হয়ে যায়।বিট্টুর সাথে আমার
সেই পনের বছর আগের স্মৃতি এখনো
মাঝে মাঝে ছায়াছবির মত ভেসে
উঠে আমার চোখের তাঁরায়।ওর
নিরুদ্দেশ হবার পেছনে কোনো যুতসই
প্রমাণ আমার নেই।নিরুদ্দেশ হবার
আগে ওকে আমি প্রায়ই মনমরা
অবস্থায় দেখতাম।আমি ওর মনের
দুঃখটাকে আবিষ্কার করার চেষ্টা
করতে লাগলাম।কখনো ওর ঘাড়ে হাত
দিয়ে কখনও বা একমুঠো বাদাম
হাতের মাঝে দিয়ে ওকে খুব
ঘনিষ্টভাবে অনেক প্রশ্ন করতাম ও তবুও
তেমন কিছুই বলত না।শেভ করা মুখে
শুকনো হাসি।আমার তখন হালকা
গোঁফের রেখা গজিয়েছে।একদিন
স্কুলের ক্লাশ টিফিনে ও আমাকে
বলল,হ্যাঁরে মধ্যপ্রদেশ যায়গাটা কেমন
রে?খুব ভাল কি?
কেন,হঠাৎ এই প্রশ্ন?
না বলনারে।
আমি কখনো গিয়েছি যে দেখব।
ব্যস ওই টুকুই কথা।এরপর দিন ওকে স্কুলে
পেলাম না।পরপর চারদিন স্কুলে না
আসলে আমি ওর বাড়িতে দেখা
করতে যাই।তাতে যা শুনতে পেলাম
সেটা হল ওকে চারপাঁচ দিন যাবত
পাওয়া যাচ্ছেনা।ওর মা প্রায়
শয্যাশায়ী।বাবা উন্মাদগ্রস্থ।আমার
মনে তখন মধ্যপ্রদেশের কথা ভেসে
এলো।এজন্যই কি ও মধ্যপ্রদেশের কথা
শুনতে চাইছিল।কিন্তু সেখানে যাবে
কেন?আমি একদিন বুল্টির বাড়ি
গেলাম শ্যামনগরে।ও হয়ত কিছু একটা
জানতে পারবে।কিন্তু সেখানে
গিয়ে শুনলাম বুল্টির বিয়ে হয়ে
গেছে।টালিগঞ্জে চলে গেছে
মেয়েটা।ওর স্বামী তখন কি একটা
কোম্পানিতে যেন চাকরি করে বলে
আমায় বাড়ির একটা লোক বলেছিল।
কোম্পানির নাম এখন আর মনে নেই।
আমার স্পষ্ট মনে আছে,আমি খুব সাহস
নিয়ে ওদের বাড়ি ঢুকেছিলাম।
আমার বন্ধুর কোনো তথ্য জানে কিনা
সেজন্যই।তাহলে কি বিট্টু মনের
ক্ষোভে নিরুদ্দেশ হয়ে গেলো?এতটা
কষ্ট যে বুকে চেপে রেখেছিল সেটা
কে জানত?এজন্যই কি মুখটা মলিন করে
রাখত সর্বক্ষণ?এতটা ভালোবাসা ছিল
বিট্টুর ভেতরে!দেখে বোঝার উপায়
ছিলনা।এখনো পনের বছর ধরে ও
নিরুদ্দেশ।আমি এখন শহরে থাকি।
গ্রামের বাড়ি আর খুব বেশি যাওয়া
পড়েনা।গেলে খোঁজ নিই আমার
বন্ধুটির যে বুকে ভালবাসার বারুদ
নিয়ে আজও নিরুদ্দেশ।সেই ছেলেটি;
সেই ক্লাশের লাস্ট বেঞ্চে বসা
ছেলেটি।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৯৬৩ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৮/০৭/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • গোপেশ দে ১০/০৭/২০১৬
    অনেক ধন্যবাদ কবিবর।শুভেচ্ছা
    আপনাকে
  • পরশ ১০/০৭/২০১৬
    অসাধারন
  • আনিসা নাসরীন ০৮/০৭/২০১৬
    চাপা ব্যাথা নিয়ে কত মানুষ এমন করে হারায় আমাদের মাঝ থেকে।
 
Quantcast