জীবন এক টুকরা ফসলি জমিন l
শরীরটা তেল বিহীন ইঞ্জিন মনে হয় আজকাল চলতে চায় না। তবে মনটা চায় ভালোবাসা । আবার কখনো কখনো মনে হয় জীবন যেনো একটা খোলা বই সবাই পড়তে পারে কিন্তু পাতা ছিড়তে পারে না। তবে খুব কাছের কিছু মানুষ অবুঝ শিশুর মত বইয়ের পাতা ছিড়ে ছুড়ে ফেলে কারণ তারা মনে করে প্রয়োজনীয় জিনিস জমা করে রাখাই অপ্রয়োজন। হয়তো এর ব্যতিক্রমও আছে সমাজ সংসারে। তবে সেটা দিন দিন নগণ্য হতে নগণ্য হচ্ছে ।
পৃথিবীতে আস্তে আস্তে ভালোবাসা মায়া ও মমতা কমে যাচ্ছে। ক্ষণে ক্ষণে কঠিন হচ্ছে এই ধরণীর মানুষগুলি। তাই মানুষ এখন বাধ্য হয়ে ভালোবাসা খুজে নিচ্ছে পশুপাখির মধ্যে।
কারণ বাঁচতে গেলে মানুষকে কিছু না কিছু আঁকড়ে ধরতে হয় । কখনো কখনো শুধু ভালোবাসার রুপান্তর হয়। স্বার্থটাই জীবনকে রংহীন ও বেসুরো করে। স্বার্থটাই ভালোবাসাকে বেদনাময় করে। স্বার্থটাই সংসার জগতকে ভীষণ নীল করে।
মজিদ মিয়া মনে মনে উপলব্ধি করে এই সময় হোসনা বেগমের শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম দরকার, কিন্ত সেটা সে পাচ্ছে না । সকালে ঘুম থেকে উঠে পাতিল আর বাসন মাজতে একটু দেরি হলে মা বোনের কটু বাক্যে মানসিক অস্বস্তি হোসনা বেগমের নিত্য সঙ্গী । কখনো কখনো ছোট ভাইটাও দমক দেয় নবাবের বউ হলে তোমার কাজ করবে কে শুনি।
মজিদ মিয়া একবার প্রতিবাদ করে ছিলো। বোনকে বলে ছিলো তোর বিয়ে হয়েছে স্বামীর বাড়ি গিয়ে সংসার কর। এতেই যেনো আগুনে ঘি ঢেলে দিলো।
মজিদ মিয়ার মা চায় মেয়েটা মায়ের সাথে যেনো বাবার বাড়িতেই থাকে। অথচ ছেলের বউয়ের সাথে মেয়ের বিপরীত আচারন।
মজিদ মিয়া কোনো ছোট বাচ্চা দেখলে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। তিন বছর হয়ে গেলো কিন্তু দেশে যাওয়ার সাহস করতে পারছে না। হাতে টাকা পয়সা এবারও রাখতে পারে নাই। কিন্তু ছেলেটাকে দেখতে খুব মন চায়। ছেলের হাসিখুশি মুখ , ছুটে চলা, দুরন্তপনা মজিদ মিয়ার চোখে ভেসে উঠে কখনো কখনো। আর তখনি অশ্রু সিক্ত হয় দুই নয়ন।
গল্পঃ প্রবাস ( ১০)
পৃথিবীতে আস্তে আস্তে ভালোবাসা মায়া ও মমতা কমে যাচ্ছে। ক্ষণে ক্ষণে কঠিন হচ্ছে এই ধরণীর মানুষগুলি। তাই মানুষ এখন বাধ্য হয়ে ভালোবাসা খুজে নিচ্ছে পশুপাখির মধ্যে।
কারণ বাঁচতে গেলে মানুষকে কিছু না কিছু আঁকড়ে ধরতে হয় । কখনো কখনো শুধু ভালোবাসার রুপান্তর হয়। স্বার্থটাই জীবনকে রংহীন ও বেসুরো করে। স্বার্থটাই ভালোবাসাকে বেদনাময় করে। স্বার্থটাই সংসার জগতকে ভীষণ নীল করে।
মজিদ মিয়া মনে মনে উপলব্ধি করে এই সময় হোসনা বেগমের শারীরিক ও মানসিক বিশ্রাম দরকার, কিন্ত সেটা সে পাচ্ছে না । সকালে ঘুম থেকে উঠে পাতিল আর বাসন মাজতে একটু দেরি হলে মা বোনের কটু বাক্যে মানসিক অস্বস্তি হোসনা বেগমের নিত্য সঙ্গী । কখনো কখনো ছোট ভাইটাও দমক দেয় নবাবের বউ হলে তোমার কাজ করবে কে শুনি।
মজিদ মিয়া একবার প্রতিবাদ করে ছিলো। বোনকে বলে ছিলো তোর বিয়ে হয়েছে স্বামীর বাড়ি গিয়ে সংসার কর। এতেই যেনো আগুনে ঘি ঢেলে দিলো।
মজিদ মিয়ার মা চায় মেয়েটা মায়ের সাথে যেনো বাবার বাড়িতেই থাকে। অথচ ছেলের বউয়ের সাথে মেয়ের বিপরীত আচারন।
মজিদ মিয়া কোনো ছোট বাচ্চা দেখলে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। তিন বছর হয়ে গেলো কিন্তু দেশে যাওয়ার সাহস করতে পারছে না। হাতে টাকা পয়সা এবারও রাখতে পারে নাই। কিন্তু ছেলেটাকে দেখতে খুব মন চায়। ছেলের হাসিখুশি মুখ , ছুটে চলা, দুরন্তপনা মজিদ মিয়ার চোখে ভেসে উঠে কখনো কখনো। আর তখনি অশ্রু সিক্ত হয় দুই নয়ন।
গল্পঃ প্রবাস ( ১০)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
