www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

ভয়

সকালবেলা রবীন্দ্রসংগীতের গান
না শুনলে দেবাশীষ মুখার্জীর মন
প্রাণ ভরে না।রবীন্দ্রসংগীতের
একটা গান,সাথে এক কাপ চা।আহা!
ভাবাই যায়না।আর সাথে হেমন্তবাবুর
কণ্ঠে যদি রবীন্দ্রসংগীতের গান হয়
তাহলে তো পুরো ব্যাপারটাই
রোমান্টিক।দেবাশীষ বাবুর মনটা
আজকে বেজায় ভাল।কারণ আজ তার
বড় মেয়ে আমেরিকা থেকে থেকে
এই দেশে আসছে।পুরো সপরিবারে।
তার দুটোই মেয়ে।বড় মেয়েটা থাকে
আমেরিকা।তার স্বামী আমেরিকান
একজন ইঞ্জিনিয়ার।বড় মেয়ের একটা
ছেলে আছে।নাম সৌভিক।বয়স দশ বছর।
দেবাশীষ বাবুর ছোট মেয়েটা
থাকে কানাডা।তার স্বামী সে
দেশের একটা ইউনিভার্সিটির
শিক্ষক।ছাত্রদের ফিলোসফি পড়ায়।
দেবাশীষ বাবুকে মোটামুটি একজন
নিঃসঙ্গ মানুষই বলা চলে।কারণ
বর্তমানে তিনি এবং তার স্ত্রী
পুরোবাড়িতেই থাকেন।তার স্ত্রী
সারাদিন শুয়ে বসেই কাটান।
জানালা বন্ধ করে ঘর অন্ধকার করে
শুয়ে থাকেন।বেশীক্ষণ দাঁড়িয়ে
থাকতে পারেন না।বুক ধড়ফড় করে।
মাথা ঘুরেও পড়ে যান।বাথরুমে
যাওয়া ছাড়া তিনি খুব একটা
বিছানা ছেড়ে উঠেন না।বাড়িতে
একজন কাজের মেয়ে আছে।সে এই
বাড়িতেই ঘুমোয়।তার নাম রুমা।রুমা
ঘরের যাবতীয় কাজ করে।দেবাশীষ
বাবুর চোখে মেয়েটা অনেক ভাল।
তিনি যখন যা খেতে চান রেঁধে তা
খাওয়ায়।কিন্তু দেবাশীষ বাবুর স্ত্রী
নীরা রুমাকে নিয়ে মাঝেমধ্যেই
অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন।
দেবাশীষ বাবু যতবারই তার স্ত্রী
অশালীন বাক্য ব্যবহার করেন ততবারই
রুমাকে বলেন,মা তুই কিছু মনে করিস
না।দেবাশীষ বাবু মেয়েটিকে নিজ
মেয়ের মতই দেখেন।কারণ রুমা তার
ছোট মেয়ের বয়সি হবে।দেবাশীষ
বাবু তার স্ত্রী কে অনেক ডাক্তার
দেখিয়েছেন কিন্তু তাতে লাভ
হয়েছে কাঁচকলা। বিভিন্ন ক্লিনিকে
মাসের পর মাস রেখেছেন।
তেজপাতার মত টাকা ঢেলেছেন
তিনি।দেবাশীষ বাবু অবশ্য চিন্তা
করেছেন ভেলোর যাবেন তার
স্ত্রীকে নিয়ে।তিনি ইচ্ছে করলে
আমেরিকা কিংবা কানাডা তার
মেয়েদের কাছে নিতে পারেন।
কিন্তু তিনি তা করবেননা।নিজের
দেশে তো ভাল চিকিৎসা আছেই।
কেন জানি তার পশ্চিমাবিশ্ব ভাল
লাগেনা অথচ তার স্নেহের
মেয়েদুটো ওই দেশেরই বাসিন্দা।
মানুষকে তার জীবনের একটা সময়
অনেক অনিচ্ছার ভেতর দিয়ে যেতে
হয়।তারবেলাতেও হয়ত তাই হয়েছে।
দেবাশীষ বাবু একজন রিটায়ার্ড
পারসন।চাকরি করেছেন ব্যাংকের
ক্যাশিয়ার পদে।পুরো চাকরি জীবনে
কোনো প্রমোশন পাননি।দেবাশীষ
বাবুকে বড় মেয়ে আসার খবর তার
