www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

কে ভাইরাস

পর্ব : ১. ( অনুসরণ )

রাতের বেলায় ড. হায়দার খান সাহেব নিজের ল্যাবরেটরি থেকে বের হয়ে হাউজিংএর পথ ধরে হাঁটা শুরু করলেন তিনি । সারাদিনের কাজের ধকল যাওয়ার পর রাতের খোলা বাতাসে কিছুক্ষন হাঁটার কথা হঠ্যাত্‍ ই তার মাথায় আসে । এত ওনার ক্লান্তিও দূর হবে ।

ড. হায়দার খান সাহেবের ল্যাবরেটরির উল্টো দিকে একটা কালো রঙের গাড়ি পার্ক করা ছিল অনেকক্ষন থেকে । সেখানে বসে থেকে একজন ঝাঁটা গোঁফ ওয়ালা লোক হায়দার সাহেবের উপর দৃষ্টি রেখে চলছিল । একটু পরেই লোকটি নড়েচড়ে উঠলো । ধীরে সুস্থে সে তার গাড়ী থেকে নেমে এলো । তাড়াহুড়া করার কিছু নেই তার । একেবারেই সহজ শিকার । সুতরাং আস্তে আস্তেও কাজটা করা যেতে পারে । তাহলে কাজটা সাফাইয়ের সাথে করা যাবে ।

হঠ্যাত্‍ কানের কাছে উত্তপ্ত নিঃশ্বাসের ছোয়া টের পেল গোঁফ ওয়ালা । পিছনের ব্যক্তিটিকে দেখার ইচ্ছা করলেও সেটা সম্ভব হলো না ।
অস্বাভাবিক নিরবতাটুকু অসহ্য লাগলো তার কাছে । কিছু বুঝতে পারার আগেই হঠ্যাত্‍ তার সমস্ত শরীর অসাড় হয়ে এলো । বালির বস্তার মতো দপ করে পড়ে গেল মাটিতে ।

হাঁটতে হাঁটতে পুরান বাস স্ট্যান্ডের সামনে এসে পৌছালেন ডক্টর । আমানিয়া রেস্টুরেন্টটির সামনে এসে পৌছেছেন তিনি । এখানেই রাতের খাবার খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি । কিছুক্ষন স্থির হয়ে দাড়িয়ে থেকে অবশেষে রেস্টুরেন্টেটির ভেতরে ঢুকে পড়লেন তিনি ।

আলো-আধারী পরিবেশে দৃষ্টি দিলেন ডক্টর খাবারের মেন্যুতে আর এরই ফাঁকে কান ছিলো আশে পাশের মানুষের কথাগুলোর দিকে ।

রাত এগারোটা বাজে । রেস্টুরেন্ট ফাঁকাই বলা যায় । অডার দেয়া নান আর চিকেন আস্তে আস্তে চিবুতে থাকেন । তার অভ্যাস হলো মুখে দেবার
আগে প্রতি লোকমা খাবার দেখে নেয়া ।
মা একদিন বলেছিলেন, খাবারের
মধ্যে কি দেখস ? তিনি কিছু না বললেও
মা ভাবতেন খাবারের মধ্যে চুল
বা অন্য কিছু আছে । তাই তার মা বেশ
সাবধানে থাকতেন। একই কথা তার
প্রাক্তন স্ত্রী শারমিনও বলত।

হঠ্যাত্‍ রেস্টুরেন্টের ভেতর বেশ
উত্তেজনা তৈরি হলো । যদিও তখন ড. হায়দার খান সাহের কোন কারণ
বুঝে উঠতে পারছিলেন না । তাকে সার্ভ
করা ওয়েটার নিচুকন্ঠে তাকে জানালো যে পুলিশ এসেছে । পুলিশ তাও এতরাতে ? এখান ? চমকে উঠে ভাবলেন তিনি ।
পুলিশ সবাইকে ভেতরটা খালি করে দিয়ে রেস্টুরেন্টের সামনে দাড়াতে বলল । ডক্টর সাহেব অবাক হয়ে দেখলেন ওনাকে মোটেও বাহিরে বলা হয়নি । তিনি খুবই উত্তেজিত হয়ে পড়লেন হঠ্যাত্‍ । ড. এইচ.কে সাহেব দেথলেন
যে পুলিশ তার দিকেই আসছে । তিনি তখনও জানতেন না যে গল্পের অনেকটাই তখনও বাকি ছিল ।
একটা কম বয়সের ছেলে ওনার সামনে এগিয়ে এলো হঠ্যাত্‍ । তাকে মোটেও পুলিশ বলে মনে হচ্ছে না । তাকে অনেকটা কলেজ পড়ুয়া ছেলেদের মতো দেখতে লাগে । কাছে এসে মিষ্টি করে হাসলাম আমি । বললাম, আমাদের প্রতিটি পলক ফেলার মুহুর্তের
মধ্যে কত কিছু না ঘটে যায় । গত হপ্তাটায় কি হয়েছিলো মনে আছে না আপনার ? আপনাদের ব্লাড ব্যাংক থেকে ১৮ টি ব্যাগ রক্ত চুরি যায় ।
ভেবে দেখলে বোঝা যায় ওরা কেন রক্তের ব্যাগ চুরি করেছিল ।
বুঝতে পারছ তো ঐ রক্ত দিয়ে ওরা ঐ কে ভাইরাসটার বৃদ্ধি ঘটাবে, আতঙ্কিত হয়ে বললেন ড. এইচ.কে । এ কাজের মধ্যে কোন তাড়াহুড়ো করতে নেই । বেশ সময় নিয়ে ধীর সুস্থ্যে কাজটা
করতে হবে । অনেকটা স্লো মোশন মুভির মতো এগুতে হবে আমাদের । যদিও আমরা ঘটে চলা ঘটনাগুলো নিয়ে যথেষ্ট আতঙ্কিত । বিষয়টি ড. এইচ.কেও খেয়াল করেছে ।
অতি সংক্ষেপে আপনাকে একটা কথা বলি সাবধানে থাকবেন আপনি, আমি ওনাকে বললাম -
কি !!! ‘কিছু কি ঘটেছে?’ জিজ্ঞাসা করলেন ড. এইচ.কে ।
একজন আপনাকে অনেক দিন থেকে ফলো করে আসছিলো । কিছু সময় আগে আমি তাকে মেরে ফেলেছি । আপনাকে মারতে চেলেছিলো হয়তো ।
‘কি!!!’ ‘দু হাত মাথায় দিয়ে নিচু হয়ে রইলেন ড. এইচ. কে । প্রচন্ড আঘাত পেয়েছন তিনি ।

......চলবে
বিষয়শ্রেণী: গল্প
ব্লগটি ৯৮২ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২২/০৭/২০১৪

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast