তারুণ্য ব্লগ
**সাধনবাবুর কুকুর পোষা**
আমাদের পাড়ার সাধনবাবুর অনেক দিনের শখ বিদেশী কুকুর পোষার।কিন্তু নানা কারণে এতদিন হয়ে ওঠেনি।সম্প্রতি তিনি পণ করেছেন এবার তিনি কুকুর পুষেই ছাড়বেন।তিনি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং ঝানু রাজনীতীবিদ।গৃহীণী আর তিনি মিলে থাকেন। ছেলে মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে।ছেলে কলকাতায় চাকুরী করে।তিনিও দিনের অধিকাংশ সময় বাইরে রাজনীতী নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।কুকুর পুষলে গৃহিণীরও সময় কাটবে বাড়িও সুরক্ষিত থাকবে।ছেলেমেয়ের সংগে পরামর্শ করে তিনি বহরমপুর চালতিয়ার ডগফার্ম থেকে নগদ ৬ হাজার টাকা দিয়ে একটি দুমাসের জার্মান শেপার্ড এর বাচ্চা নিয়ে এলেন।এবং কাদাই এর "বুক কর্নার" থেকে "কেমন করে কুকুর পুষবেন" বইটি কিনে আনলেন। বাচ্চাটির নাম রাখলেন টমি।বই এ লেখা পরামর্শ মত টমিকে যথাযথ লালন পালন করতে লাগলেন।প্রতিদিন সকালে তিনি টমিকে নিয়ে হাঁটতে বেরোন পটি করান।ক্রমে সে বড় হতে থাকলো।সাধন বাবু লক্ষ করলেন টমি লেজ নাড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করেনা এবং ডাকেও না।তিনি ভাবলেন আর একটু বড় হলে লেজ নাড়াবে এবং ডাকবে।বেশকিছুদিন পরে তখন শীতকাল, রাত্রিবেলায় তিনি এবং তাঁর গৃহিণী ঘরে বসে টিভিতে খবর শুনছেন। বাইরে কতগুলো শেয়াল ডেকে চলেছে, আর ঠিক পরেই বারান্দায় শেয়ালের ডাক শোনা গেল।বাইরে বেরিয়ে এসে অবাক বিস্ময়ে তাঁরা দেখলেন তাঁদের আদরের টমি শেয়াল গুলোর সংগে গলা মিলিয়ে ডেকে হুক্কা হুয়া রবে ডেকে চলেছে। সাধনবাবু মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন পড়লেন।গৃহিণি ধরে তুললেন এবং বিছানায় শুইয়ে দিলেন।সারা রাত্রি আর তাঁর ঘুম এলোনা ।তিনি স্থির করলেন পরদিনই শেয়াল বাচ্চা কে বিদায় করবেন আর সেইমতো সকাল হতেই টমিকে তাঁর লোক বস্তাবন্দী করে জলঙ্গী নদীর পুর্বপাড়ে ফাজিলনগর মাঠে ছেড়ে দিয়ে এলো ।তাঁর অনেকগুলো টাকা শেয়াল পুষতে গিয়ে গচ্ছা গেলো।জীবনে তিনি এভাবে ঠকেন নি কখনো।ডগফার্ম এর মালিকের বিরুদ্ধে তিনি প্রতারণার মামলা ঠোকার কথা ভেবেছিলেন কিন্তু ছেলেমেয়ের পরামর্শে তিনি সে ভাবনায় ক্ষান্ত দিলেন।
আমাদের পাড়ার সাধনবাবুর অনেক দিনের শখ বিদেশী কুকুর পোষার।কিন্তু নানা কারণে এতদিন হয়ে ওঠেনি।সম্প্রতি তিনি পণ করেছেন এবার তিনি কুকুর পুষেই ছাড়বেন।তিনি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং ঝানু রাজনীতীবিদ।গৃহীণী আর তিনি মিলে থাকেন। ছেলে মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে।ছেলে কলকাতায় চাকুরী করে।তিনিও দিনের অধিকাংশ সময় বাইরে রাজনীতী নিয়ে ব্যস্ত থাকেন।কুকুর পুষলে গৃহিণীরও সময় কাটবে বাড়িও সুরক্ষিত থাকবে।ছেলেমেয়ের সংগে পরামর্শ করে তিনি বহরমপুর চালতিয়ার ডগফার্ম থেকে নগদ ৬ হাজার টাকা দিয়ে একটি দুমাসের জার্মান শেপার্ড এর বাচ্চা নিয়ে এলেন।এবং কাদাই এর "বুক কর্নার" থেকে "কেমন করে কুকুর পুষবেন" বইটি কিনে আনলেন। বাচ্চাটির নাম রাখলেন টমি।বই এ লেখা পরামর্শ মত টমিকে যথাযথ লালন পালন করতে লাগলেন।প্রতিদিন সকালে তিনি টমিকে নিয়ে হাঁটতে বেরোন পটি করান।ক্রমে সে বড় হতে থাকলো।সাধন বাবু লক্ষ করলেন টমি লেজ নাড়িয়ে আনুগত্য প্রকাশ করেনা এবং ডাকেও না।তিনি ভাবলেন আর একটু বড় হলে লেজ নাড়াবে এবং ডাকবে।বেশকিছুদিন পরে তখন শীতকাল, রাত্রিবেলায় তিনি এবং তাঁর গৃহিণী ঘরে বসে টিভিতে খবর শুনছেন। বাইরে কতগুলো শেয়াল ডেকে চলেছে, আর ঠিক পরেই বারান্দায় শেয়ালের ডাক শোনা গেল।বাইরে বেরিয়ে এসে অবাক বিস্ময়ে তাঁরা দেখলেন তাঁদের আদরের টমি শেয়াল গুলোর সংগে গলা মিলিয়ে ডেকে হুক্কা হুয়া রবে ডেকে চলেছে। সাধনবাবু মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লেন পড়লেন।গৃহিণি ধরে তুললেন এবং বিছানায় শুইয়ে দিলেন।সারা রাত্রি আর তাঁর ঘুম এলোনা ।তিনি স্থির করলেন পরদিনই শেয়াল বাচ্চা কে বিদায় করবেন আর সেইমতো সকাল হতেই টমিকে তাঁর লোক বস্তাবন্দী করে জলঙ্গী নদীর পুর্বপাড়ে ফাজিলনগর মাঠে ছেড়ে দিয়ে এলো ।তাঁর অনেকগুলো টাকা শেয়াল পুষতে গিয়ে গচ্ছা গেলো।জীবনে তিনি এভাবে ঠকেন নি কখনো।ডগফার্ম এর মালিকের বিরুদ্ধে তিনি প্রতারণার মামলা ঠোকার কথা ভেবেছিলেন কিন্তু ছেলেমেয়ের পরামর্শে তিনি সে ভাবনায় ক্ষান্ত দিলেন।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
টি এম আমান উল্লাহ ০৮/১০/২০১৯ভালো লাগল
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ০৩/১০/২০১৯খুব আগ্রহ ভরে শেষ অব্দি পড়লাম । বেশ ভালো লাগলো লেখা খানি ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৪/০৯/২০১৯সত্যজিৎ রায়ের গল্পের নকল!
-
সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী ১২/০৯/২০১৯আমার ও একটা পাপ্পি আছে ...তাই কুকুর নিয়ে কোনো গল্প চোখে পড়লে আমি এক শ্বাসে পড়ে ফেলি !
-
সিন্ধু সেঁচে মুক্তা-আব্দুল কাদির মিয়া ১২/০৯/২০১৯valo