মেয়ে নিজেই ফোনে জানিয়ে
দিয়েছে।মেয়েটা তার মায়ের
সাথে কথা বলতে চেয়েছিল কিন্তু
নীরা মুখার্জী তখন দরজা ভেতর
থেকে ভেজিয়ে দিয়ে ঘুমিয়ে
পড়েছিলেন।মেয়েটার সাথে
ফোনে কথা বলে দেবাশীষ বাবুর
অনেক ভাল লেগেছে।অবশ্য মেয়েটা
দশটা কথার আটটাই বলেছে
ইংরাজিতে হড়বড় করে।তার বুঝতে
অবশ্য একটু কষ্ট হয়েছিল।তারপরেও
তিনি বেশ আনন্দিত ভংগিতেই শুধু হুঁ হুঁ
করে গেছেন।দেবাশীষ বাবু এই মুহূর্তে
চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বেতের
চেয়ারে বসে আছেন।খুব মনোযোগের
সাথেই তিনি গান শুনছেন।চিন্ময়ের
কণ্ঠে রবিঠাকুরের গান-
“আমি চিনি গো চিনি তোমারে
ওগো বিদেশিনী
তুমি থাকো সিন্ধুপারে
ওগো বিদেশিনী”
কাকু!
দেবাশীষ বাবুর ধ্যানভঙ্গ হল।তিনি
পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখলেন
রুমা দাঁড়িয়ে আছে।
হুঁ।কিছু বলবিরে?
কাকু চাতো খেলে না।সেই তখন
থেকে দেখছি চায়ের কাপ হাতে
নিয়ে বসে আছো।
দেবাশীষ বাবু চায়ের কাপের দিকে
তাকিয়ে দেখলেন,চাটা ঠাণ্ডা হয়ে
গেছে।তিনি একচুমুক খেয়েই মুখে
একরাশ বিস্বাদ এনে বললেন,ঠান্ডা
হয়ে গেছে রে।নে ধর।
রুমা চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে
বলল,কাকু কাকীমা যেনো কী সব
উল্টোপাল্টা বকছে।শুনতে কেমন
জানি লাগছে।এ ম্যাগো গা ঘিনঘিন
করছে!
ঠিক আছে।আমি দেখছি।তুই রান্না কর।
আজ কি রান্নারে?
বাঁটা মাছের ঝোল আর ঢেঁড়স ভাজি
গো কাকু।
গুড আইটেম।
দেবাশীষ বাবু বেতের চেয়ার
ছেড়ে উঠে ব্যালকনিতে দাঁড়ালেন।
তার বড় মেয়ে আসার খবরটা তার
স্ত্রী জানেনা,জানানো দরকার।
কারণ দেখা যাবে মেয়েটা আসার
পর তিনি বাড়ি এক করে ফেলেছেন
তাকে না জানানোর জন্য।অশ্লীল
ভাষা ব্যবহারও করতে পারে।ওদিক
থেকে মেয়েটাও মনে কষ্ট
পাবে,এতোদিন বাদে এদেশে আসা।
তিনি রুমাকে বলবেন বলে ভেবে
রেখেছেন রাতে ইলিশ পাতুরি
করতে।কারণ মেয়েটা এই আইটেম খুব
পছন্দ করে।আমেরিকায় ইলিশ পাতুরি
খায় কিনা কে জানে?পাবে
কোথায় কিংবা পেতেও পারে।
আমেরিকায় পাওয়া যায়না এমন
কোনো খাবারই নেই।দেবাশীষবাবু
তার স্ত্রীর রুমের সামনে গিয়ে
দাঁড়ালেন।দরজাটা হালকা
ভেজানো।একপাল্লার ফাঁক দিয়ে
ভেতরটা অস্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কারণ
ভেতরটা প্রায় সবসময়ই অন্ধকার থাকে।
দেবাশীষ বাবু তার স্ত্রীর সামনে
গিয়ে দাঁড়ালেন।তার স্ত্রী ঘুমে
আছে না জেগে আছে বোঝা
যাচ্ছেনা।
তিনি খাটের এক কোণায় গিয়ে
বসলেন।
মাথায় হাত দেবেনা কিন্তু!
