তব প্রেম করো হে দান
তব প্রেম করো হে দান
আব্দুল কাদির মিয়া
===============
তব প্রেম করো হে দান
এই ভুবন কলি যে তোমার-
ধরনীর কোলে,
হেন মম স্রোতাবেগে এই সজ্জিত কাননে,
শত লক্ষ সেই হৃদয় স্পর্শিত-
নয়নে ঝলসে পড়া সুধা স্মৃত,
সেই স্বর্গীয় অফুরন্ত এক-
চিত্তের যেন সুবর্ণময় সৌভগ-
নন্দ মুহুর্মুহু,
হর্ষপুলক শিহরণের টগবগে-
ফুটন্ত তোমার পদতলে,
সেবাতে যে মহীয়ান।
তাঁরে কুর্নিশে শির-
আঁখির অশ্রুপাতে দিবা কি নিশি,
কিবা নিশুতিতে,
তব প্রেম করো হে দান।
সেথা ভ্রান্ত ভ্রমেও যেন-
কভু নাহি যায় থেমে,
সেই স্মরণের বিন্দু রতি-
মুহুর্তের মুহুর্ত রশ্মির কণাও,
এক পলকে তরে।
ঐ সুক্ষ্ম খনেরও সেই থেকো উর্ধ্বে,
অবিচল,
সেতো রয়েছে মিশে তব নিশ্বাসের,
নিশ্বাসেও অতি সন্নিকটে।
ঐ রক্তবাহি চলন্ত শিরা উপশিরায়,
জগৎ প্রেমে মজ্জিত সু-মহান।
তাঁরে কুর্নিশে শির তব প্রেম-
করো হে দান।
ঐ লুঠিত কুহেলিকার-
ঘনত্ব শোষণে মাটি,
যেন নহে সে কাতর যার তপন রশ্মি ।
ভেদে স্পর্শে এই ধরণীর কোল।
তেন নহে সে বিচলিত-
তাঁরই পূর্ণ শশীর সেই পূর্ণির,
ঝলকের ফালি।
এই মায়া স্নিগ্ধ ধরনীর বুকে,
যারে জড়িয়ে ধরেনি যে,
ঐ ভরা সরোবরের লাল শুভ্র-
দপদপে কুমুদ ও নীল পদ্ম মুখে,
দেখে মেঘ কুঞ্জের উড়ন্ত সে মেঘের কালি।
তেন ভ্রষ্টে নাহিতো আছে-
যারি দ্রষ্টাতে এক ধূলি,
গগন এই মাটিতে তাঁরি-
জীব কূলের বিগলিত তৃপ্ত ফাঁকা।
সেই অথৈ সমুদ্র জলরাশি-
যেন বারি বর্ষণে মধু মধু,
তাঁরি জীবের তরে-
একবিন্দু ফুটারও নেই অনীহা,
সেতো সোব্হান।
এসো হে পৃথিবী-
তাঁরে কুর্নিশে শির,
তব প্রেম করো হে দান।
আব্দুল কাদির মিয়া
===============
তব প্রেম করো হে দান
এই ভুবন কলি যে তোমার-
ধরনীর কোলে,
হেন মম স্রোতাবেগে এই সজ্জিত কাননে,
শত লক্ষ সেই হৃদয় স্পর্শিত-
নয়নে ঝলসে পড়া সুধা স্মৃত,
সেই স্বর্গীয় অফুরন্ত এক-
চিত্তের যেন সুবর্ণময় সৌভগ-
নন্দ মুহুর্মুহু,
হর্ষপুলক শিহরণের টগবগে-
ফুটন্ত তোমার পদতলে,
সেবাতে যে মহীয়ান।
তাঁরে কুর্নিশে শির-
আঁখির অশ্রুপাতে দিবা কি নিশি,
কিবা নিশুতিতে,
তব প্রেম করো হে দান।
সেথা ভ্রান্ত ভ্রমেও যেন-
কভু নাহি যায় থেমে,
সেই স্মরণের বিন্দু রতি-
মুহুর্তের মুহুর্ত রশ্মির কণাও,
এক পলকে তরে।
ঐ সুক্ষ্ম খনেরও সেই থেকো উর্ধ্বে,
অবিচল,
সেতো রয়েছে মিশে তব নিশ্বাসের,
নিশ্বাসেও অতি সন্নিকটে।
ঐ রক্তবাহি চলন্ত শিরা উপশিরায়,
জগৎ প্রেমে মজ্জিত সু-মহান।
তাঁরে কুর্নিশে শির তব প্রেম-
করো হে দান।
ঐ লুঠিত কুহেলিকার-
ঘনত্ব শোষণে মাটি,
যেন নহে সে কাতর যার তপন রশ্মি ।
ভেদে স্পর্শে এই ধরণীর কোল।
তেন নহে সে বিচলিত-
তাঁরই পূর্ণ শশীর সেই পূর্ণির,
ঝলকের ফালি।
এই মায়া স্নিগ্ধ ধরনীর বুকে,
যারে জড়িয়ে ধরেনি যে,
ঐ ভরা সরোবরের লাল শুভ্র-
দপদপে কুমুদ ও নীল পদ্ম মুখে,
দেখে মেঘ কুঞ্জের উড়ন্ত সে মেঘের কালি।
তেন ভ্রষ্টে নাহিতো আছে-
যারি দ্রষ্টাতে এক ধূলি,
গগন এই মাটিতে তাঁরি-
জীব কূলের বিগলিত তৃপ্ত ফাঁকা।
সেই অথৈ সমুদ্র জলরাশি-
যেন বারি বর্ষণে মধু মধু,
তাঁরি জীবের তরে-
একবিন্দু ফুটারও নেই অনীহা,
সেতো সোব্হান।
এসো হে পৃথিবী-
তাঁরে কুর্নিশে শির,
তব প্রেম করো হে দান।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
এস এম শাহনূর ১৩/০৮/২০২৫শুভকামনা
-
নাদেরা ফারনাছ শিমূল ১১/০৮/২০২৫সুন্দর।
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১০/০৮/২০২৫ভাল
-
ফয়জুল মহী ১০/০৮/২০২৫দারুণ লিখেছেন
ভীষণ ভাল লাগলো পাঠে প্রিয়