প্রথম কবিতা লেখার অনুভূতি
আমার প্রথম কবিতা লেখার অনুভূতি জীবনের সবচেয়ে বাজে স্মৃতি। জীবনে প্রথম কবিতা লিখি ক্লাস পরীক্ষার খাতায়। আমাদের টিচার জনাব শ্রদ্ধেয় জব্বার স্যার, গাব্বার সিং এর মত অনেক রসিক টাইপের ছিলেন। রস মিশিয়ে রসায়ন পড়াতেন। সপ্তাহে একটা ক্লাস টেস্ট নিতেন। খাতা দেখানোর নামে স্টুডেন্টদের ইজ্জতের ফালুদা বানিয়ে ছাড়তেন।
সেবার পরীক্ষার খাতায় নিজের অজান্তেই কবিতার দু'চরণ লিখে ফেললাম এবং মনের ভুলে খাতা জমাও দিয়ে দিলাম।
পরদিন রোল ধরে সবার খাতা বেইজ্জতির সাথে তুলে দিতে থাকলেন, এবার আমার পালা... রে বাবা, আমার রোল টপকে পরের জন থেকে দেয়া শুরু। মনে একটা আনন্দ দোলা দিয়ে গেল ''এবার মনে হয় সবার চেয়ে আমার পরীক্ষা ভালো হয়েছে।'' সবার খাতা দেয়া শেষ, স্যারের হাতে আমার খাতা। আমার নাম ধরে ডেকে এদিকে আসেন, স্যারের পাশে দাড়িয়ে আমি। স্যারের ভাষায়: রসায়নে রস থাকবেনা তা কি হয়? আজ আপনাদের রসায়নের বিভিন্ন বিক্রিয়ায় কিভাবে আমরা রসে রসান্নিত হই তার প্রেকটিক্যাল প্রমান দিব।
পাশের "বি" সেকশন থেকে একটা মেয়েকে ডেকে আনা হলো, ওই দিনই আমি তাকে ভালো করে দেখলাম এবং জানলাম তার নাম "তনু"। তার হাতে আমার খাতাটি দিয়ে বললেন, "পড়েন..."
মেয়েটি পড়া শেষ করলো।
স্যার- আমার দিকে তাকিয়ে, "কবে থেকে?" আবার ওই মেয়ের দিকে তাকিয়ে, "দেখলে তো মনে হয় ভাজা মাছটি উল্টে খেতে পারেন না, এই বয়সেই মনে মনে অত্ত সব।"
মেয়েটির চোখ দিয়ে পানি বের হতে শুরু করলো পুরুক্লাস হাসিতে মশগুল আর আমরা দু'জন চিরিয়াখানার খাচার বানর। শুরু হলো আমার বস্ত্র হরণ তারপর ইজ্জতের ফালুদা, লাচ্ছি বানিয়ে তারপর ছাড়লেন।
কবিতার লাইন দু'টি ছিল,
"গগন আঁখিতে জল; আমি দৃষ্ট নেত্রে দর্শন করেছি হিমাংশুকে হতাশা,
ধরিত্রীর অবয়বে নিরদ ছাপ, যেন নিশীথে কেহ তনুগ্রাসে তার নিয়েছে স্বাদ।"
এই আমার প্রথম কবিতা লেখার বিস্মৃত অনুভূতি।
পুনশ্চ: অনেক পরে মেয়েটির সাথে আমার বন্ধুত্ব হয় এবং তনু নামের মেয়েটি ছিল আমাদেরই জব্বার স্যার ওরফে গাব্বার সিং এর বড় মেয়ে।
সেবার পরীক্ষার খাতায় নিজের অজান্তেই কবিতার দু'চরণ লিখে ফেললাম এবং মনের ভুলে খাতা জমাও দিয়ে দিলাম।
পরদিন রোল ধরে সবার খাতা বেইজ্জতির সাথে তুলে দিতে থাকলেন, এবার আমার পালা... রে বাবা, আমার রোল টপকে পরের জন থেকে দেয়া শুরু। মনে একটা আনন্দ দোলা দিয়ে গেল ''এবার মনে হয় সবার চেয়ে আমার পরীক্ষা ভালো হয়েছে।'' সবার খাতা দেয়া শেষ, স্যারের হাতে আমার খাতা। আমার নাম ধরে ডেকে এদিকে আসেন, স্যারের পাশে দাড়িয়ে আমি। স্যারের ভাষায়: রসায়নে রস থাকবেনা তা কি হয়? আজ আপনাদের রসায়নের বিভিন্ন বিক্রিয়ায় কিভাবে আমরা রসে রসান্নিত হই তার প্রেকটিক্যাল প্রমান দিব।
পাশের "বি" সেকশন থেকে একটা মেয়েকে ডেকে আনা হলো, ওই দিনই আমি তাকে ভালো করে দেখলাম এবং জানলাম তার নাম "তনু"। তার হাতে আমার খাতাটি দিয়ে বললেন, "পড়েন..."
মেয়েটি পড়া শেষ করলো।
স্যার- আমার দিকে তাকিয়ে, "কবে থেকে?" আবার ওই মেয়ের দিকে তাকিয়ে, "দেখলে তো মনে হয় ভাজা মাছটি উল্টে খেতে পারেন না, এই বয়সেই মনে মনে অত্ত সব।"
মেয়েটির চোখ দিয়ে পানি বের হতে শুরু করলো পুরুক্লাস হাসিতে মশগুল আর আমরা দু'জন চিরিয়াখানার খাচার বানর। শুরু হলো আমার বস্ত্র হরণ তারপর ইজ্জতের ফালুদা, লাচ্ছি বানিয়ে তারপর ছাড়লেন।
কবিতার লাইন দু'টি ছিল,
"গগন আঁখিতে জল; আমি দৃষ্ট নেত্রে দর্শন করেছি হিমাংশুকে হতাশা,
ধরিত্রীর অবয়বে নিরদ ছাপ, যেন নিশীথে কেহ তনুগ্রাসে তার নিয়েছে স্বাদ।"
এই আমার প্রথম কবিতা লেখার বিস্মৃত অনুভূতি।
পুনশ্চ: অনেক পরে মেয়েটির সাথে আমার বন্ধুত্ব হয় এবং তনু নামের মেয়েটি ছিল আমাদেরই জব্বার স্যার ওরফে গাব্বার সিং এর বড় মেয়ে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দেবাশীষ দিপন ১০/১১/২০১৫দারুণ অভিজ্ঞতা।।
-
নাসিফ আমের চৌধুরী ০৫/১১/২০১৫ভাল
-
দেবব্রত সান্যাল ০৫/১১/২০১৫আপনাকে তারুণ্যে স্বাগত।
আপনার লেখাটি একেবারে আড্ডা মারার ধরনে লেখা, ভাষাও তাই। সব লেখার একটা স্পিরিট থাকে , এই লেখাটির সাথে আপনার ভাষাটা যায়। ভাই , প্রচুর এডিট করার আছে , করে নিন। নামটা গব্বর সিং।