দেবাশীষ বাবু হাতদুটো যথাসম্ভব
তার কাছ থেকে সরিয়ে নিলেন।
কিছু বললে বলো না হলে ভাগো।একা
থাকতে দাও।
একাই তো থাকো গো।কিছুক্ষণ বসি?
না।তোমার ওই বেতের চেয়ারে বসে
হেমন্ত মুখুজ্জের গান শুনোগে।
দেবাশীষ বাবুর কারণেঅকারণে
চোখে জল চলে আসে।এবারও তার
ব্যতিক্রম হলোনা।চোখে কেন জল এল
তার কোনো কারণ নেই।অকারণেই
চোখে জল ভরে আসে।
কিছু কথা ছিল।বলছি কি বলেই চলে
যাব।
মিমি আসছে।এই তো!
দেবাশীষ বাবু বেশ বিস্মিত
ভঙ্গিতে বললেন,তুমি জানলে কেমন
করে গো?
বাতাসেরও কান থাকে।আমার কাছে
বাতাস হল রুমা।সে আমায় সব বলেছে।
মাগীটার হাঁটাচলা দেখেছ!
বজ্জাতের বাচ্চা!
দেবাশীষ বাবুর খুব ইচ্ছে করছে
নীরাকে এইসব কথা না বলতে কিন্তু
কে শোনে কার কথা।এ মহিলা
থামার পাত্রী নয়।
তিনি বউয়ের রুম ছেড়ে চলে আসলেন
তার নিজের রুমে।দুজনা আলাদা
রুমেই থাকেন।তার বউয়ের কড়া
নির্দেশ,তার রুমে যেনো কেউ না
আসে।দেবাশীষ বাবু তার বউকে খুব
ভালবাসেন।আহারে!নীরা সুস্থ
থাকলে সেই সব রান্না করত।আনন্দে
বাড়ি এক করে ফেলত।এই কথাটা মনের
ভেতর তৈরি করতেই তার দুচোখ
ভিজে গেলো।তিনি একটা
দীর্ঘনিশ্বাস গোপন রাখতে চাইলেন
কিন্তু পারলেন না।আহারে!
তারা এখন বাড়িতে।তারা মানে
মিমি তার স্বামী আর তাদের ছোট
ছেলে সৌভিক।বেশ কিছুক্ষণ হল
তারা বাড়িতে এসেছে।সবাই বেশ
টায়ার্ড।মিমি মনমরা হয়ে বসে আছে
মায়ের এই অবস্থা দেখে।আগে
যেবার পুজোয় এসেছিল এতো খারাপ
অবস্থা ছিলনা কিন্তু এখন!মিমির
হাজব্যান্ড দীপক অবশ্য চোখ বুজে
বিছানায় শুয়ে আছে।পা নাড়াচ্ছে
আলতো করে।
দেবাশীষ বাবু তার নাতীটাকে
নিয়ে বসে আছেন।ব্যালকনিতে বসে
গান শুনছেন।ছেলেটা নিজ থেকে খুব
একটা কথা বলেনা।তবে বেশ ভালই
বাংলা বলতে পারে।দেবাশীষ বাবু
কিছুটা বিস্মিত এত সুন্দর বাংলা
বলতে দেখে!
