www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

প্রিয়তমা পর্ব - ১

প্রেমের রূপকথা লিখে আমার অভ্যাস নেই । তাও লিখলাম । রূপকথার শেষ অংশে যেয়ে পাঠক যদি হতাশ হয় সেটা তার একান্ত নিজস্ব দায়ভার । লেখক এর দায় নেবেনা ।
-----------------------------------------------------------
প্রিয়তমা, ঘরে কারেন্ট নেই ।মোমবাতি জ্বালাও। আজ আর কারেন্ট আসবেনা । প্রিয়তমা বললো, কারণ কি ? কারেন্ট আসবেনা কেনো ? আমি বললাম, বাইরে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে । মনে হয় কোথাও কারেন্টের তার ছিড়ে গেছে ।

প্রিয়তমা চিল্লিয়ে উঠলো । আমি পারবোনা,
তোমার দরকার হয় তুমি মোমবাতি জ্বালাও।
মেয়েরা চিল্লালে তা দোষের কিছু নয় । কারণ মেয়েদের জন্মই হয়েছে ছেলেদের উপর চিল্লাবে এই জন্য । আমি মোমবাতি জ্বালানোর জন্য পা বাড়ালাম । অন্ধকারে কিছু দেখা যাচ্ছেনা । হঠাৎ প্রিয়তমা পেছন থেকে আমার হাত টেনে ধরলো । থাক তোমাকে যেতে হবেনা , আমিই যাচ্ছি । এইটা মেয়েদের আরেকটা গুণ । এই গুণটার জন্যই মেয়েদের চিল্লাচিল্লি ছেলেরা বহুকাল থেকে সহ্য করে আসছে ।

প্রিয়তমা মোমবাতি জ্বালানোর জন্য অন্য ঘরে গেলো । আমি তড়িঘড়ি করে লুকানো কেকের বাক্সটি থেকে কেক বের করে বিছানার উপর রাখলাম । আজ প্রিয়তমার জন্মদিন । ওকে চমকে দেওয়ার জন্য ওকে না জানিয়ে কেক এনেছি। প্রিয়তমা মোমবাতি হাতে উপস্থিত । মোমবাতির আলো অন্যদিনের চেয়ে আজকে বেশ উজ্জ্বল । বাইরে বেশ জোরে বৃষ্টি হচ্ছে । ঝুম ঝুম আওয়াজ শোনা যাচ্ছে । মাঝে মাঝে মেঘের মৃদু গর্জন ।

প্রিয়তমা এসে বিছানার উপর বসলো। প্রিয়তমার হাতে মোমবাতি । প্রিয়তমার হাত থেকে মোমবাতিটা আমার হাতে নিলাম কেকের উপর রাখবো বলে । বিছানার উপর তাকিয়ে দেখি কেকের উপর প্রিয়তমা বসে আছে ।

বিশ্বাস করেন, তারপর থেকে আমার বাসায় আর কোনোদিন কারেন্ট আসেনি। আজো অন্ধকারে বসে বসে আমি বৃষ্টির ঝুমঝুম শব্দ শুনি, মেঘের গর্জন শুনি । সেই মোমবাতি এখনো আছে । কিন্তু আজ আর প্রিয়তমা আমার পাশে নেই মোমবাতি জ্বালানোর জন্য ।
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৫০২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৭/০৫/২০২০

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast