জীবন এক টুকুরা ফসলি জমিন
"এখন পুরুষ মানুষের নুন আনতে পান্তা ফুরায় না, প্রবাসে আসলে ঘরে বউ আনতেই যৌবন ফুরায়।" মজিদ মিয়া তাঁর বন্ধুকে টিপ্পনী কাটে। হাসতে হাসতে বন্ধুও উত্তর দেয়।
ওহ্, আমার বন্ধু সহজ সরল মজিদ মিয়া এখন এতো কঠিন কথা শিখেছে আজই জানলাম।
শোনো মিয়াঃ
মদ না খেয়েও মানুষ মাতাল হতে পারে।
একটি ভালো বই পড়ে মাতাল হতে পারে।
একটি সুন্দর সুর শুনে মাতাল হতে পারে।
প্রেমে পড়লেও মাতাল হতে পারে।
তুমি কিসে মাতাল হলে বন্ধু। বুঝেছি বিবাহিত তাই মনে হয় বউয়ের প্রেমে পড়েই ভালোবাসায় মাতাল ও সমৃদ্ধ হয়েছো।
এই কথা শুনে পাশে থাকা সব মানুষ উচ্চস্বরে হেসে উঠে। কিন্তু মজিদ মিয়া হাসে না, ছলছল চোখে দৃষ্টি সীমানার দুরে বহুদূরে নিক্ষেপ করে এবং হতভম্ব হয়ে চুপ করে থাকে।
মজিদ মিয়া ফিরে যায় অতীত জীবনে এটা শুধু নিকট অতীত নয়, জীবনের অনেক অনেক অতীতে শিশুকাল ও কিশোরকালে। মা বাবার প্রথম সন্তান হওয়ায় পিতামাতার আদর ভালোবাসার উপচে-পড়া ছিলো। যেটাকে আঞ্চলিক ভাষায় বলে” মাথায় রাখে নাই উকুনের ভয়ে, মাটিতে রাখে নাই পিপঁড়ার ভয়ে”। প্রবাস আসার পর সেই ভালোবাসা ব্যক্তি মজিদের উপর হতে সরে গিয়ে পড়ে মজিদের টাকার উপর! হায় প্রবাস।
তারপরও মজিদ মিয়া কোনো অভিযোগহীন সেই ভালোবাসাটাই বৃদ্ধ পিতামাতাকে যেমন ফেরত দিতে চায় তেমনি নিজের সন্তানদেরও সমপরিমাণ ভালোবাসতে চায়। কিন্তু বৃদ্ধ পিতামাতাই কৌশলে পরিবারের একটার পর একটা সমস্যায় মজিদ মিয়াকে ব্যস্ত রাখে যার কারণে বঞ্চিত হয় স্ত্রী সন্তানকে ভালোবাসা দিতে ও নিতে। মজিদ মিয়া জানে ভালোবাসার বিনিময়ই ভালোবাসা পাওয়া যায় তাই পিতামাতার বৃদ্ধকালে সেই ভালোবাসা ফেরত দেওয়া দরকার । কিন্তু মজিদ মিয়ার সন্তানেরা ছোটকালে সেই ভালোবাসাতো আদৌ পাচ্ছে না। তাহলে বৃদ্ধকালে সন্তানেরা কিসের ভালোবাসা ফেরত দিবে। মনে হয় বৃদ্ধকালে মজিদ মিয়ার শেষ ঠিকানা বৃদ্ধ আশ্রয় কেন্দ্রই হবে।
সরকার ও সমাজ রেমিট্যান্সযোদ্ধা বলে তবে সম্মান দেয় না। পরিবার টাকা পায় ভালোবাসা দেয় না। আর টাকা প্রবাসীকে সুখ দেয় না। তাই কোনো কোনো প্রবাসী টাকার কুমির হলেও সুখ থাকে শূণ্যে।
গল্পঃ প্রবাস (১২)
ওহ্, আমার বন্ধু সহজ সরল মজিদ মিয়া এখন এতো কঠিন কথা শিখেছে আজই জানলাম।
শোনো মিয়াঃ
মদ না খেয়েও মানুষ মাতাল হতে পারে।
একটি ভালো বই পড়ে মাতাল হতে পারে।
একটি সুন্দর সুর শুনে মাতাল হতে পারে।
প্রেমে পড়লেও মাতাল হতে পারে।
তুমি কিসে মাতাল হলে বন্ধু। বুঝেছি বিবাহিত তাই মনে হয় বউয়ের প্রেমে পড়েই ভালোবাসায় মাতাল ও সমৃদ্ধ হয়েছো।
এই কথা শুনে পাশে থাকা সব মানুষ উচ্চস্বরে হেসে উঠে। কিন্তু মজিদ মিয়া হাসে না, ছলছল চোখে দৃষ্টি সীমানার দুরে বহুদূরে নিক্ষেপ করে এবং হতভম্ব হয়ে চুপ করে থাকে।
মজিদ মিয়া ফিরে যায় অতীত জীবনে এটা শুধু নিকট অতীত নয়, জীবনের অনেক অনেক অতীতে শিশুকাল ও কিশোরকালে। মা বাবার প্রথম সন্তান হওয়ায় পিতামাতার আদর ভালোবাসার উপচে-পড়া ছিলো। যেটাকে আঞ্চলিক ভাষায় বলে” মাথায় রাখে নাই উকুনের ভয়ে, মাটিতে রাখে নাই পিপঁড়ার ভয়ে”। প্রবাস আসার পর সেই ভালোবাসা ব্যক্তি মজিদের উপর হতে সরে গিয়ে পড়ে মজিদের টাকার উপর! হায় প্রবাস।
তারপরও মজিদ মিয়া কোনো অভিযোগহীন সেই ভালোবাসাটাই বৃদ্ধ পিতামাতাকে যেমন ফেরত দিতে চায় তেমনি নিজের সন্তানদেরও সমপরিমাণ ভালোবাসতে চায়। কিন্তু বৃদ্ধ পিতামাতাই কৌশলে পরিবারের একটার পর একটা সমস্যায় মজিদ মিয়াকে ব্যস্ত রাখে যার কারণে বঞ্চিত হয় স্ত্রী সন্তানকে ভালোবাসা দিতে ও নিতে। মজিদ মিয়া জানে ভালোবাসার বিনিময়ই ভালোবাসা পাওয়া যায় তাই পিতামাতার বৃদ্ধকালে সেই ভালোবাসা ফেরত দেওয়া দরকার । কিন্তু মজিদ মিয়ার সন্তানেরা ছোটকালে সেই ভালোবাসাতো আদৌ পাচ্ছে না। তাহলে বৃদ্ধকালে সন্তানেরা কিসের ভালোবাসা ফেরত দিবে। মনে হয় বৃদ্ধকালে মজিদ মিয়ার শেষ ঠিকানা বৃদ্ধ আশ্রয় কেন্দ্রই হবে।
সরকার ও সমাজ রেমিট্যান্সযোদ্ধা বলে তবে সম্মান দেয় না। পরিবার টাকা পায় ভালোবাসা দেয় না। আর টাকা প্রবাসীকে সুখ দেয় না। তাই কোনো কোনো প্রবাসী টাকার কুমির হলেও সুখ থাকে শূণ্যে।
গল্পঃ প্রবাস (১২)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
শঙ্খজিৎ ভট্টাচার্য ১৬/১২/২০২৫সুন্দর নিবেদন