আগে যেবার এসেছিল সেবার সে
থিকমত বাংলা বলতে পারেনি
কিন্তু এবার বাংলাটা খুব সুন্দর করে
গুছিয়েই বলছে।বোধহয় ওর মা খুব যত্ন
করে শিখিয়েছে।
বাবা!
দেবাশীষ বাবুর পাশে তার বড় মেয়ে
দাঁড়িয়ে আছে।
আয় মা বোস এখানটায়।
বাবা কিছু কথা বলার ছিল।
হুম বলবিতো তা বলনা কি কথা?
বাবা আমাদের কোলকাতা আসার
পেছনে একটা কারণ আছে।
দেবাশীষ বাবু বেশ অদ্ভুত ভাবে
তাকালেন,কারণটা শুনি।
কারণটা হল সৌভিক কে নিয়ে।
দেবাশীষ বাবু সৌভিকের দিকে
তাকালেন এবং ভ্রু কুঁচকে বললেন
সৌভিকের মানে,বুঝলাম নাতো মা।
বাবা ওকে একজন ভাল ফকির টকির
দেখিয়ে একটা তাবিজ নিতে চাই?
কেন রে মা?
ওর একটা রোগ হয়েছে।স্কুলভীতি
রোগ।ইংরাজিতে বলে
Didaskaleinophobia ও স্কুলে একেবারেই
যেতে চায়না।যতবারই পাঠানো
হচ্ছে ও ততবারই ক্লাশের বেতর ফিট
হয়ে পড়ে যাচ্ছে।আমেরিকান বড় বড়
ডাক্তার সাইক্রিয়াটিস্ট
দেখিয়েছি কিন্তু তাতে কোনো
লাভ হয়নি।ও অলওয়েজ সুস্থ বাট স্কুলের
নাম মুখে আনলেই আত্নারাম খাঁচা
হয়ে যায়।ভয়টা এক্কেবারে জেকে
বসে আছে।আমি কী করব একটু বলোতো
বাবা?
দেবাশীষ বাবু বেশ চিন্তিত
ভঙ্গিতে তাকিয়ে আছেন মিমির
দিকে।এই রোগটা তারও ছোটবেলায়
হয়েছিল।তিনিও ছোটবেলায় স্কুলে
গেলে অজ্ঞান হয়ে যেতেন।স্কুল
ভীতিটা প্রবল ছিল।কিন্তু বয়েস
বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সব ঠিক হয়ে
গিয়েছিল।ক্লাশ রুমে স্যার,দিদিমণি
ঢুকলেই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে
যেতেন।কোনো বিশেষ স্যার বা
দিদিমণি ছিলনা।সব স্যার,দিদিমণি
ঢুকলেই তিনি নিজেকে আবিষ্কার
করতেন মেঝেতে।মাথায় জল দেয়া
হচ্ছে।কলেজে ওঠার পর রোগটা
পুরোপুরি সেড়ে উঠেছিল।তখন আর
অজ্ঞান হননি তিনি।তার এই
স্কুলভীতি রোগটা সে ছাড়া আর এই
বাড়ির কাকপক্ষীও ঘূর্নাক্ষরে
জানেনা।তার স্ত্রী,মেয়েদের
কাউকেই তিনি বলেননি।তবে লিখে
রেখেছেন তার এই গল্প একটা
ডাইরিতে।তিনি তার একটা
ডাইরিতে এই স্কুলভীতি রোগটা
লিখে রেখেছেন।কিন্তু ডাইরিটা
এক বৎসর যাবত খুঁজে পাচ্ছেন না।তার
ধারণা কেউ নিয়ে গেছে
ডাইরিটা।
কিন্তু কে নিতে পারে!
মিমি মেয়েটা তার ছেলেটাকে
নিয়ে সত্যি খুব টেনশনে আছে।
বারবার তার বাবাকে একই প্রশ্ন করছে
প্লিজ বাবা কিছু কর,তোমার
জানামতে ভাল কোনো ফকির কি
আছে?
