গোপলার কথা - ৬
কর্মযোগ
-------
আমরা আমাদের রোজকার কাজকর্মের অবস্থানে আমাদের পারিপার্শিক লোকজনকে দু ভাবে সেই কাজকর্ম সম্বন্ধে ভাবতে বা ভাবাতে পারি।
এক - যা হোক করে কাজটা চালিয়ে নেওয়া। আর দুই - যে পরিসেবা দেয় আর যে পরিসেবা নেয় উভয়কে সেই কাজের উপযুক্ত করার জন্য শিক্ষা নেওয়া এবং দেওয়া কিংবা আরো উন্নত কিছু করা।
প্রথম অবস্থানে তখনকার মত কাজটা শেষ করা যায়। কিন্তু পরবর্তীতে সমাজ এই গোঁজামিল কাজেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেক সময় তাতে সমাজের লাভ হলেও হতে পারে আবার তার কুফল অনেক সুদুর প্রসারী হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়াতে পারে। যা আর রোধ করা সম্ভব হয় না। এবং সেটাকেই মান্যতা দিতে হয়।
আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে হয়ত সময় লাগে। মানুষকে বোঝাতে হয়। মানুষকে অপেক্ষা করতে হয়। মানুষকে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয়। কিছু মানুষের অবস্থান পাল্টে যায়। ফলে মানুষের মনে খুব বেশি ক্ষোভ তৈরী হয় না। কিন্তু সময় অনুপাতে নিয়ম অনুযায়ী সবাই সহজে বুঝে যাবে। বেনিয়মের দিকে মানুষ এগিয়ে যাবে না। নিয়ম নীতি তৈরির সময় এই সমস্ত ব্যাপারে খেয়াল রাখা হয় বা খেয়াল রাখার চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু আমরাই সেই কাজ যাই হোক করে শেষ করার জন্য বেশির ভাগ সময় প্রথম অবস্থানকেই প্রাধান্য দিই। সেই সময় সামাজিক ভাবে যে বা যারা এই অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত থাকে তারা বেরিয়ে যায়। এমন কি বাহাবাও পেয়ে যায়।
কিন্তু পরবর্তীকালে সেখানে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়। কেননা এক গোঁজামিল হাজার গোঁজামিল হয়ে চারিদিকে ছাড়িয়ে পড়তে বাধ্য। সমস্ত গোঁজামিল সামাল দিতে হলে কোন নিয়ম নীতির বালাই থাকে না। কিছুজনের আগ্রাসী মনোভাব এর মধ্যে জড়িয়ে থাকবে।
তাছাড়া এভাবে ব্যবস্থাদিতে সঠিক লোক সঠিক জিনিসটি কখনোই পাবে না। পেছনের লোক অথবা যার প্রয়োজন নেই সেও ফায়দা তুলে নেবেই নেবে।
কিন্তু দ্বিতীয় অবস্থানে ঠিক নিয়মে হয়তো এ রকম বাধা আসবে, কিন্তু তাতে কেবলমাত্র দু একজনকে বেশি প্রশয় দিতে গিয়ে গোঁজামিলকে প্রশয় দেওয়া একেবারেই ঠিক নয়।
আমাদের সবার উচিত তাই সবাইকে যতটা সম্ভব সেই কাজের কথা ভেবে উপযুক্ত বোধ সম্পন্ন ভাবে গড়ে তোলা উচিত। তাতে এই বোধ নিয়মের প্রবাহ চলমান অবস্থানে সমাজ এগিয়ে চলে। তাই এ ভাবেও সমাজ সেবা করা যায়।
সবাই যেমন সব কিছু জানে না তেমনি বিষয়টি ভালোভাবে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া ওই কাজে যুক্ত যিনি বা যারা যুক্ত তাদের দায়িত্ব।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষ এখানেই প্রতারিত হয়। যারা জানে না তাদের না জানাটুকুতেই ফায়দা তোলে অনেকেই।
যা ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে। এমনকি নিজের দিকে সেটাই বুমেরাং হয়ে আসে।
-------