আমার জানামতে নেই।তবে আমার
অফিসের কলিগ রাকেশ বাড়ৈ একবার
বলেছিল ওদের গ্রামের বাড়িতে
নাকি একজন ভাল ফকির আছে।শুনেছি
নাম যশও আছে।
তোমার ওই ফকিরের বাড়ি কোথায়?
রানাঘাট।তবে কোলকাতায় ও নাকি
আসে মাঝেমধ্যে।
তুমি একটু খোঁজ নাওতো বাবা।
হ্যাঁ তা নেবো।তুই টেনশন নিসনে।
দশদিন পরের ঘটনা।দেবাশীষ বাবুর বড়
মেয়ে,মেয়ের বর,ছেলেটা
আমেরিকা চলে গেছে।সৌভিকের
ফকির দেখানোর কাজটাও সমাধা
হয়েছে।ওর হাতে একটা তাবিজ
বেঁধে দেয়া হয়েছে।দেবাশীষ বাবু
ডাইরিটাও পেয়েছেন।সৌভিক তার
ডাইরিটা গত বৎসর নিয়ে গিয়েছিল।
সে নিজে থেকেই ডাইরিটা তার
দাদুকে দিয়েছে।যাওয়ার আগের দিন
মুখ কাচুমাচু করে ডাইরিটা তার
দাদুকে হাতে দিয়ে বলেছে,আই আম
সরি দাদন।দেবাশীষ বাবুর চোখ
ঝাপসা হয়ে গিয়েছিল তার
নাতিটার জন্য।কারণ ওরা কাল
আমেরিকা চলে যাবে।দেবাশীষ
বাবু ডাইরিটাকে তার পুরনো
আলমারিতে রেখে দিয়েছেন।তিনি
বেশ বিস্মিত হয়েছেন ডাইরিটা
পেয়ে সৌভিকের কাছ থেকে।এখন
সকাল।দেবাশীষ বাবু ক্যাসেট
প্লেয়ারে গান শুনছেন-
“আমার বেলা যে যায়
সাঝবেলাতে….”
দেবাশীষ বাবুর এই মুহূর্তে তার
ডাইরিটা পড়তে ইচ্ছে করছে।
অনেকদিন ডাইরিটা পড়া হয়নি।তিনি
বেশ আগ্রহ নিয়ে আলমারির কাছে
গেলেন।ডাইরিটা বের করলেন।
সৌভিক যে নিয়ে যাবে এটা,তা
তিনি ভাবতেই পারেন নি।বাচ্চাটা
ডাইরিটা নিয়ে কী করেছে,পড়েছে
কিনা কে জানে?
স্কুলভীতি নিয়ে লেখাটা পড়ার জন্য
পৃষ্ঠা উল্টোতে লাগলেন।সৌভিক
নিশ্চই লেখাটা পড়েছে।তিনি পৃষ্ঠা
উল্টোতে লাগলেন।কিন্তু লেখাটা
খুঁজে পেলেন না।আশ্চর্য!সব পৃষ্ঠা ঠিক
আছে কিন্তু স্কুলভীতি নিয়ে লেখা
পৃষ্ঠাগুলো নেই।কে যেন ছিঁড়ে নিয়ে
গেছে!
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৭৭৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ০৯/০৬/২০১৬

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • সভ্যচাষী সপ্তম ২৬/০৬/২০১৬
    ভালো লাগল
  • অঙ্কুর মজুমদার ১৬/০৬/২০১৬
    nice story
  • পরশ ১৫/০৬/২০১৬
    দারুন
  • পরশ ১২/০৬/২০১৬
    সুন্দর
  • ভালো
  • পরশ ১১/০৬/২০১৬
    সুন্দর
  • দারুণ কম্পোজিশন।।।।
  • প্রদীপ চৌধুরী. ১০/০৬/২০১৬
    Sundor
  • l o n g ! !1
 
Quantcast