আমরা আমাদের রোজকার কাজকর্মের অবস্থানে আমাদের পারিপার্শিক লোকজনকে দু ভাবে সেই কাজকর্ম সম্বন্ধে ভাবতে বা ভাবাতে পারি।
এক - যা হোক করে কাজটা চালিয়ে নেওয়া। আর দুই - যে পরিসেবা দেয় আর যে পরিসেবা নেয় উভয়কে সেই কাজের উপযুক্ত করার জন্য শিক্ষা নেওয়া এবং দেওয়া কিংবা আরো উন্নত কিছু করা।
প্রথম অবস্থানে তখনকার মত কাজটা শেষ করা যায়। কিন্তু পরবর্তীতে সমাজ এই গোঁজামিল কাজেই অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। অনেক সময় তাতে সমাজের লাভ হলেও হতে পারে আবার তার কুফল অনেক সুদুর প্রসারী হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাঁড়াতে পারে। যা আর রোধ করা সম্ভব হয় না। এবং সেটাকেই মান্যতা দিতে হয়।
আর দ্বিতীয় ক্ষেত্রে হয়ত সময় লাগে। মানুষকে বোঝাতে হয়। মানুষকে অপেক্ষা করতে হয়। মানুষকে ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিতে হয়। কিছু মানুষের অবস্থান পাল্টে যায়। ফলে মানুষের মনে খুব বেশি ক্ষোভ তৈরী হয় না। কিন্তু সময় অনুপাতে নিয়ম অনুযায়ী সবাই সহজে বুঝে যাবে। বেনিয়মের দিকে মানুষ এগিয়ে যাবে না। নিয়ম নীতি তৈরির সময় এই সমস্ত ব্যাপারে খেয়াল রাখা হয় বা খেয়াল রাখার চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু আমরাই সেই কাজ যাই হোক করে শেষ করার জন্য বেশির ভাগ সময় প্রথম অবস্থানকেই প্রাধান্য দিই। সেই সময় সামাজিক ভাবে যে বা যারা এই অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত থাকে তারা বেরিয়ে যায়। এমন কি বাহাবাও পেয়ে যায়।
কিন্তু পরবর্তীকালে সেখানে অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়। কেননা এক গোঁজামিল হাজার গোঁজামিল হয়ে চারিদিকে ছাড়িয়ে পড়তে বাধ্য। সমস্ত গোঁজামিল সামাল দিতে হলে কোন নিয়ম নীতির বালাই থাকে না। কিছুজনের আগ্রাসী মনোভাব এর মধ্যে জড়িয়ে থাকবে।
তাছাড়া এভাবে ব্যবস্থাদিতে সঠিক লোক সঠিক জিনিসটি কখনোই পাবে না। পেছনের লোক অথবা যার প্রয়োজন নেই সেও ফায়দা তুলে নেবেই নেবে।
কিন্তু দ্বিতীয় অবস্থানে ঠিক নিয়মে হয়তো এ রকম বাধা আসবে, কিন্তু তাতে কেবলমাত্র দু একজনকে বেশি প্রশয় দিতে গিয়ে গোঁজামিলকে প্রশয় দেওয়া একেবারেই ঠিক নয়।
আমাদের সবার উচিত তাই সবাইকে যতটা সম্ভব সেই কাজের কথা ভেবে উপযুক্ত বোধ সম্পন্ন ভাবে গড়ে তোলা উচিত। তাতে এই বোধ নিয়মের প্রবাহ চলমান অবস্থানে সমাজ এগিয়ে চলে। তাই এ ভাবেও সমাজ সেবা করা যায়।
সবাই যেমন সব কিছু জানে না তেমনি বিষয়টি ভালোভাবে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া ওই কাজে যুক্ত যিনি বা যারা যুক্ত তাদের দায়িত্ব।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মানুষ এখানেই প্রতারিত হয়। যারা জানে না তাদের না জানাটুকুতেই ফায়দা তোলে অনেকেই।
যা ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে। এমনকি নিজের দিকে সেটাই বুমেরাং হয়ে আসে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।